শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

#
news image

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন উত্তেজনার মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।

ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন বুধবার (৩০ জুলাই)। সেখানে তিনি লেখেন, “ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে আমরা তাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে কম বাণিজ্য করেছি। এর প্রধান কারণ—ভারতের উচ্চ হারে শুল্ক এবং কঠিন অশুল্ক বাধা।” তাঁর দাবি, ভারতের শুল্কহার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং তারা অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ‘বিরক্তিকর আর্থিক-বহির্ভূত’ প্রতিবন্ধকতা ব্যবহার করে থাকে।

ট্রাম্পের পোস্টে ভারত-রাশিয়া সামরিক সম্পর্ক নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, “ভারত সবসময় তাদের সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনে থাকে। পাশাপাশি তারা চীনের মতোই রাশিয়ার জ্বালানির অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা।” তাঁর ভাষায়, এমন সময়ে যখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ চায় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ হোক, তখন ভারতের এই অবস্থান ‘ভালো লক্ষণ নয়’।

ঘোষণায় ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ১ আগস্ট থেকে ভারত ‘একটি অনির্দিষ্ট দণ্ডের’ মুখোমুখি হবে। তবে এই দণ্ডের প্রকৃতি কী, কিংবা তা কেন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়া ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দিল্লি সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলে সমাধানের পথ খুঁজছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এ ঘোষণা কেবল বাণিজ্যিক নয়, বরং ভূরাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ও রাশিয়ার প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে একে দেখা যেতে পারে।

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

৩০ জুলাই, ২০২৫,  10:03 PM

news image

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন উত্তেজনার মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।

ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন বুধবার (৩০ জুলাই)। সেখানে তিনি লেখেন, “ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে আমরা তাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে কম বাণিজ্য করেছি। এর প্রধান কারণ—ভারতের উচ্চ হারে শুল্ক এবং কঠিন অশুল্ক বাধা।” তাঁর দাবি, ভারতের শুল্কহার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং তারা অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ‘বিরক্তিকর আর্থিক-বহির্ভূত’ প্রতিবন্ধকতা ব্যবহার করে থাকে।

ট্রাম্পের পোস্টে ভারত-রাশিয়া সামরিক সম্পর্ক নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, “ভারত সবসময় তাদের সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনে থাকে। পাশাপাশি তারা চীনের মতোই রাশিয়ার জ্বালানির অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা।” তাঁর ভাষায়, এমন সময়ে যখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ চায় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ হোক, তখন ভারতের এই অবস্থান ‘ভালো লক্ষণ নয়’।

ঘোষণায় ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ১ আগস্ট থেকে ভারত ‘একটি অনির্দিষ্ট দণ্ডের’ মুখোমুখি হবে। তবে এই দণ্ডের প্রকৃতি কী, কিংবা তা কেন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়া ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দিল্লি সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলে সমাধানের পথ খুঁজছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এ ঘোষণা কেবল বাণিজ্যিক নয়, বরং ভূরাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ও রাশিয়ার প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে একে দেখা যেতে পারে।