চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না

জেলা প্রতিনিধি
৩১ জুলাই, ২০২৫, 10:45 PM

চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না
নগরীতে সরকারি ন্যায্যমূল্যের চাল-আটা বিক্রির অনিয়ম-দুর্নীতি ও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। বুধবার এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের ডিলারের দোকানে গিয়ে আটা কম পাওয়ায় ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে জালালাবাদ ওয়ার্ডেও খাদ্য বিভাগের চাল পাল্টে নিম্নমানের চাল বিক্রি ও চাল-আটা কম পাওয়ায় ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছিল।চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম কায়সার আলী এ বিষয়ে বলেন, খাদ্য বিভাগের পরিদর্শনে ৭৫০ কেজি আটা কম পাওয়া যায়।
এ অভিযোগে ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছে।ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোটখাটো ভুলের জন্য ডিলারকে ক্ষমা করা যায়। কিন্তু চুরির বিষয়ে ছাড় নেই। কারণ চাল-আটা চুরি করে বাইরে বিক্রি করে দিলে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত হবে।
সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে।খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বুধবার নগরীর ২২নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের দোকানে তদারকি করেন বিশেষ মনিটরিং টিম। এসময় ১০০০ কেজি আটার বদলে ২৫০ কেজি আটা পাওয়া যায়। ৭৫০ কেজি আটা কম ছিল ডিলার মো. শাহাদাতের দোকানে। আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের গঠিত মনিটরিং টিমের পরিদর্শনে আটা চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। অথচ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক ও ট্যাক অফিসাররা ওএমএস বিক্রি শুরু হওয়ার আগে ও পরে তদারকির কথা ছিল।
একাধিক সূত্র জানায়, প্রতি ডিলারকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিদর্শকদের নির্ধারিত হারে ‘উৎকোচ’ গুনতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ডিলার বলেন, প্রতিদিন চাল ও আটা বিক্রিতে এক হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা খাদ্য বিভাগ ‘উৎকোচ’ দিতে হয়। না হয় বরাদ্দের সময় গড়িমসি করে। এছাড়াও খাদ্য পরিদর্শক ও ট্যাক অফিসারদের দুপুরে চা-নাস্তা ও ভাত খাওয়াতে হয়।
দিতে হয় গাড়ি ভাড়াও। এসব গুনতে গুনতে লাভের চেয়ে ক্ষতি গুনতে হচ্ছে ডিলারদের। তাই বাধ্য হয়ে কেউ কেউ কিছুটা চাল-গম বাইরে বিক্রি করার চেষ্টা করে। এই অনিয়ম ও চুরিতে খাদ্য পরিদর্শকদের অনেকটা সায় থাকে। কিন্তু বাধ সেঁধেছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিশেষ মনিটরিং টিম।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীনের মোবাইলে কল দেওয়ার পরও ফোন রিসিভ করেননি।
তবে জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) মো. ফখরুল আলম বলেন, বিক্রি শুরু হওয়ার আগে ৭৫০ কেজি আটা কম ছিল। মিল থেকে গাড়ি আসতে দেরি হওয়ায় তা হয়েছে বলে ডিলার দাবি করেছে। পরে দুই খাদ্য পরিদর্শকের (মনসুর হাবিব ও বিদ্যুৎ চৌধুরী) উপস্থিতিতে বাকি আটা পূরণ করে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়।অভিযোগ রয়েছে, খাদ্য পরিদর্শকদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভালো মানের চাল পাল্টিয়ে নিম্নমানের চাল বিক্রি করা হয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দলীয় নিয়োগ পাওয়া ডিলার ও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী কয়েকজন খাদ্য পরিদর্শক সিন্ডিকেট এই গোঁজামিলের সঙ্গে জড়িত। গত সরকারের আমলের ক্ষমতাভোগী এক পরিদর্শক বদলি হয়ে এসে পুরোনো কায়দায় গোঁজামিল ও জালিয়াতি চক্র গড়ে তুলেছে। সরকারি চাল-আটা চুরি ও অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু হয়েছে।
জেলা প্রতিনিধি
৩১ জুলাই, ২০২৫, 10:45 PM

নগরীতে সরকারি ন্যায্যমূল্যের চাল-আটা বিক্রির অনিয়ম-দুর্নীতি ও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। বুধবার এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের ডিলারের দোকানে গিয়ে আটা কম পাওয়ায় ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে জালালাবাদ ওয়ার্ডেও খাদ্য বিভাগের চাল পাল্টে নিম্নমানের চাল বিক্রি ও চাল-আটা কম পাওয়ায় ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছিল।চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম কায়সার আলী এ বিষয়ে বলেন, খাদ্য বিভাগের পরিদর্শনে ৭৫০ কেজি আটা কম পাওয়া যায়।
এ অভিযোগে ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছে।ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোটখাটো ভুলের জন্য ডিলারকে ক্ষমা করা যায়। কিন্তু চুরির বিষয়ে ছাড় নেই। কারণ চাল-আটা চুরি করে বাইরে বিক্রি করে দিলে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত হবে।
সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে।খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বুধবার নগরীর ২২নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের দোকানে তদারকি করেন বিশেষ মনিটরিং টিম। এসময় ১০০০ কেজি আটার বদলে ২৫০ কেজি আটা পাওয়া যায়। ৭৫০ কেজি আটা কম ছিল ডিলার মো. শাহাদাতের দোকানে। আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের গঠিত মনিটরিং টিমের পরিদর্শনে আটা চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। অথচ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক ও ট্যাক অফিসাররা ওএমএস বিক্রি শুরু হওয়ার আগে ও পরে তদারকির কথা ছিল।
একাধিক সূত্র জানায়, প্রতি ডিলারকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিদর্শকদের নির্ধারিত হারে ‘উৎকোচ’ গুনতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ডিলার বলেন, প্রতিদিন চাল ও আটা বিক্রিতে এক হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা খাদ্য বিভাগ ‘উৎকোচ’ দিতে হয়। না হয় বরাদ্দের সময় গড়িমসি করে। এছাড়াও খাদ্য পরিদর্শক ও ট্যাক অফিসারদের দুপুরে চা-নাস্তা ও ভাত খাওয়াতে হয়।
দিতে হয় গাড়ি ভাড়াও। এসব গুনতে গুনতে লাভের চেয়ে ক্ষতি গুনতে হচ্ছে ডিলারদের। তাই বাধ্য হয়ে কেউ কেউ কিছুটা চাল-গম বাইরে বিক্রি করার চেষ্টা করে। এই অনিয়ম ও চুরিতে খাদ্য পরিদর্শকদের অনেকটা সায় থাকে। কিন্তু বাধ সেঁধেছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিশেষ মনিটরিং টিম।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীনের মোবাইলে কল দেওয়ার পরও ফোন রিসিভ করেননি।
তবে জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) মো. ফখরুল আলম বলেন, বিক্রি শুরু হওয়ার আগে ৭৫০ কেজি আটা কম ছিল। মিল থেকে গাড়ি আসতে দেরি হওয়ায় তা হয়েছে বলে ডিলার দাবি করেছে। পরে দুই খাদ্য পরিদর্শকের (মনসুর হাবিব ও বিদ্যুৎ চৌধুরী) উপস্থিতিতে বাকি আটা পূরণ করে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়।অভিযোগ রয়েছে, খাদ্য পরিদর্শকদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভালো মানের চাল পাল্টিয়ে নিম্নমানের চাল বিক্রি করা হয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দলীয় নিয়োগ পাওয়া ডিলার ও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী কয়েকজন খাদ্য পরিদর্শক সিন্ডিকেট এই গোঁজামিলের সঙ্গে জড়িত। গত সরকারের আমলের ক্ষমতাভোগী এক পরিদর্শক বদলি হয়ে এসে পুরোনো কায়দায় গোঁজামিল ও জালিয়াতি চক্র গড়ে তুলেছে। সরকারি চাল-আটা চুরি ও অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু হয়েছে।