শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান

#
news image

একটি নিরাপদ, মানবিক এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নারী সমাজকে সামনে থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশে যাতে আবারও ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ বা চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে নারীদের হতে হবে সজাগ ও সংগঠিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ দিক থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীর অবদান' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

তারেক রহমান বলেন, "একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ হওয়া দরকার, তেমন একটি মানবিক, সহানুভূতিশীল ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে হলে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের নারীদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করে কোনো উন্নত রাষ্ট্র কাঠামো সম্ভব নয়।"

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে নারীদের আত্মত্যাগ অনস্বীকার্য। অনেক মা তার সন্তান হারিয়েছেন, স্ত্রী হারিয়েছেন স্বামীকে, বোন হারিয়েছেন ভাইকে। আমার মা বেগম খালেদা জিয়াও হারিয়েছেন তাঁর প্রিয় সন্তান আরাফাত রহমান কোকোকে। এই আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে আমাদের একটি মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায়, তাহলে প্রথম পর্যায়ে অন্তত ৫০ লাখ প্রান্তিক পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হবে। পরিবারপ্রধান হিসেবে নারীদের নামেই এই কার্ড ইস্যু করা হবে। এর মাধ্যমে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো হবে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে। এতে যেমন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে, তেমনি পরিবারগুলো স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবিক মূল্যবোধ, দক্ষ জনশক্তি গঠন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির অঙ্গীকার। ‘ক্ষমতায়িত নারী শক্তি, পরিবারের মুক্তি’—এই মূলনীতিকে সামনে রেখে বিএনপি নারীদের জন্য শিক্ষা, চাকরি ও ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে কাজ করছে এবং করবে।

বিশ্বায়নের এই যুগে নারীদের পিছিয়ে রাখা মানে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে।”

আলোচনায় নারী উন্নয়নে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি সব সময়ই বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের বাইরে রেখে কোনো রাষ্ট্র উন্নত হতে পারে না। নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র সুদৃঢ় করা যায় না।”

আলোচনার একপর্যায়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদানের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

তারেক রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, সামনে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে তা কাজে লাগাতে হলে নারী সমাজকে পাশে পেতে চায় বিএনপি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য একটি ইনসাফভিত্তিক মানবিক বাংলাদেশ গড়াই হবে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জুলাই, ২০২৫,  10:13 PM

news image

একটি নিরাপদ, মানবিক এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নারী সমাজকে সামনে থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশে যাতে আবারও ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ বা চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে নারীদের হতে হবে সজাগ ও সংগঠিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ দিক থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীর অবদান' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

তারেক রহমান বলেন, "একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ হওয়া দরকার, তেমন একটি মানবিক, সহানুভূতিশীল ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে হলে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের নারীদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করে কোনো উন্নত রাষ্ট্র কাঠামো সম্ভব নয়।"

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে নারীদের আত্মত্যাগ অনস্বীকার্য। অনেক মা তার সন্তান হারিয়েছেন, স্ত্রী হারিয়েছেন স্বামীকে, বোন হারিয়েছেন ভাইকে। আমার মা বেগম খালেদা জিয়াও হারিয়েছেন তাঁর প্রিয় সন্তান আরাফাত রহমান কোকোকে। এই আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে আমাদের একটি মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায়, তাহলে প্রথম পর্যায়ে অন্তত ৫০ লাখ প্রান্তিক পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হবে। পরিবারপ্রধান হিসেবে নারীদের নামেই এই কার্ড ইস্যু করা হবে। এর মাধ্যমে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো হবে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে। এতে যেমন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে, তেমনি পরিবারগুলো স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবিক মূল্যবোধ, দক্ষ জনশক্তি গঠন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির অঙ্গীকার। ‘ক্ষমতায়িত নারী শক্তি, পরিবারের মুক্তি’—এই মূলনীতিকে সামনে রেখে বিএনপি নারীদের জন্য শিক্ষা, চাকরি ও ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে কাজ করছে এবং করবে।

বিশ্বায়নের এই যুগে নারীদের পিছিয়ে রাখা মানে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে।”

আলোচনায় নারী উন্নয়নে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি সব সময়ই বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের বাইরে রেখে কোনো রাষ্ট্র উন্নত হতে পারে না। নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র সুদৃঢ় করা যায় না।”

আলোচনার একপর্যায়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদানের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

তারেক রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, সামনে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে তা কাজে লাগাতে হলে নারী সমাজকে পাশে পেতে চায় বিএনপি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য একটি ইনসাফভিত্তিক মানবিক বাংলাদেশ গড়াই হবে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।