শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

তিন পাত্তি গোল্ডের শতকোটি টাকা লোপাট

#
news image

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মুনফ্রগ ল্যাব তিন পাত্তিসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন গেমসের আড়ালে দেশ থেকে ২০০ কোটি টাকা সরিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশী প্রতিনিধি জামিলুর রশিদসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র‍্যাব।

বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে দেশে অনলাইনে ‘তিন পাত্তি গোল্ড’সহ বিভিন্ন জুয়া পরিচালনার অভিযোগে রাজধানীতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রোববার রাতে মহাখালী ও উত্তরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- জামিলুর রশিদ (৩১), সায়মন হোসেন (২৯), মো. রিদোয়ান আহমেদ (২৯),  মো. রাকিবুল আলম (২৯), মো. মুনতাকিম আহমেদ (৩৭), ও কায়েস উদ্দিন আহম্মেদ (৩২)।

তাদের মধ্যে জামিলুর রশিদ এই অনলাইন জুয়া চক্রের ‘হোতা’ জানিয়ে র‌্যাব বলছে, পাঁচ বছর আগে দুটি গেম ডেভেলপ করার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছিলেন তিনি।

পাশের দেশের একটি কোম্পানির জুয়ার অ্যাপ ‘তিন পাত্তি গোল্ড’ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেন জামিলুর। আর এর জন্য তিনি বাংলাদেশে ‘উল্কা গেমস লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানি খোলেন।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানতে পারে, অর্থের বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হয় ভার্চুয়াল চিপস। মূলত বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চিপস বিক্রির টাকা ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকে সংগ্রহ করা হত। বর্তমানে উল্কা গেমসের ৪টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮০ কোটির অধিক টাকা রয়েছে। এছাড়াও গত দুই বছর তারা মুনফ্রগ ল্যাবকে ব্যাংকের মাধ্যমে ২৯ কোটি টাকা দিয়েছে। উল্কা গেমসের মোট ৩৬ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী ছিল। তাদের বেতনসহ অফিস পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হত।
ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন জামিলুর রশিদ। পরে প্রাচ্যের একটি দেশ থেকে ২০১২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ছোটকাল থেকেই মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে মোবাইল গেমস তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। হিরোজ অফ ৭১ ও মুক্তি ক্যাম্প নামক ২০১৭ সালে দুইটি গেমস নির্মাণের জন্য সরকারের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে তিনি মুনফ্রগ ল্যাবের গেমস ডিজাইন কনসালটেন্ট ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন। পরে ২০১৯ সালে উল্কা গেমস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সিইও হিসেবে নিযুক্ত হয়ে তিনি মুনফ্রগ থেকে মাসিক প্রায় ৪ লাখ টাকা বেতন নিতেন। বিভিন্ন একাউন্টে তার বেশকিছু টাকা, একটি দামি গাড়ি এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।
জামিলুর রশিদসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

অনলাইন ডেস্ক

৩১ অক্টোবর, ২০২২,  11:40 PM

news image

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মুনফ্রগ ল্যাব তিন পাত্তিসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন গেমসের আড়ালে দেশ থেকে ২০০ কোটি টাকা সরিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশী প্রতিনিধি জামিলুর রশিদসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র‍্যাব।

বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে দেশে অনলাইনে ‘তিন পাত্তি গোল্ড’সহ বিভিন্ন জুয়া পরিচালনার অভিযোগে রাজধানীতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রোববার রাতে মহাখালী ও উত্তরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- জামিলুর রশিদ (৩১), সায়মন হোসেন (২৯), মো. রিদোয়ান আহমেদ (২৯),  মো. রাকিবুল আলম (২৯), মো. মুনতাকিম আহমেদ (৩৭), ও কায়েস উদ্দিন আহম্মেদ (৩২)।

তাদের মধ্যে জামিলুর রশিদ এই অনলাইন জুয়া চক্রের ‘হোতা’ জানিয়ে র‌্যাব বলছে, পাঁচ বছর আগে দুটি গেম ডেভেলপ করার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছিলেন তিনি।

পাশের দেশের একটি কোম্পানির জুয়ার অ্যাপ ‘তিন পাত্তি গোল্ড’ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেন জামিলুর। আর এর জন্য তিনি বাংলাদেশে ‘উল্কা গেমস লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানি খোলেন।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানতে পারে, অর্থের বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হয় ভার্চুয়াল চিপস। মূলত বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চিপস বিক্রির টাকা ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকে সংগ্রহ করা হত। বর্তমানে উল্কা গেমসের ৪টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮০ কোটির অধিক টাকা রয়েছে। এছাড়াও গত দুই বছর তারা মুনফ্রগ ল্যাবকে ব্যাংকের মাধ্যমে ২৯ কোটি টাকা দিয়েছে। উল্কা গেমসের মোট ৩৬ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী ছিল। তাদের বেতনসহ অফিস পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হত।
ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন জামিলুর রশিদ। পরে প্রাচ্যের একটি দেশ থেকে ২০১২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ছোটকাল থেকেই মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে মোবাইল গেমস তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। হিরোজ অফ ৭১ ও মুক্তি ক্যাম্প নামক ২০১৭ সালে দুইটি গেমস নির্মাণের জন্য সরকারের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে তিনি মুনফ্রগ ল্যাবের গেমস ডিজাইন কনসালটেন্ট ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন। পরে ২০১৯ সালে উল্কা গেমস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সিইও হিসেবে নিযুক্ত হয়ে তিনি মুনফ্রগ থেকে মাসিক প্রায় ৪ লাখ টাকা বেতন নিতেন। বিভিন্ন একাউন্টে তার বেশকিছু টাকা, একটি দামি গাড়ি এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।
জামিলুর রশিদসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।