শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

মাদক প্রতিরোধে আরও গুরুত্ব দিতে হবে

#
news image

উন্নত বিশ্বের বর্তমান সমাজব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা এবং আতঙ্কের নাম হচ্ছে মাদক। বাংলাদেশও এ বলয়ের মধ্যে আবর্তন করছে। বলা হয় আগামীর সমাজব্যবস্থা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান যুগের তরুণ-তরুণীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু মাদকাসক্তির এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝায় পরিণত করছে। সমাজও এদের মেনে নিতে অপারগ। পারিবারিক পরিচয়ের সংকট এক্ষেত্রে বিবেচ্য। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মাদকের ছড়াছড়ি। যেন মরণব্যাধি ক্যানসারের মতো দেশের প্রতিটি কোনায়, রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গেছে। সহজলভ্য ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যে এর বিস্তার ঘটেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মাদকাসক্তির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি বড় সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদকাসক্তি।

 বিশেষ করে দেশের যুবসমাজের এক বিশাল অংশ নেশার কবলে পড়ে নিজেদের জীবনের দিশা হারাচ্ছে। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা পর্যন্ত আজ এ ভয়ংকর আসক্তির শিকার। শুধু শহরাঞ্চল নয়, মফস্বল এমনকি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদকের বিস্তার চোখে পড়ার মতো। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ এবং জাতীয় ঐক্য। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাদকাসক্তি ও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ আইন প্রণয়ন করা হয়। এর আওতায় মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, বিক্রি, সরবরাহ এবং ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাদক কারবার।

দিনের পর দিন যেন মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। দেশে মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর শুরুটা হয়েছিল আশির দশকে। সে সময় অনেক মধ্যবয়সি ব্যক্তিও হেরোইন ও ফেনসিডিলে আসক্ত হয়ে পড়ে। সমাজের যত্রতত্র এ মাদকের প্রাপ্তি ও ব্যবহার ছিল উল্লেখ করার মতো। বাংলাদেশে ফেনসিডিল পাচারের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্ত এলাকায় অনেক কারখানাও তৈরি করা হয়। এ প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত আছে।

দেশে গত চার দশকে মাদকদ্রব্য ব্যবহার ও মাদকের ধরনের অনেক বিপজ্জনক পরিবর্তন ঘটেছে। ক্ষমতারোহণের রাজনৈতিক বৈরিতার মাঝে সামাজিক এই মহাসংকটটি অনেকখানি আড়াল কিংবা অবহেলাতেই পড়ে আছে। অথচ দিনকে দিন এর প্রকোপ বাড়ছেই। আমাদের সমাজে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব নয়, কোনো সাধারণ মানুষ তা করতে পারে না। তাই কোন জায়গায় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিক বৈরিতার শিকার।

 ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতায় থাকার রাজনীতি পুরো সমাজকে বিভাজিত করে দিচ্ছে। এই বিভাজনের আড়ালে থেকে যাচ্ছে মাদক বিস্তারের মারাত্মক ব্যাধি, যা আগামী প্রজন্মকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। এই অপ্রত্যাশিত আগামীকে প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি।

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

২৯ জুলাই, ২০২৫,  11:47 PM

news image

উন্নত বিশ্বের বর্তমান সমাজব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা এবং আতঙ্কের নাম হচ্ছে মাদক। বাংলাদেশও এ বলয়ের মধ্যে আবর্তন করছে। বলা হয় আগামীর সমাজব্যবস্থা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান যুগের তরুণ-তরুণীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু মাদকাসক্তির এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝায় পরিণত করছে। সমাজও এদের মেনে নিতে অপারগ। পারিবারিক পরিচয়ের সংকট এক্ষেত্রে বিবেচ্য। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মাদকের ছড়াছড়ি। যেন মরণব্যাধি ক্যানসারের মতো দেশের প্রতিটি কোনায়, রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গেছে। সহজলভ্য ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যে এর বিস্তার ঘটেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মাদকাসক্তির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি বড় সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদকাসক্তি।

 বিশেষ করে দেশের যুবসমাজের এক বিশাল অংশ নেশার কবলে পড়ে নিজেদের জীবনের দিশা হারাচ্ছে। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা পর্যন্ত আজ এ ভয়ংকর আসক্তির শিকার। শুধু শহরাঞ্চল নয়, মফস্বল এমনকি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদকের বিস্তার চোখে পড়ার মতো। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ এবং জাতীয় ঐক্য। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাদকাসক্তি ও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ আইন প্রণয়ন করা হয়। এর আওতায় মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, বিক্রি, সরবরাহ এবং ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাদক কারবার।

দিনের পর দিন যেন মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। দেশে মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর শুরুটা হয়েছিল আশির দশকে। সে সময় অনেক মধ্যবয়সি ব্যক্তিও হেরোইন ও ফেনসিডিলে আসক্ত হয়ে পড়ে। সমাজের যত্রতত্র এ মাদকের প্রাপ্তি ও ব্যবহার ছিল উল্লেখ করার মতো। বাংলাদেশে ফেনসিডিল পাচারের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্ত এলাকায় অনেক কারখানাও তৈরি করা হয়। এ প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত আছে।

দেশে গত চার দশকে মাদকদ্রব্য ব্যবহার ও মাদকের ধরনের অনেক বিপজ্জনক পরিবর্তন ঘটেছে। ক্ষমতারোহণের রাজনৈতিক বৈরিতার মাঝে সামাজিক এই মহাসংকটটি অনেকখানি আড়াল কিংবা অবহেলাতেই পড়ে আছে। অথচ দিনকে দিন এর প্রকোপ বাড়ছেই। আমাদের সমাজে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব নয়, কোনো সাধারণ মানুষ তা করতে পারে না। তাই কোন জায়গায় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিক বৈরিতার শিকার।

 ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতায় থাকার রাজনীতি পুরো সমাজকে বিভাজিত করে দিচ্ছে। এই বিভাজনের আড়ালে থেকে যাচ্ছে মাদক বিস্তারের মারাত্মক ব্যাধি, যা আগামী প্রজন্মকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। এই অপ্রত্যাশিত আগামীকে প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি।