বোয়িং ম্যাক্সের উৎপাদন সম্প্রসারণ বন্ধ ঘোষণা

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪, 2:44 AM
বোয়িং ম্যাক্সের উৎপাদন সম্প্রসারণ বন্ধ ঘোষণা
বোয়িং ম্যাক্সের উৎপাদন সম্প্রসারণ বন্ধের আদেশ দিয়েছে ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। ফেডারেল এভিয়েশনের বুধবারের (২৪ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত এয়ারলাইনস ও উড়োজাহাজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
ফেডালের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বোয়িং বর্তমান মাসিক হারে ম্যাক্স জেট উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারে, তবে এই উৎপাদনের হার নতুন করে আর বাড়ানো যাবে না। তবে এই সীমাবদ্ধতা কতদিন স্থায়ী হবে এবং বোয়িং প্রতি মাসে কতগুলো উড়োজাহাজ তৈরি করতে পারবে তা এখনো নির্ধারণ করে দেয়নি ফেডারেল এভিয়েশন।
বহুদিন বন্ধ থাকার পর আগামী শুক্র ও শনিবার যাত্রী পরিসেবায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল আলাস্কা এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং উড়োজাহাজগুলোর। কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে না আসতেই ফেডারেল এভিয়েশনের সিদ্ধান্ত দুটি এয়ারলাইন্সের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা এয়ারবাসের সঙ্গে জেট বাজারে ব্যবধান বন্ধ করতে বোয়িং তার সর্বাধিক বিক্রিত ৭৩৭ ম্যাক্সের উৎপাদন বাড়াতে চাইছিল। কিন্তু ঠিক তখনই এফএফএ থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছে এফএফএ থেকে।
২০১৯ সাল থেকে একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কয়েক দফায় বন্ধ ছিল বোয়িংয়ের উড়াল। নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বোয়িং। যার ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমার্কেট বাণিজ্যে বোয়িংয়ের শেয়ার ২ শতাংশ কমেছে। অ্যারোসিস্টেমের শেয়ার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং হাউমেট অ্যারোস্পেসের শেয়ার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
সম্প্রতি বোয়িংকে উড়োজাহাজ নিয়ে অনেকগুলো সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এরই মধ্যে ৫ জানুয়ারিতে ঘটা আলাস্কা এয়ারলাইন্স ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ আকাশযানের কেবিন প্যানেল খুলে যাওয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মাঝ আকাশ থেকে খুলে পড়া প্যানেলটি পরে একটি গাছে পাওয়া যায়।
এরপর গত ১৩ জানুয়ারি নিপ্পন এয়ারলাইন্সের একটি চলন্ত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর জানালায় ফাটল ধরায় তোয়মো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য ফিরে আসে।
এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ জেটের পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হয়।
গত কয়েক বছরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে বোয়িংয়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর প্রেক্ষিতেই প্রতিনিয়ত নানা রকমের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪, 2:44 AM
বোয়িং ম্যাক্সের উৎপাদন সম্প্রসারণ বন্ধের আদেশ দিয়েছে ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। ফেডারেল এভিয়েশনের বুধবারের (২৪ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত এয়ারলাইনস ও উড়োজাহাজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
ফেডালের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বোয়িং বর্তমান মাসিক হারে ম্যাক্স জেট উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারে, তবে এই উৎপাদনের হার নতুন করে আর বাড়ানো যাবে না। তবে এই সীমাবদ্ধতা কতদিন স্থায়ী হবে এবং বোয়িং প্রতি মাসে কতগুলো উড়োজাহাজ তৈরি করতে পারবে তা এখনো নির্ধারণ করে দেয়নি ফেডারেল এভিয়েশন।
বহুদিন বন্ধ থাকার পর আগামী শুক্র ও শনিবার যাত্রী পরিসেবায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল আলাস্কা এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং উড়োজাহাজগুলোর। কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে না আসতেই ফেডারেল এভিয়েশনের সিদ্ধান্ত দুটি এয়ারলাইন্সের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা এয়ারবাসের সঙ্গে জেট বাজারে ব্যবধান বন্ধ করতে বোয়িং তার সর্বাধিক বিক্রিত ৭৩৭ ম্যাক্সের উৎপাদন বাড়াতে চাইছিল। কিন্তু ঠিক তখনই এফএফএ থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছে এফএফএ থেকে।
২০১৯ সাল থেকে একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কয়েক দফায় বন্ধ ছিল বোয়িংয়ের উড়াল। নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বোয়িং। যার ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমার্কেট বাণিজ্যে বোয়িংয়ের শেয়ার ২ শতাংশ কমেছে। অ্যারোসিস্টেমের শেয়ার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং হাউমেট অ্যারোস্পেসের শেয়ার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
সম্প্রতি বোয়িংকে উড়োজাহাজ নিয়ে অনেকগুলো সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এরই মধ্যে ৫ জানুয়ারিতে ঘটা আলাস্কা এয়ারলাইন্স ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ আকাশযানের কেবিন প্যানেল খুলে যাওয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মাঝ আকাশ থেকে খুলে পড়া প্যানেলটি পরে একটি গাছে পাওয়া যায়।
এরপর গত ১৩ জানুয়ারি নিপ্পন এয়ারলাইন্সের একটি চলন্ত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর জানালায় ফাটল ধরায় তোয়মো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য ফিরে আসে।
এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ জেটের পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হয়।
গত কয়েক বছরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে বোয়িংয়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর প্রেক্ষিতেই প্রতিনিয়ত নানা রকমের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।