শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

ফরিদপুরের মধুখালীতে কালীগঙ্গায়  হাজার হাজার পূণ্যার্থীর অংশগ্রহণে গঙ্গা স্নান

#
news image

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে কালীগঙ্গায় হাজার হাজার পূণ্যার্থীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। (২৪ ফেব্রুয়ারি) শনিবার ভোর  থেকেই ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের শ্রীশ্রী শ্মশান কালী পূজা উদযাপন উপলক্ষে মহা শ্মশান ঘাটের কালীগঙ্গা নদীতে এ পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মতো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পুণ্যস্নান অনুষ্ঠানে পাপমুক্ত হয়ে পূণ্য লাভের আশায় বিভন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থী কালীগঙ্গা নদীর মহা শ্মশান ঘাটে ভিড় জমাতে থাকেন। গঙ্গাস্নানে নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ হয়ে পূণ্যার্থীরা দুহাত জোর করে মা গঙ্গা মন্ত্র, আসমন, পুরোহিত সূর্যাগ্য নানা মন্ত্র পাঠ করে। শেষে পবিত্র হতে নদীর জলে স্নান করছেন পূণ্যার্থীরা। 

পূণ্যার্থীরা জানান, অন্য যে কোনো স্নানের চেয়ে এ স্নানে হাজার হাজার গুণ পূণ্য বলে বিভিন্ন স্থান থেকে তারা গঙ্গা স্নান করতে এসেছেন। মধুখালী উপজেলার গাজনা থেকে আসা পূণ্যার্থী বিথীকা দাম জানান, আমি প্রায় আট-দশ বছর ধরে এখানে পবিত্র হতে গঙ্গাস্নান করতে আসি। এছাড়াও পূণ্যস্নানের পরে এখানে আয়োজন করা হয় শ্মশান কালী পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের পূজা ও কীর্তন। এ উপলক্ষে মহা শ্মশান কালী ঘাটে ও নদীর পাড় এলাকা জুড়ে রকমারী পসরা নিয়ে বসেছে বিশাল মেলা। মেলায় দূরদূরান্ত থেকে এসে জড়ো হয়েছে সাধু সন্ন্যাসীরা ও দর্শনার্থীরা। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা রইলো। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে এখানে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এ উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থার পাশাপাশি আমাদের পুলিশ বাহিনী মেলার প্রতিটি স্থানে সারাদিন তত্ত্বাবধানে রাখবে। যাতে এখানে কোন বিশৃঙ্খলা ঘটতে না পারে।

এ বিষ়য়ে মহা শ্মশান ঘাটের সেবাইত কাঙ্গাল অনিল সাধু বলেন, মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে বছরের এই সময়টায় প্রতিবছর এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে পূণ্যার্থীরা এখানে সমবেত হন। এ পুণ্যস্নানের মাধ্যমে মায়ের কাছে প্রার্থনা করে নিজেদের পাপ মোচন করে থাকে। কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সুবল সাহার সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক (বকু), সাংবাদিক নিরঞ্জন মিত্র প্রমুখ। দিনব্যাপী আনন্দ বাজারে প্রসাদের আয়োজনে ছিলেন কানাইপুর মিষ্টি ব্যাবসায়ী গোবিন্দ সাহা, শংকর কুন্ডু সহ কানাইপুর বাজারের অন্যন্য ব্যাবসায়ীবৃন্দ।

নিরঞ্জন মিত্র নিরু, ফরিদপুর

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  8:31 PM

news image

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে কালীগঙ্গায় হাজার হাজার পূণ্যার্থীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। (২৪ ফেব্রুয়ারি) শনিবার ভোর  থেকেই ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের শ্রীশ্রী শ্মশান কালী পূজা উদযাপন উপলক্ষে মহা শ্মশান ঘাটের কালীগঙ্গা নদীতে এ পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মতো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পুণ্যস্নান অনুষ্ঠানে পাপমুক্ত হয়ে পূণ্য লাভের আশায় বিভন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থী কালীগঙ্গা নদীর মহা শ্মশান ঘাটে ভিড় জমাতে থাকেন। গঙ্গাস্নানে নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ হয়ে পূণ্যার্থীরা দুহাত জোর করে মা গঙ্গা মন্ত্র, আসমন, পুরোহিত সূর্যাগ্য নানা মন্ত্র পাঠ করে। শেষে পবিত্র হতে নদীর জলে স্নান করছেন পূণ্যার্থীরা। 

পূণ্যার্থীরা জানান, অন্য যে কোনো স্নানের চেয়ে এ স্নানে হাজার হাজার গুণ পূণ্য বলে বিভিন্ন স্থান থেকে তারা গঙ্গা স্নান করতে এসেছেন। মধুখালী উপজেলার গাজনা থেকে আসা পূণ্যার্থী বিথীকা দাম জানান, আমি প্রায় আট-দশ বছর ধরে এখানে পবিত্র হতে গঙ্গাস্নান করতে আসি। এছাড়াও পূণ্যস্নানের পরে এখানে আয়োজন করা হয় শ্মশান কালী পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের পূজা ও কীর্তন। এ উপলক্ষে মহা শ্মশান কালী ঘাটে ও নদীর পাড় এলাকা জুড়ে রকমারী পসরা নিয়ে বসেছে বিশাল মেলা। মেলায় দূরদূরান্ত থেকে এসে জড়ো হয়েছে সাধু সন্ন্যাসীরা ও দর্শনার্থীরা। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা রইলো। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে এখানে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এ উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থার পাশাপাশি আমাদের পুলিশ বাহিনী মেলার প্রতিটি স্থানে সারাদিন তত্ত্বাবধানে রাখবে। যাতে এখানে কোন বিশৃঙ্খলা ঘটতে না পারে।

এ বিষ়য়ে মহা শ্মশান ঘাটের সেবাইত কাঙ্গাল অনিল সাধু বলেন, মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে বছরের এই সময়টায় প্রতিবছর এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে পূণ্যার্থীরা এখানে সমবেত হন। এ পুণ্যস্নানের মাধ্যমে মায়ের কাছে প্রার্থনা করে নিজেদের পাপ মোচন করে থাকে। কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সুবল সাহার সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক (বকু), সাংবাদিক নিরঞ্জন মিত্র প্রমুখ। দিনব্যাপী আনন্দ বাজারে প্রসাদের আয়োজনে ছিলেন কানাইপুর মিষ্টি ব্যাবসায়ী গোবিন্দ সাহা, শংকর কুন্ডু সহ কানাইপুর বাজারের অন্যন্য ব্যাবসায়ীবৃন্দ।