শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

ভুলবশত গিবত করে ফেললে যা করণীয়

#
news image

ইসলামে গিবত অর্থাৎ পেছনে সমালোচনা, দোষচর্চা অত্যন্ত গর্হিত পাপ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা গিবত করতে নিষেধ করেছেন এবং এটাকে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার মতো গর্হিত কাজ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا كَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُكُمۡ بَعۡضًا اَیُحِبُّ اَحَدُكُمۡ اَنۡ یَّاۡكُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَكَرِهۡتُمُوۡهُ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ

হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান গুনাহের কাজ। আর তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু। (সুরা হুজুরাত: ১২)

গিবত কাকে বলে?

গিবত কাকে বলে তা আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) হাদিস থেকে জানতে পারি। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একদিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আপনারা কি জানেন, গিবত কাকে বলে? সাহাবিরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল ভালো জানেন। রাসুল (সা.) বললেন, আপনার ভাই যা অপছন্দ করে, তা তার অনুপস্থিতিতে আলোচনা করাই গিবত। এক সাহাবি বললেন, যদি আমি এমন কোনো দোষের কথা বলি যা তার মধ্যে আছে, তাহলেও কি গিবত হবে? রাসুল (সা.) বললেন, আপনি যে দোষের কথা বললেন, তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তো তা গিবত হলো। আপনি যদি এমন কিছু বলেন যা তার মধ্যে নেই, তাহলে তো আপনি তাকে অপবাদ দিলেন! (সহিহ মুসলিম)

কারো গিবত করে ফেললে কী করবেন?

১. নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

২. যে ব্যক্তির গিবত করেছেন, তাকে গিবত করার কথা জানিয়ে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব হলে ক্ষমা চান। তবে যদি ক্ষমা চাইতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয় থাকে, তার ভুল বোঝা ও সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়াার প্রয়োজন নেই।

৩. যার গিবত করেছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। এটা গিফতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

৪. যাদের সামনে গিবত করেছেন, তাদের সামনে ওই ব্যক্তির প্রশংসা করুন। এটাও গিবতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

গিবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে

গিবত করা যেমন গুনাহের কাজ, গিবতকারীর কথা চুপচাপ শোনাও গুনাহের কাজ। তাই গিবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কেউ গিবত করা শুরু করলে তাকে নিষেধ করতে হবে, নসিহত করতে হবে, তারপরও সে বিরত না হলে ওই মজলিস ত্যাগ করা ওয়াজিব। বিখ্যাত তাবেঈ সাইদ ইবনে জুবাইর (রহ.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি কোনো গিবতকারীকে তার কাছে বসতে দিতেন না। মুসা ইবনে ইবরাহিম বলেন, একদিন আমি মারুফ কারখির (রহ.) মজলিসে বসে ছিলাম। সেখানে এক ব্যক্তি আরেকজন সম্পর্কে কথা বলতে বলতে গিবত করা শুরু করলো। মারুফ কারখি (রহ.) তাকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, ওই সময়ের কথা স্মরণ করো, যখন তোমার চোখে তুলা দেওয়া হবে। (হিলয়াতুল আওলিয়া)

অনলাইন ডেস্ক

২৭ জুন, ২০২৫,  12:31 AM

news image

ইসলামে গিবত অর্থাৎ পেছনে সমালোচনা, দোষচর্চা অত্যন্ত গর্হিত পাপ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা গিবত করতে নিষেধ করেছেন এবং এটাকে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার মতো গর্হিত কাজ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا كَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُكُمۡ بَعۡضًا اَیُحِبُّ اَحَدُكُمۡ اَنۡ یَّاۡكُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَكَرِهۡتُمُوۡهُ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ

হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান গুনাহের কাজ। আর তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু। (সুরা হুজুরাত: ১২)

গিবত কাকে বলে?

গিবত কাকে বলে তা আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) হাদিস থেকে জানতে পারি। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একদিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আপনারা কি জানেন, গিবত কাকে বলে? সাহাবিরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল ভালো জানেন। রাসুল (সা.) বললেন, আপনার ভাই যা অপছন্দ করে, তা তার অনুপস্থিতিতে আলোচনা করাই গিবত। এক সাহাবি বললেন, যদি আমি এমন কোনো দোষের কথা বলি যা তার মধ্যে আছে, তাহলেও কি গিবত হবে? রাসুল (সা.) বললেন, আপনি যে দোষের কথা বললেন, তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তো তা গিবত হলো। আপনি যদি এমন কিছু বলেন যা তার মধ্যে নেই, তাহলে তো আপনি তাকে অপবাদ দিলেন! (সহিহ মুসলিম)

কারো গিবত করে ফেললে কী করবেন?

১. নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

২. যে ব্যক্তির গিবত করেছেন, তাকে গিবত করার কথা জানিয়ে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব হলে ক্ষমা চান। তবে যদি ক্ষমা চাইতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয় থাকে, তার ভুল বোঝা ও সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়াার প্রয়োজন নেই।

৩. যার গিবত করেছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। এটা গিফতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

৪. যাদের সামনে গিবত করেছেন, তাদের সামনে ওই ব্যক্তির প্রশংসা করুন। এটাও গিবতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

গিবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে

গিবত করা যেমন গুনাহের কাজ, গিবতকারীর কথা চুপচাপ শোনাও গুনাহের কাজ। তাই গিবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কেউ গিবত করা শুরু করলে তাকে নিষেধ করতে হবে, নসিহত করতে হবে, তারপরও সে বিরত না হলে ওই মজলিস ত্যাগ করা ওয়াজিব। বিখ্যাত তাবেঈ সাইদ ইবনে জুবাইর (রহ.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি কোনো গিবতকারীকে তার কাছে বসতে দিতেন না। মুসা ইবনে ইবরাহিম বলেন, একদিন আমি মারুফ কারখির (রহ.) মজলিসে বসে ছিলাম। সেখানে এক ব্যক্তি আরেকজন সম্পর্কে কথা বলতে বলতে গিবত করা শুরু করলো। মারুফ কারখি (রহ.) তাকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, ওই সময়ের কথা স্মরণ করো, যখন তোমার চোখে তুলা দেওয়া হবে। (হিলয়াতুল আওলিয়া)