শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

যশোরে রোদের তাপে গলছে সড়কের বিটুমিন

#
news image

কয়েকদিনের টানা তাপপ্রবাহে যশোর-নড়াইল সড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে। এতে সড়কটি দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। সড়কের এক কিলোমিটার এলাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা বলছেন, তারা বালিকণা দিয়ে গলে যাওয়া বিটুমিন ঠিক করে দিয়েছেন।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, গতকাল যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ। আগামী দুই-তিনদিন পর বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড গরমে যশোরে বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে। যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সহনীয় সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। পরে আরো বেশি তাপমাত্রা সহনশীল সড়কে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু রাস্তা বেশ কয়েক বছর আগে তৈরি। সেখানে মূলত ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। যশোর থেকে নড়াইল পর্যন্ত তাদের ২০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটারের মতো সড়কে বিটুমিন গলে গেছে। খবর পাওয়ার পর সেগুলো বালি দিয়ে ঠিক করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৭ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টানা তাপপ্রবাহে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৭টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৭১টি শিশু। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবদুস সামাদ জানান, শিশুরা জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেশি আসছে। গরমের কারণে বেশির ভাগ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। রোদে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘সবার উচিত সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা। এখন প্রচুর পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন, ফলমূল খাওয়া উচিত। পচা ও বাসী খাবার না খাওয়াই ভালো।’

নাগরিক প্রতিবেদন

২২ এপ্রিল, ২০২৪,  4:41 PM

news image

কয়েকদিনের টানা তাপপ্রবাহে যশোর-নড়াইল সড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে। এতে সড়কটি দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। সড়কের এক কিলোমিটার এলাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা বলছেন, তারা বালিকণা দিয়ে গলে যাওয়া বিটুমিন ঠিক করে দিয়েছেন।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, গতকাল যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ। আগামী দুই-তিনদিন পর বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড গরমে যশোরে বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে। যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সহনীয় সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। পরে আরো বেশি তাপমাত্রা সহনশীল সড়কে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু রাস্তা বেশ কয়েক বছর আগে তৈরি। সেখানে মূলত ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। যশোর থেকে নড়াইল পর্যন্ত তাদের ২০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটারের মতো সড়কে বিটুমিন গলে গেছে। খবর পাওয়ার পর সেগুলো বালি দিয়ে ঠিক করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৭ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টানা তাপপ্রবাহে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৭টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৭১টি শিশু। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবদুস সামাদ জানান, শিশুরা জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেশি আসছে। গরমের কারণে বেশির ভাগ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। রোদে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘সবার উচিত সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা। এখন প্রচুর পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন, ফলমূল খাওয়া উচিত। পচা ও বাসী খাবার না খাওয়াই ভালো।’