দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক- সিপিডির সেমিনারে বক্তাগণ

নাগরিক প্রতিবেদক
২৪ মে, ২০২৪, 6:04 PM

দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক- সিপিডির সেমিনারে বক্তাগণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকালে সিদ্ধান্ত নেয়, বিকালে সেটা পরিবর্তন করে। ভুল নীতির কারণেই তারা ঘন ঘন সার্কুলার দেয়। তারা সমবায় সমিতির মতো হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করছে।’ রাজধানীর ‘লেকশোর’ হোটেলে গতকাল এক সংলাপে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সংলাপ আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আইনে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বায়ত্তশাসন দেয়া আছে। তা অর্জন করতে হবে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষই হতে হবে। এখন সময় হয়েছে ওনারশিপ গাইডলাইনস করার। এজন্য আইন সংস্কার করতে হবে। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কিছুই হবে না। সুদহার ও ডলারের বিনিময় হার অনেক আগেই বাড়ানো দরকার ছিল। তা না করায় মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে।’ সাবেক এ গভর্নর মনে করেন, ‘শুধু সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, ডলারের দরবৃদ্ধি কিংবা সুদহার বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যাবে না। প্রবৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কৃষিতে ঋণ বাড়াতে হবে।’
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এখন খেলাপি ঋণ একটা ব্যবসায়িক মডেলে পরিণত হয়েছে। সুশাসনের অভাব এবং রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক চাপের কারণে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত খারাপ অবস্থায় আগে কখনো যায়নি। এ অবস্থা অবশ্যই কঠোর হাতে দমন করতে হবে। সুশাসন আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করতে হবে। শুধু ক্যাশলেস সোসাইটি, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ক্রলিং পেগ নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিস্থিতি উন্নতির যত চেষ্টাই করুক, কাজে আসবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাত ভঙ্গুর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থার উন্নতি না হলে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লাভ হবে না। কারণ ব্যাংক খাত ঠিক না হলে, কর্মসংস্থান না বাড়লে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।’
মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘দেশে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের মাধ্যমে অভিজাত ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যাংকগুলোকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা থেকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ তিন গুণের বেশি বেড়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক খাতে ব্যাপক অনিয়মের কারণে মানুষ এখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে।’ ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘যুগের পর যুগ ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক নির্দেশনা না এলে ব্যাংকের স্বাস্থ্য উদ্ধার হবে না। ব্যাংকগুলোর সমস্ত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ পাচ্ছে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে তথ্যের দরজা ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া। আমরা তথ্যের জন্য মিডিয়ার ওপর নির্ভর করতাম, সেটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তথ্যের অভাবের কারণে ভুল নীতি গৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।’
সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রসঙ্গে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এটা চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। এটা কতটা ইতিবাচক হলো, কোন নীতিমালায় খারাপ ব্যাংককে ভালো ব্যাংকে একীভূত করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ানো ও সুদহার বাজারে ছেড়ে দেয়া নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আইএমএফকে সন্তুষ্ট করতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফর্মুলার কথা বলা হচ্ছে। এখন আবার অফশোর ব্যাংকিংয়ের কথা জোরেশোরে বলা হচ্ছে। এতে বরং দেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে সেই টাকাই আবার অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশে আনার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক! এটা তো সমাধান নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমদানিকারক কমে গেছে। পাঁচজন আমদানি করছেন, তারাই সিন্ডিকেট করে দর বাড়াচ্ছেন। সেজন্য সরবরাহ যথেষ্ট থাকার পরও দাম কমছে না।’
এমএ মান্নান বলেন, ‘সম্প্রতি তথ্যপ্রবাহে বাধা এসেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাসী। স্পর্শকাতর বা কোনো বিচারাধীন বিষয় থাকলে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘কত কমিশনই তো হলো। এখন আবার কেউ কেউ ব্যাংক কমিশন গঠনের কথা বলছেন। আমি মনে করি এটার দরকার নেই।’ অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংক তৈরি করা হয় না, বিতরণ করা হয়। এখানে বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুকে খুঁজে পাওয়া যায় না, পিকে হালদার অন্য দেশে ধরা পড়ে।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংক খাতকে এ অবস্থা থেকে যদি টেনে তুলতে হয়, তাহলে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিগত দিনে আমরা দেখেছি লাভের ক্ষেত্রে ব্যক্তিকরণ এবং ক্ষতির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়করণ হয়েছে।’
নাগরিক প্রতিবেদক
২৪ মে, ২০২৪, 6:04 PM

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকালে সিদ্ধান্ত নেয়, বিকালে সেটা পরিবর্তন করে। ভুল নীতির কারণেই তারা ঘন ঘন সার্কুলার দেয়। তারা সমবায় সমিতির মতো হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করছে।’ রাজধানীর ‘লেকশোর’ হোটেলে গতকাল এক সংলাপে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সংলাপ আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আইনে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বায়ত্তশাসন দেয়া আছে। তা অর্জন করতে হবে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষই হতে হবে। এখন সময় হয়েছে ওনারশিপ গাইডলাইনস করার। এজন্য আইন সংস্কার করতে হবে। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কিছুই হবে না। সুদহার ও ডলারের বিনিময় হার অনেক আগেই বাড়ানো দরকার ছিল। তা না করায় মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে।’ সাবেক এ গভর্নর মনে করেন, ‘শুধু সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, ডলারের দরবৃদ্ধি কিংবা সুদহার বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যাবে না। প্রবৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কৃষিতে ঋণ বাড়াতে হবে।’
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এখন খেলাপি ঋণ একটা ব্যবসায়িক মডেলে পরিণত হয়েছে। সুশাসনের অভাব এবং রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক চাপের কারণে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত খারাপ অবস্থায় আগে কখনো যায়নি। এ অবস্থা অবশ্যই কঠোর হাতে দমন করতে হবে। সুশাসন আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করতে হবে। শুধু ক্যাশলেস সোসাইটি, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ক্রলিং পেগ নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিস্থিতি উন্নতির যত চেষ্টাই করুক, কাজে আসবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাত ভঙ্গুর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থার উন্নতি না হলে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লাভ হবে না। কারণ ব্যাংক খাত ঠিক না হলে, কর্মসংস্থান না বাড়লে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।’
মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘দেশে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের মাধ্যমে অভিজাত ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যাংকগুলোকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা থেকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ তিন গুণের বেশি বেড়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক খাতে ব্যাপক অনিয়মের কারণে মানুষ এখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে।’ ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘যুগের পর যুগ ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক নির্দেশনা না এলে ব্যাংকের স্বাস্থ্য উদ্ধার হবে না। ব্যাংকগুলোর সমস্ত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ পাচ্ছে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে তথ্যের দরজা ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া। আমরা তথ্যের জন্য মিডিয়ার ওপর নির্ভর করতাম, সেটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তথ্যের অভাবের কারণে ভুল নীতি গৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।’
সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রসঙ্গে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এটা চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। এটা কতটা ইতিবাচক হলো, কোন নীতিমালায় খারাপ ব্যাংককে ভালো ব্যাংকে একীভূত করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ানো ও সুদহার বাজারে ছেড়ে দেয়া নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আইএমএফকে সন্তুষ্ট করতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফর্মুলার কথা বলা হচ্ছে। এখন আবার অফশোর ব্যাংকিংয়ের কথা জোরেশোরে বলা হচ্ছে। এতে বরং দেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে সেই টাকাই আবার অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশে আনার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক! এটা তো সমাধান নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমদানিকারক কমে গেছে। পাঁচজন আমদানি করছেন, তারাই সিন্ডিকেট করে দর বাড়াচ্ছেন। সেজন্য সরবরাহ যথেষ্ট থাকার পরও দাম কমছে না।’
এমএ মান্নান বলেন, ‘সম্প্রতি তথ্যপ্রবাহে বাধা এসেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাসী। স্পর্শকাতর বা কোনো বিচারাধীন বিষয় থাকলে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘কত কমিশনই তো হলো। এখন আবার কেউ কেউ ব্যাংক কমিশন গঠনের কথা বলছেন। আমি মনে করি এটার দরকার নেই।’ অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংক তৈরি করা হয় না, বিতরণ করা হয়। এখানে বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুকে খুঁজে পাওয়া যায় না, পিকে হালদার অন্য দেশে ধরা পড়ে।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংক খাতকে এ অবস্থা থেকে যদি টেনে তুলতে হয়, তাহলে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিগত দিনে আমরা দেখেছি লাভের ক্ষেত্রে ব্যক্তিকরণ এবং ক্ষতির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়করণ হয়েছে।’