‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর

নাগরিক সংবাদ অনলাইন
০৫ আগস্ট, ২০২৫, 9:59 PM

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর
জল্পনা-কল্পনা শেষে অবশেষে ঘোষণা করা হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্র। আজ সন্ধ্যা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করেন ঘোষণাপত্রটি। কিন্তু এ ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে বাংলাদেশ জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের দেখিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তিনি প্রকাশ করেন হতাশা। এই ঘোষণাপত্রে জুলাই বিপ্লবের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি এবং এটি রচনার মতো হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন জামায়াতের এই নেতা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে নায়েবে আমীর বলেন, “ঘোষণাপত্র সংবিধানে স্থান দেয়ার কথা ছিল। সংবিধানে প্রিয়াম্বেলে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। এছাড়াও ৫ আগস্ট থেকে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন হবে বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু এটা কখন থেকে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো নির্দেশিকা নেই। ঘোষণাপত্রে জুলাই আন্দোলনে শহিদ পরিবার কিংবা আহত যারা আছে তাদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই।
মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেভাবে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য কোন সম্মাননা রাখা হয়নি, জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আজীবন ভাতা দেয়ার প্রস্তাব করেছিলো জামায়াত, এসব বিষয়ে ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। এটা এক ধরনের রচনার মতো হয়ে গেছে। এসব কারণেই আমরা হতাশ, পুরো জাতি হতাশ।”
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির ঘোষণা দেওয়া হয় জুলাই ঘোষণাপত্রে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে। ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে উল্লেখ করা হবে।
একই সঙ্গে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয় ঘোষণাপত্রে।
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
০৫ আগস্ট, ২০২৫, 9:59 PM

জল্পনা-কল্পনা শেষে অবশেষে ঘোষণা করা হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্র। আজ সন্ধ্যা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করেন ঘোষণাপত্রটি। কিন্তু এ ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে বাংলাদেশ জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের দেখিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তিনি প্রকাশ করেন হতাশা। এই ঘোষণাপত্রে জুলাই বিপ্লবের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি এবং এটি রচনার মতো হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন জামায়াতের এই নেতা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে নায়েবে আমীর বলেন, “ঘোষণাপত্র সংবিধানে স্থান দেয়ার কথা ছিল। সংবিধানে প্রিয়াম্বেলে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। এছাড়াও ৫ আগস্ট থেকে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন হবে বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু এটা কখন থেকে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো নির্দেশিকা নেই। ঘোষণাপত্রে জুলাই আন্দোলনে শহিদ পরিবার কিংবা আহত যারা আছে তাদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই।
মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেভাবে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য কোন সম্মাননা রাখা হয়নি, জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আজীবন ভাতা দেয়ার প্রস্তাব করেছিলো জামায়াত, এসব বিষয়ে ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। এটা এক ধরনের রচনার মতো হয়ে গেছে। এসব কারণেই আমরা হতাশ, পুরো জাতি হতাশ।”
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির ঘোষণা দেওয়া হয় জুলাই ঘোষণাপত্রে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে। ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে উল্লেখ করা হবে।
একই সঙ্গে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয় ঘোষণাপত্রে।