প্লাস্টিক রফতানি বাড়াতে সার্কুলার অর্থনীতিকে কাজে লাগানোর তাগিদ

নাগরিক প্রতিবেদন
২০ মার্চ, ২০২৪, 4:03 PM

প্লাস্টিক রফতানি বাড়াতে সার্কুলার অর্থনীতিকে কাজে লাগানোর তাগিদ
আগামী দিনগুলোতে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি বাড়াতে সার্কুলার অর্থনীতিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সার্কুলার অর্থনীতিকে যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে চামড়ার মতো প্লাস্টিক রফতানিও কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এমনটা জানান বক্তারা। প্লাস্টিক পণ্যের রফতানির সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে সার্কুলার অর্থনীতি শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিপিজিএমইএ ও ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশন (বিএসআই)।
সেমিনারে বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ‘প্লাস্টিক উৎপাদনে রিসাইকেলড প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করলে খরচ কম হয়। এটা আমাদের জন্য একটি সুযোগ। একই সঙ্গে নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সার্কুলার অর্থনীতি অগ্রগামী ভূমিকা রাখে। আমরা যত বেশি সম্পদ ব্যবহার করতে থাকব, তত বেশি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের বর্তমানে যে রিসোর্স আছে, সেগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেটি আমাদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক বর্জ্যপণ্য পুনর্ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চায়। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) ভালোভাবে কাজ না করায় আমাদের চামড়া রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সার্কুলার অর্থনীতিকে আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে প্লাস্টিক রফতানিও ভবিষ্যতে কমে আসবে।’
প্লাস্টিক ও সার্কুলার অর্থনীতি শীর্ষক উপস্থাপনায় ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশনের সার্কুলার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ড. জেন গিলবার্ট বলেন, ‘বর্তমানে মিউনিসিপ্যালিটিগুলো ২১০ কোটি টন বর্জ্য উৎপাদন করে। এর মধ্যে ৩৮ শতাংশ বর্জ্যই সংগ্রহ করা হয় না। এটি ২০৫০ সালের মধ্যে ৪০০ কোটি টনে গিয়ে দাঁড়াবে। আমরা লাইনার ইকোনমি থেকে সার্কুলার ইকোনমিতে যাচ্ছি বলে মনে করছি, কিন্তু আমরা আসলে যাইনি। আমাদের ভোগ অনেক বেড়েছে, কিন্তু সেগুলোকে পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক ব্যবহার করছি না। এটি আমাদের অপচয়। এ অপচয় প্রতিরোধ করতে না পারলে সম্পদ নষ্ট হবে এবং আমাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
নাগরিক প্রতিবেদন
২০ মার্চ, ২০২৪, 4:03 PM

আগামী দিনগুলোতে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি বাড়াতে সার্কুলার অর্থনীতিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সার্কুলার অর্থনীতিকে যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে চামড়ার মতো প্লাস্টিক রফতানিও কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এমনটা জানান বক্তারা। প্লাস্টিক পণ্যের রফতানির সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে সার্কুলার অর্থনীতি শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিপিজিএমইএ ও ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশন (বিএসআই)।
সেমিনারে বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ‘প্লাস্টিক উৎপাদনে রিসাইকেলড প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করলে খরচ কম হয়। এটা আমাদের জন্য একটি সুযোগ। একই সঙ্গে নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সার্কুলার অর্থনীতি অগ্রগামী ভূমিকা রাখে। আমরা যত বেশি সম্পদ ব্যবহার করতে থাকব, তত বেশি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের বর্তমানে যে রিসোর্স আছে, সেগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেটি আমাদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক বর্জ্যপণ্য পুনর্ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চায়। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) ভালোভাবে কাজ না করায় আমাদের চামড়া রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সার্কুলার অর্থনীতিকে আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে প্লাস্টিক রফতানিও ভবিষ্যতে কমে আসবে।’
প্লাস্টিক ও সার্কুলার অর্থনীতি শীর্ষক উপস্থাপনায় ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশনের সার্কুলার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ড. জেন গিলবার্ট বলেন, ‘বর্তমানে মিউনিসিপ্যালিটিগুলো ২১০ কোটি টন বর্জ্য উৎপাদন করে। এর মধ্যে ৩৮ শতাংশ বর্জ্যই সংগ্রহ করা হয় না। এটি ২০৫০ সালের মধ্যে ৪০০ কোটি টনে গিয়ে দাঁড়াবে। আমরা লাইনার ইকোনমি থেকে সার্কুলার ইকোনমিতে যাচ্ছি বলে মনে করছি, কিন্তু আমরা আসলে যাইনি। আমাদের ভোগ অনেক বেড়েছে, কিন্তু সেগুলোকে পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক ব্যবহার করছি না। এটি আমাদের অপচয়। এ অপচয় প্রতিরোধ করতে না পারলে সম্পদ নষ্ট হবে এবং আমাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’