দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের স্থলভাগে আঘাত হেনেছে ‘মোখা’

নাগরিক প্রতিবেদক
১৪ মে, ২০২৩, 5:16 PM

দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের স্থলভাগে আঘাত হেনেছে ‘মোখা’
উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ রোববার বেলা তিনটায় সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর সংলগ্ন চর ও দ্বীপসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা করা হয়েছে।
এর আগে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা রোববার (১৪ মে) মূল আঘাত হানে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি অনেকটাই কেটে গেছে। রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রভাবিত হবে। এতে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা ঝুঁকি নেই।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার পিক আওয়ার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এসময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে। তবে বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোকা কক্সবাজার অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরো দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এ কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফিট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে পানির জলাবদ্ধতা থাকবে।
নাগরিক প্রতিবেদক
১৪ মে, ২০২৩, 5:16 PM

উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ রোববার বেলা তিনটায় সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর সংলগ্ন চর ও দ্বীপসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা করা হয়েছে।
এর আগে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা রোববার (১৪ মে) মূল আঘাত হানে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি অনেকটাই কেটে গেছে। রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রভাবিত হবে। এতে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা ঝুঁকি নেই।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার পিক আওয়ার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এসময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে। তবে বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোকা কক্সবাজার অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরো দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এ কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফিট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে পানির জলাবদ্ধতা থাকবে।