শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

আসামে পাঁচ লাখ মানুষ বন্যাদুর্গত

#
news image

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। শুক্রবার রাজ্যটির প্রায় ২২টি জেলায় বন্যার পানির পরিমাণ বেড়েছে। ৪ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ সরাসরি বন্যার কবলে পড়েছেন।

২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নলবাড়ি, বরপেটা, লখিমপুর, বাকশা, তমুলপুর, দাঁড়াং এবং কোকড়াঝাড় অঞ্চলে। এই জেলাগুলোতে সব মিলিয়ে প্রায় ১,৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে চলে গেছে। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল।

আসামের রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ১,৩৬৬টি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইছে। নিমতিঘাট এবং জোরহাটে লাল সংকেত জারি করে রাখা হয়েছে। ধুবরি এবং বেকি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানস নদী এবং পাগলাদিয়া নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপরে। ফলে চারদিক থেকে পানি ঢুকছে বসতি অঞ্চলে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ত্রাণ বণ্টনের জন্য ৭৯টি শিবির তৈরি করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ২২ জেলায় হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক, নদী সংলগ্ন উঁচু বাঁধ এবং রেললাইনে অস্থায়ী শিবির বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬১ জন দুর্গতকে উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে বহু এলাকা থেকেই নিখোঁজের খবর আসছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশাসন বলছে, যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে সব এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ১০টি বাঁধ, ৯২টি রাস্তা, তিনটি সেতু পানিতে তলিয়ে গেছে।

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক

২৩ জুন, ২০২৩,  6:46 PM

news image

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। শুক্রবার রাজ্যটির প্রায় ২২টি জেলায় বন্যার পানির পরিমাণ বেড়েছে। ৪ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ সরাসরি বন্যার কবলে পড়েছেন।

২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নলবাড়ি, বরপেটা, লখিমপুর, বাকশা, তমুলপুর, দাঁড়াং এবং কোকড়াঝাড় অঞ্চলে। এই জেলাগুলোতে সব মিলিয়ে প্রায় ১,৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে চলে গেছে। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল।

আসামের রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ১,৩৬৬টি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইছে। নিমতিঘাট এবং জোরহাটে লাল সংকেত জারি করে রাখা হয়েছে। ধুবরি এবং বেকি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানস নদী এবং পাগলাদিয়া নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপরে। ফলে চারদিক থেকে পানি ঢুকছে বসতি অঞ্চলে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ত্রাণ বণ্টনের জন্য ৭৯টি শিবির তৈরি করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ২২ জেলায় হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক, নদী সংলগ্ন উঁচু বাঁধ এবং রেললাইনে অস্থায়ী শিবির বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬১ জন দুর্গতকে উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে বহু এলাকা থেকেই নিখোঁজের খবর আসছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশাসন বলছে, যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে সব এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ১০টি বাঁধ, ৯২টি রাস্তা, তিনটি সেতু পানিতে তলিয়ে গেছে।