নিউইয়র্কে বন্দুক হামলা: বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২৯ জুলাই, ২০২৫, 11:56 PM

নিউইয়র্কে বন্দুক হামলা: বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশিও ছিলেন। নিহত বাংলাদেশি ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক শহরের একটি অফিস ভবনে স্থানীয় সময় সোমবার এক বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ছুটিতে থাকা কর্মকর্তা এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে বন্দুকধারী নিজেই আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম (৩৬)। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিন বছর ছয় মাস কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা এবং তার দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, “তিনি যেমন বেঁচেছেন, তেমনই বিদায় নিয়েছেন- একজন বীরের মতো।”
বন্দুকধারীর নাম শেন তামুরা, তিনি লাস ভেগাসের বাসিন্দা। তার মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পূর্ব ইতিহাস রয়েছে। তবে কী কারণে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। তিনি বলেন, “পাঁচজন নিরপরাধ মানুষকে গুলি করা হয়েছে।”
নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি একটি পার্ক করা বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে এম৪ রাইফেল হাতে নিয়ে ভবনের দিকে এগিয়ে যায়। ভবনে ঢ়ুকেই সে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গুলি চালায় এবং আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করা এক নারীকে গুলি করে। এরপর লবিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
পুলিশ জানায়, বন্দুকধারী পরে এলিভেটরের দিকে যায় এবং নিরাপত্তা ডেস্কের পেছনে লুকিয়ে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মী ও লবিতে থাকা আরও একজনকে গুলি করে। এরপর সে ভবনের ৩৩ তলায় উঠে একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে একজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার পর স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নিউইয়র্ক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পার্ক অ্যাভিনিউর ওই অফিস ভবনে গিয়ে উপস্থিত হন। ভবনটিতে দেশের শীর্ষ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) অফিস রয়েছে।
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২৯ জুলাই, ২০২৫, 11:56 PM

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশিও ছিলেন। নিহত বাংলাদেশি ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক শহরের একটি অফিস ভবনে স্থানীয় সময় সোমবার এক বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ছুটিতে থাকা কর্মকর্তা এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে বন্দুকধারী নিজেই আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম (৩৬)। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিন বছর ছয় মাস কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা এবং তার দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, “তিনি যেমন বেঁচেছেন, তেমনই বিদায় নিয়েছেন- একজন বীরের মতো।”
বন্দুকধারীর নাম শেন তামুরা, তিনি লাস ভেগাসের বাসিন্দা। তার মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পূর্ব ইতিহাস রয়েছে। তবে কী কারণে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। তিনি বলেন, “পাঁচজন নিরপরাধ মানুষকে গুলি করা হয়েছে।”
নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি একটি পার্ক করা বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে এম৪ রাইফেল হাতে নিয়ে ভবনের দিকে এগিয়ে যায়। ভবনে ঢ়ুকেই সে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গুলি চালায় এবং আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করা এক নারীকে গুলি করে। এরপর লবিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
পুলিশ জানায়, বন্দুকধারী পরে এলিভেটরের দিকে যায় এবং নিরাপত্তা ডেস্কের পেছনে লুকিয়ে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মী ও লবিতে থাকা আরও একজনকে গুলি করে। এরপর সে ভবনের ৩৩ তলায় উঠে একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে একজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার পর স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নিউইয়র্ক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পার্ক অ্যাভিনিউর ওই অফিস ভবনে গিয়ে উপস্থিত হন। ভবনটিতে দেশের শীর্ষ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) অফিস রয়েছে।