অর্থ সংকটে বন্ডে দায় মেটাচ্ছে সরকার

নাগরিক প্রতিবেদন
০২ এপ্রিল, ২০২৪, 2:53 PM

অর্থ সংকটে বন্ডে দায় মেটাচ্ছে সরকার
গত দুই বছর যাবৎ নিয়মিতভাবে বেসরকারি কেন্দ্র মালিকদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপরে বকেয়া জমা পড়েছে। এসব পাওনা টাকার বিপরীতে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবশেষ ২৮টি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাওনাদারদের অব্যাহত চাপে বিদ্যুৎ বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয় মিলে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সার এবং বিদ্যুতে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকা বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সারে ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে। সেই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ খাতে ২৮টি ব্যাংকের অনুকূলে গত ফেব্রুয়ারিতে ইতোমধ্যে ১০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। নতুন করে এখন আবার ৭ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ আর্থিক সংকটে আছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রতিনিয়ত পাওনাদারদের টাকার চাপ বাড়ছে। এই চাপের বিপরীতে যেহেতু নগদ টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না, সেহেতু বিশেষ বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে। এতে আশা করা হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদেরও ব্যাংকঋণের চাপ কমবে।
তবে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মালিক আমাদের সময়কে বলেন, বন্ড ইস্যুতে হয়তো-বা ব্যাংকঋণের চাপ সামলে ওঠা যাচ্ছে। তবে অনেক ব্যাংকই জ¦ালানি তেল বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস আমদানিতে নতুন করে এলসি খুলতে চাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদের পাওনার বিপরীতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো টাকা বা ডলার দেওয়া। কিন্তু পিডিবি যেহেতু টাকা দিতে পারছে না, ফলে বন্ড ইস্যুটা আপাতত মেনে নিতে হচ্ছে।
সংকটের মধ্যে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (বিপপার)। সংগঠনের সভাপতি সামিট গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল খান আমাদের সময়কে বলেন, সংকটকালে আমরা বন্ডগুলোকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কারণ বন্ড ইস্যুর কারণে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পাওনা বা ঋণ পরিশোধে সহায়তা হয়েছে। কিন্তু এখন অনেক বেশি সুদহারের ফলে ব্যাংকের ঋণের বোঝার ওপর নির্ভর করা বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) জন্য একটি সমস্যা। আমরা আশা করব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নগদ পেমেন্ট করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, টাকার অভাবে আগের দফায় সারের ভর্তুকি বাবদ সরকার ৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছিল বিশেষ বন্ড ছেড়ে। একইভাবে বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে বিদ্যুতের দেনা পরিশোধে। সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। সে কারণে কেন্দ্রগুলোও ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছিল না। এতে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপিও হয়ে পড়ছিল। এ অবস্থায় পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শতাংশ। এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা রেপো রেটের সমান। তবে ভবিষ্যতে রেপো রেট বাড়লে এ বন্ডের সুদহারও বাড়বে, রেপোর সুদ কমলে বিশেষ বন্ডের সুদও কমবে।
জানা গেছে, বন্ড ছাড়ার ফলে পাওনাদার ব্যাংকগুলো আর দেনাদারদের কাছে টাকা চাইতে পারবে না। বন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকের দায় সমন্বয় হয়ে যাবে। আর ব্যাংক সুদ পাবে ছয় মাস পরপর। মেয়াদ শেষে সুদসহ ব্যাংকের পাওনা সরকার পরিশোধ করবে। তখন বন্ডগুলোও সরকার ফেরত নেবে। সাধারণত বন্ড ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি হলেও বিশেষ বন্ডের মেয়াদ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ বছর।
আগের বার বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে, সেগুলো হচ্ছে সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন, অ্যাক্রন পাওয়ারের বিপরীতে।
বিশেষ বন্ড ছেড়ে সংকট মোকাবিলার উদ্যোগের ফলে কোম্পানিগুলোর কী লাভ হবে, আর ব্যাংকগুলো কীভাবে সুবিধাভোগী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টা সব দিক থেকেই দুই পক্ষের লাভ হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লাভ হচ্ছে তাদের দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে, তারা বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। অন্য ব্যাংকের কাছেও বিক্রি করতে পারবে। এ ছাড়া সরকারের সুবিধা হচ্ছে- আপাতত নগদ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলোর অনুকূলে বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের বিপরীতে প্রথমে বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করবে, সেই বন্ড কিনে নেবে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকের কাছ থেকে বন্ড কেনা বাবদ সরকার যে টাকা পাবে, সেটি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে পরিশোধ করবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সে অর্থ আবার ব্যাংকগুলোকে পরিশোধ করবে। এতে ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণগুলো খেলাপি হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে। পাশাপাশি এর বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে না।
ব্যাংকগুলো বন্ডের অর্থের সমপরিমাণ বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) বাধ্যবাধকতাও পূরণে ব্যবহার করতে পারবে। আবার ব্যাংকগুলো এ বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা রেখে রেপোর মাধ্যমে তারল্য সুবিধাও নিতে পারবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
অপরদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বকেয়া বিলের পুরো অর্থ না পেলে বন্ডের সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করতে পারবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় কমে আসবে। একই সঙ্গে খেলাপি হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাবে।
নাগরিক প্রতিবেদন
০২ এপ্রিল, ২০২৪, 2:53 PM

গত দুই বছর যাবৎ নিয়মিতভাবে বেসরকারি কেন্দ্র মালিকদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপরে বকেয়া জমা পড়েছে। এসব পাওনা টাকার বিপরীতে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবশেষ ২৮টি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাওনাদারদের অব্যাহত চাপে বিদ্যুৎ বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয় মিলে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সার এবং বিদ্যুতে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকা বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সারে ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে। সেই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ খাতে ২৮টি ব্যাংকের অনুকূলে গত ফেব্রুয়ারিতে ইতোমধ্যে ১০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। নতুন করে এখন আবার ৭ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ আর্থিক সংকটে আছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রতিনিয়ত পাওনাদারদের টাকার চাপ বাড়ছে। এই চাপের বিপরীতে যেহেতু নগদ টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না, সেহেতু বিশেষ বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে। এতে আশা করা হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদেরও ব্যাংকঋণের চাপ কমবে।
তবে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মালিক আমাদের সময়কে বলেন, বন্ড ইস্যুতে হয়তো-বা ব্যাংকঋণের চাপ সামলে ওঠা যাচ্ছে। তবে অনেক ব্যাংকই জ¦ালানি তেল বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস আমদানিতে নতুন করে এলসি খুলতে চাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদের পাওনার বিপরীতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো টাকা বা ডলার দেওয়া। কিন্তু পিডিবি যেহেতু টাকা দিতে পারছে না, ফলে বন্ড ইস্যুটা আপাতত মেনে নিতে হচ্ছে।
সংকটের মধ্যে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (বিপপার)। সংগঠনের সভাপতি সামিট গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল খান আমাদের সময়কে বলেন, সংকটকালে আমরা বন্ডগুলোকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কারণ বন্ড ইস্যুর কারণে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পাওনা বা ঋণ পরিশোধে সহায়তা হয়েছে। কিন্তু এখন অনেক বেশি সুদহারের ফলে ব্যাংকের ঋণের বোঝার ওপর নির্ভর করা বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) জন্য একটি সমস্যা। আমরা আশা করব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নগদ পেমেন্ট করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, টাকার অভাবে আগের দফায় সারের ভর্তুকি বাবদ সরকার ৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছিল বিশেষ বন্ড ছেড়ে। একইভাবে বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে বিদ্যুতের দেনা পরিশোধে। সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। সে কারণে কেন্দ্রগুলোও ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছিল না। এতে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপিও হয়ে পড়ছিল। এ অবস্থায় পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শতাংশ। এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা রেপো রেটের সমান। তবে ভবিষ্যতে রেপো রেট বাড়লে এ বন্ডের সুদহারও বাড়বে, রেপোর সুদ কমলে বিশেষ বন্ডের সুদও কমবে।
জানা গেছে, বন্ড ছাড়ার ফলে পাওনাদার ব্যাংকগুলো আর দেনাদারদের কাছে টাকা চাইতে পারবে না। বন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকের দায় সমন্বয় হয়ে যাবে। আর ব্যাংক সুদ পাবে ছয় মাস পরপর। মেয়াদ শেষে সুদসহ ব্যাংকের পাওনা সরকার পরিশোধ করবে। তখন বন্ডগুলোও সরকার ফেরত নেবে। সাধারণত বন্ড ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি হলেও বিশেষ বন্ডের মেয়াদ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ বছর।
আগের বার বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে, সেগুলো হচ্ছে সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন, অ্যাক্রন পাওয়ারের বিপরীতে।
বিশেষ বন্ড ছেড়ে সংকট মোকাবিলার উদ্যোগের ফলে কোম্পানিগুলোর কী লাভ হবে, আর ব্যাংকগুলো কীভাবে সুবিধাভোগী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টা সব দিক থেকেই দুই পক্ষের লাভ হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লাভ হচ্ছে তাদের দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে, তারা বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। অন্য ব্যাংকের কাছেও বিক্রি করতে পারবে। এ ছাড়া সরকারের সুবিধা হচ্ছে- আপাতত নগদ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলোর অনুকূলে বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের বিপরীতে প্রথমে বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করবে, সেই বন্ড কিনে নেবে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকের কাছ থেকে বন্ড কেনা বাবদ সরকার যে টাকা পাবে, সেটি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে পরিশোধ করবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সে অর্থ আবার ব্যাংকগুলোকে পরিশোধ করবে। এতে ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণগুলো খেলাপি হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে। পাশাপাশি এর বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে না।
ব্যাংকগুলো বন্ডের অর্থের সমপরিমাণ বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) বাধ্যবাধকতাও পূরণে ব্যবহার করতে পারবে। আবার ব্যাংকগুলো এ বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা রেখে রেপোর মাধ্যমে তারল্য সুবিধাও নিতে পারবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
অপরদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বকেয়া বিলের পুরো অর্থ না পেলে বন্ডের সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করতে পারবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় কমে আসবে। একই সঙ্গে খেলাপি হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাবে।