শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ

#
news image

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধানে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন, কর্মপরিধি ও নিরাপত্তায় সাত দফা সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসাথে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপসের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরও কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতামত চেয়েছে ইসি। 

ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোমে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সিনিয়র জেলা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।  

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯(১খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের জন্য একজন প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসারকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করে থাকেন। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতায়ন, কর্মপরিধি (দায়িত্ব ও কর্তব্য) ও নিরাপত্তা বিধান অত্যাবশ্যক। ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধানে প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ জোরালো করা প্রয়োজন মর্মে নির্বাচন কমিশন নিম্নরূপ সুপারিশ প্রদান করেছেন: 

প্রথম: প্রিজাইডিং অফিসার ও তার টিম মালামালসহ কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যথোপযুক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

দ্বিতীয়: মালামাল গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দাখিল করা অবধি একজন আনসার বা পুলিশ সদস্যকে দেহরক্ষী হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে নিয়োজিত করা।

তৃতীয়: প্রিজাইডিং অফিসারকে সহযোগিতা করার জন্য একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেয়া।

চতুর্থ: যতদূর সম্ভব কেন্দ্রের সকল মালামাল ও জনবল একইসঙ্গে কেন্দ্রে যাওয়া এবং অবস্থান বাধ্যতামূলক করা।

পঞ্চম: প্রিজাইডিং অফিসার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতে তাদের কেন্দ্রের জনবলের আহারের ব্যবস্থা করেন তা নিশ্চিত করা।

ষষ্ঠ: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৯ক অনুচ্ছেদ অনুসরণে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়নের বিষয় বিবেচনা নেয়া।

সপ্তম: মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা।

এছাড়া নির্বাচন কমিশন উপরোল্লিখিত বিষয়াদির সাথে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপস এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরও কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে জরুরি ভিত্তিতে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপস এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরো কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মতামত প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ 

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

০৫ আগস্ট, ২০২৫,  10:03 PM

news image

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধানে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন, কর্মপরিধি ও নিরাপত্তায় সাত দফা সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসাথে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপসের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরও কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতামত চেয়েছে ইসি। 

ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোমে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সিনিয়র জেলা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।  

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯(১খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের জন্য একজন প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসারকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করে থাকেন। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতায়ন, কর্মপরিধি (দায়িত্ব ও কর্তব্য) ও নিরাপত্তা বিধান অত্যাবশ্যক। ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধানে প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ জোরালো করা প্রয়োজন মর্মে নির্বাচন কমিশন নিম্নরূপ সুপারিশ প্রদান করেছেন: 

প্রথম: প্রিজাইডিং অফিসার ও তার টিম মালামালসহ কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যথোপযুক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

দ্বিতীয়: মালামাল গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দাখিল করা অবধি একজন আনসার বা পুলিশ সদস্যকে দেহরক্ষী হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে নিয়োজিত করা।

তৃতীয়: প্রিজাইডিং অফিসারকে সহযোগিতা করার জন্য একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেয়া।

চতুর্থ: যতদূর সম্ভব কেন্দ্রের সকল মালামাল ও জনবল একইসঙ্গে কেন্দ্রে যাওয়া এবং অবস্থান বাধ্যতামূলক করা।

পঞ্চম: প্রিজাইডিং অফিসার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতে তাদের কেন্দ্রের জনবলের আহারের ব্যবস্থা করেন তা নিশ্চিত করা।

ষষ্ঠ: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৯ক অনুচ্ছেদ অনুসরণে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়নের বিষয় বিবেচনা নেয়া।

সপ্তম: মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা।

এছাড়া নির্বাচন কমিশন উপরোল্লিখিত বিষয়াদির সাথে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপস এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরও কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে জরুরি ভিত্তিতে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপস এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরো কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মতামত প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’