ঝাঁজ কমছে পেঁয়াজের

নাগরিক প্রতিবেদন
২১ মার্চ, ২০২৪, 2:24 PM

ঝাঁজ কমছে পেঁয়াজের
রাজধানীর বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বেশির ভাগ খুচরা দোকানে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। পাবনাসহ স্থানীয় মোকামগুলোতেই দাম এখন পড়তির দিকে রয়েছে। রাজধানীর পাইকারি বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে দাম কমে আসছে।
কদমতলী এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, পাইকারিতে গতকাল (মঙ্গলবার) দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। এই পেঁয়াজ মানভেদে খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াটাই মূল কারণ নয়। মূলত, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবরে দাম কমছে। রাজধানীর পাইকারি বাজার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে সরবরাহ আগের চেয়ে বেশি রয়েছে। রোজায় বাড়তি চাহিদার পরও সরবরাহ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। এতে দাম কমছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাইকারি বিক্রেতা জানান, এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রধানত, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবরে মজুদকৃত পেঁয়াজ কম দামে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে আমদানি হলে দাম না পাওয়ার শঙ্কায় কৃষকরাও দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। আবার দামও কমে আসছে। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কানাই সাহা বলেন, এবার মৌসুমের পেঁয়াজ যথাসময়েই আসতে শুরু করেছে। সচরাচর এমন সময়েও সরবরাহে কারসাজি চলে। আমদানির খবরে পেঁয়াজ হাতে রাখার ঝুঁকি নিচ্ছেন না অনেকে। আগের মজুদ করা পেঁয়াজও দ্রুত ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কদমতলী বাজারের একজন ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দাম কমাটা অবশ্যই স্বস্তির। তবে সিজনের সময় আরও কম দামে পেঁয়াজ পাওয়ার কথা। দাম আরও কমা উচিত।
নাগরিক প্রতিবেদন
২১ মার্চ, ২০২৪, 2:24 PM

রাজধানীর বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বেশির ভাগ খুচরা দোকানে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। পাবনাসহ স্থানীয় মোকামগুলোতেই দাম এখন পড়তির দিকে রয়েছে। রাজধানীর পাইকারি বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে দাম কমে আসছে।
কদমতলী এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, পাইকারিতে গতকাল (মঙ্গলবার) দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। এই পেঁয়াজ মানভেদে খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াটাই মূল কারণ নয়। মূলত, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবরে দাম কমছে। রাজধানীর পাইকারি বাজার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে সরবরাহ আগের চেয়ে বেশি রয়েছে। রোজায় বাড়তি চাহিদার পরও সরবরাহ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। এতে দাম কমছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাইকারি বিক্রেতা জানান, এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রধানত, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবরে মজুদকৃত পেঁয়াজ কম দামে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে আমদানি হলে দাম না পাওয়ার শঙ্কায় কৃষকরাও দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। আবার দামও কমে আসছে। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কানাই সাহা বলেন, এবার মৌসুমের পেঁয়াজ যথাসময়েই আসতে শুরু করেছে। সচরাচর এমন সময়েও সরবরাহে কারসাজি চলে। আমদানির খবরে পেঁয়াজ হাতে রাখার ঝুঁকি নিচ্ছেন না অনেকে। আগের মজুদ করা পেঁয়াজও দ্রুত ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কদমতলী বাজারের একজন ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দাম কমাটা অবশ্যই স্বস্তির। তবে সিজনের সময় আরও কম দামে পেঁয়াজ পাওয়ার কথা। দাম আরও কমা উচিত।