শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

ইসলাম ধর্ম প্রচারে  বাংলাদেশে প্রথম মসজিদ নির্মাণ ধামইরহাটে

#
news image

ইসলাম ধর্ম প্রচারে বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণ নওগাঁর ধামইরহাটের মাহিশন্তোষ, বঙ্গ দেশে ইসলামের আগমন ও ধর্ম প্রচার কেন্দ্র ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত।

বরেন্দ্র ভুমির ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষক ও লেখক প্রভাষক মো. আব্দুর রাজজাক (রাজু) স্যার মাহিশন্তোষ সম্পর্কে জানান, নওগাঁর জেলার ধামইরহাট উপজেলায় মাহিশন্তোষে বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণ ধর্ম প্রচার কেন্দ্র ও তৎকালীন প্রশাসনিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি ও ইসলামের মহামুল্যবান বাণী প্রচারে বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিলো মাহিশন্তোষ। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম যুগে তৈরি মসজিদগুলি ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করতো।

মসজিদের মধ্যে মক্তব স্থাপন করে মুসলমান শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হতো।  কোরআন, হাদিসের প্রাথমিক পাঠ এবং আরবি, ফারসি ভাষায় হাতেখড়ি হতো এই সকল মসজিদে। বলা বাহুল্য মাহিশন্তোষের মসজিদ গুলিও ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে একই ধরনের ভূমিকা রাখত। অর্থনৈতিক, শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি ও ইসলামের মহামুল্যবান বাণী প্রচারে  বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্হান ছিলো (ভারতের যাদুঘরে -পৃঃ ১৯) মসজিদের মূল অবকাটমো আবিষ্কার।

ড, ইয়াকুব আলী ও এবি, এম হোসেনের মতে-এখানে একটি বড় ধরনের মসজিদ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাচীন এই মসজিদটি সমতল ভুমি থেকে ৩-৪ ফুট উঁচু অস্তিত্ব নিয়ে এখনো অনেকাংশ টিকে আছে। একে বারোদুয়ারী মসজিদ নামে অভিহিত করা হয়েছে। আকার ও বৈশিষ্ট্য উন্মোচন এই প্রাচীন মসজিদটি উত্তর দক্ষিনে লম্বা আয়তাকার এর অভ্যন্তর ভাগের দৈর্ঘ্য ছিলো ৬৬ ফুট এবং প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৩৯ ফুট। ৭ ফুট প্রসস্থ দেওয়াল এর সঙ্গে যুক্ত করলে মসজিদটির বহির্মাপ দাঁড়ায় ৮০×৫৪ ফুট। এর পূর্ব দেওয়ালে পাঁচটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে তিনটি  করে দর্জা ছিলো। মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে সমান দূরত্বে পাথর দিয়ে নির্মিত পাঁচটি মেহরাব ছিলো। অপূর্ব শিল্প শৈলীর একটি মেহরাব বরেন্দ্র যাদুঘরে নিয়ে গিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান বরেন্দ্র ভুমির ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষক ও লেখক, প্রভাষক মো. আব্দুর রাজজাক (রাজু)।

মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ)

২৮ মে, ২০২৩,  6:09 PM

news image

ইসলাম ধর্ম প্রচারে বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণ নওগাঁর ধামইরহাটের মাহিশন্তোষ, বঙ্গ দেশে ইসলামের আগমন ও ধর্ম প্রচার কেন্দ্র ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত।

বরেন্দ্র ভুমির ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষক ও লেখক প্রভাষক মো. আব্দুর রাজজাক (রাজু) স্যার মাহিশন্তোষ সম্পর্কে জানান, নওগাঁর জেলার ধামইরহাট উপজেলায় মাহিশন্তোষে বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণ ধর্ম প্রচার কেন্দ্র ও তৎকালীন প্রশাসনিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি ও ইসলামের মহামুল্যবান বাণী প্রচারে বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিলো মাহিশন্তোষ। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম যুগে তৈরি মসজিদগুলি ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করতো।

মসজিদের মধ্যে মক্তব স্থাপন করে মুসলমান শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হতো।  কোরআন, হাদিসের প্রাথমিক পাঠ এবং আরবি, ফারসি ভাষায় হাতেখড়ি হতো এই সকল মসজিদে। বলা বাহুল্য মাহিশন্তোষের মসজিদ গুলিও ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে একই ধরনের ভূমিকা রাখত। অর্থনৈতিক, শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি ও ইসলামের মহামুল্যবান বাণী প্রচারে  বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্হান ছিলো (ভারতের যাদুঘরে -পৃঃ ১৯) মসজিদের মূল অবকাটমো আবিষ্কার।

ড, ইয়াকুব আলী ও এবি, এম হোসেনের মতে-এখানে একটি বড় ধরনের মসজিদ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাচীন এই মসজিদটি সমতল ভুমি থেকে ৩-৪ ফুট উঁচু অস্তিত্ব নিয়ে এখনো অনেকাংশ টিকে আছে। একে বারোদুয়ারী মসজিদ নামে অভিহিত করা হয়েছে। আকার ও বৈশিষ্ট্য উন্মোচন এই প্রাচীন মসজিদটি উত্তর দক্ষিনে লম্বা আয়তাকার এর অভ্যন্তর ভাগের দৈর্ঘ্য ছিলো ৬৬ ফুট এবং প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৩৯ ফুট। ৭ ফুট প্রসস্থ দেওয়াল এর সঙ্গে যুক্ত করলে মসজিদটির বহির্মাপ দাঁড়ায় ৮০×৫৪ ফুট। এর পূর্ব দেওয়ালে পাঁচটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে তিনটি  করে দর্জা ছিলো। মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে সমান দূরত্বে পাথর দিয়ে নির্মিত পাঁচটি মেহরাব ছিলো। অপূর্ব শিল্প শৈলীর একটি মেহরাব বরেন্দ্র যাদুঘরে নিয়ে গিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান বরেন্দ্র ভুমির ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষক ও লেখক, প্রভাষক মো. আব্দুর রাজজাক (রাজু)।