শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

সুন্দরগঞ্জে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

#
news image

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে জেঁকে বসেছে শীত ও ঠান্ডা। ঘন কুয়াশার কন কনে ঠান্ডায় শীতের আবরণে সূর্য ঢাকা পড়ে আছে দিনভর। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। রাত নামতেই বেড়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাসের গতি। শীতের তীব্রতায় রাস্তাঘাটে কমে গেছে পথচারীর আনাগোনা। সব মিলিয়ে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া এবং কন কনে ঠান্ডায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমুল পরিবাগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সরকারিভাবে ৬ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একে বারেই অপ্রতুল। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে গেছে। পথ শিশু ও ফুটপাতের মানুষজন দিশা হারিয়ে ফেলেছে। সে কারণে স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডার কারণে কর্মজীবি এবং শ্রর্মজীবি শ্রেণির মানুষজন যথানিয়মে কর্মস্থলে যেতে পারছে না। হাট, বাজার, দোকান পাট চলছে ঢিলাঢালা ভাবে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। নানাবিধ রোগব্যধির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে।

পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা অনেক কষ্টে রয়েছে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে ঠান্ডার কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়াফিল মন্ডল জানান, সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।  

 



হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা

১০ জানুয়ারি, ২০২৪,  4:49 PM

news image

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে জেঁকে বসেছে শীত ও ঠান্ডা। ঘন কুয়াশার কন কনে ঠান্ডায় শীতের আবরণে সূর্য ঢাকা পড়ে আছে দিনভর। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। রাত নামতেই বেড়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাসের গতি। শীতের তীব্রতায় রাস্তাঘাটে কমে গেছে পথচারীর আনাগোনা। সব মিলিয়ে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া এবং কন কনে ঠান্ডায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমুল পরিবাগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সরকারিভাবে ৬ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একে বারেই অপ্রতুল। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে গেছে। পথ শিশু ও ফুটপাতের মানুষজন দিশা হারিয়ে ফেলেছে। সে কারণে স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডার কারণে কর্মজীবি এবং শ্রর্মজীবি শ্রেণির মানুষজন যথানিয়মে কর্মস্থলে যেতে পারছে না। হাট, বাজার, দোকান পাট চলছে ঢিলাঢালা ভাবে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। নানাবিধ রোগব্যধির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে।

পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা অনেক কষ্টে রয়েছে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে ঠান্ডার কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়াফিল মন্ডল জানান, সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।