শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে ঢাকার ক্রমাবনতি

#
news image

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বিচারিক উপাদানসহ স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ২২ বছর ধরে অবনতির দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম। আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯তম।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকায় একটি হোটেলে আয়োজিত সমৃদ্ধি ও সুশাসনবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতি দমন এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং সক্রিয়ভাবে স্বীকার এবং মোকাবেলা করা। অনুষ্ঠানে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা সংস্থা, একাডেমিয়া এবং থিংক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনের ফল তুলে ধরেন।

স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দু’টি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরন অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।

মূল উপস্থাপনায় লেমোইন বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বেশি মাত্রায় আকর্ষণ করতে পারে। এসব দেশ স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশী বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

নাগরিক প্রতিবেদন

১৭ এপ্রিল, ২০২৪,  10:05 PM

news image

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বিচারিক উপাদানসহ স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ২২ বছর ধরে অবনতির দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম। আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯তম।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকায় একটি হোটেলে আয়োজিত সমৃদ্ধি ও সুশাসনবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতি দমন এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং সক্রিয়ভাবে স্বীকার এবং মোকাবেলা করা। অনুষ্ঠানে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা সংস্থা, একাডেমিয়া এবং থিংক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনের ফল তুলে ধরেন।

স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দু’টি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরন অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।

মূল উপস্থাপনায় লেমোইন বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বেশি মাত্রায় আকর্ষণ করতে পারে। এসব দেশ স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশী বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।