চট্টগ্রাম সদরঘাট এরিয়ায় একই ঔষধের একেক দোকানে একেক রকম দাম,দেখার নেই কেউ

#
news image

ঔষধ মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীনবরক্ষাকারী পন্য দেশের এমন কোন পরিবার পাওয়া যাবেনা যে পরিবারে কমবেশি প্রতিদিন কোননা কোনরকম ঔষধের প্রয়োজন হয়না। প্রতিদিন ঔষধের প্রয়োজন হলেও পুরো বাক্সের ঔষধের খুচরা মূল্য লেখা থাকে কিন্তু প্রতিটি পাতায় খুচরা মূল্য লেখা থাকেনা এবং ঔষধ নিত্য প্রয়োজনী জরুরি পণ্য হলেও চালডালের মতো সাধারণ মানুষেরও দুএকটা ছাড়া ঔষধের দাম তেমনি জানা থাকেনা। সেই সুবাদে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঔষধের মূূল্য নিচ্ছে।

আমি পুরো চট্টগ্রামের কথা বলবোনা শুধুই চট্টগ্রাম সদরঘাট এলাকায় যে কয়েকটি ঔষধের দোকান আছে এগুলোর দাম ব্যবধান তুলে ধরলাম, সদরঘাট মোড়ে সদর ফার্মেসিতে যে গ্যাস্ট্রিকের ইনসাফটা কোম্পানির ইসোনিক্স-৪০ এমজি দশটি ট্যাবলেটের মূল্য ৭০ টাকা, হোয়াইট হর্স কোম্পানির ডমিনল-১০ দশটি ট্যাবলেট এর খুচরা মূল্য ১৫ টাকা,সেই একই ঔষধ একশোগজ ভিতরে নালাপাড়া মনিকা ফার্মেসি ও লতা ফার্মেসিতে ইসোনিক্স-৪০ দশটি ১০০ টাকা আর ডমিনল-১০ দশটি ৩০ টাকা মূল্য বিক্রয় করা হচ্ছে। একশোগজ ব্যবধানে একটিতে একপাতা ৩০ টাকা বেশি,আর একটিতে ১৫ টাকা বেশি।এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ঔষধের দোকানে রয়েছে অহরহ ভেজাল নকল ঔষধের ছড়াছড়ি। একই রকম বাক্স একই রকম পাতা দেখে বুঝার কোন উপায় নেই কোন নকল কোনটা আসল!?অমিডন ইনসাফটা কোম্পানির একটি সুপরিচিত এবং সকলের মুখেমুখে মুখস্থ একটি ট্যাবলেটের নাম।

এটির গ্রুপ নাম হচ্ছে ডমফেরিডন,আজ বিকালে আমি সদরঘাট এরিয়ার উত্তর নালাপাড়া মনিকা ফার্মেসি থেকে ১৮ টাকা দিয়ে ৫টি অমিডন নিলাম, হাতে নিয়েই দেখি ঔষধের পাতায় কালার সাইজ সবকিছু ঠিক আছে শুধুই অমিডন লেখার জায়গায় ছোট করে লেখা ডমফেরিডন। তখন মনিকা ফার্মেসির মালিককে বললাম আমি চাইছি অমিডন আপনি একইধরনের এটা কি ট্যাবলেট দিলেন!?উত্তরে সে বললো একই ঔষধ কাজও একই, তখন আমি যখন বললাম এটা নকল ঔষধ!সে আর কথা না পাড়িয়ে বদলিয়ে দিলেন।তারপর দেখলাম তার দোকানে এইরকম শতো শতো নকল মেয়াধোত্তীর্ণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও মেয়াদ কেটে ফেলে দেওয়া ঔষধে পুরো দোকান সয়লাব।

আমি রীতিমত অবাগ হলাম চট্টগ্রাম শহুরের প্রাণকেন্দ্র এই জায়গায় এইগুলো কি হচ্ছে!?এই ব্যাপারে সদরঘাট এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানীত সভাপতি ও সদর ফার্মেসির মালিক জনাব ইলিয়াস সাহেবের সাথে কথা হয় আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোঃহাসানুর জামান বাবু সঙ্গে, উনি প্রথমে ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন- একই ঔষধের দামের এতো ব্যবধান অবশ্যই বেআইনিও সম্পূর্ণ অন্যায় কাজ।আমি এদের অনেক বার সতর্ক করেছি তারপরও এরা অতি মোনাফা লোভী আপনারা চাইলে তথ্য প্রমাণসহ আইনী ব্যবস্হা নিতে পাড়ের।আর যে মনিকা ফার্মেসির কথা বলতেছেন সে একজন চিহ্নিত প্রতারক, সে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ বিক্রি নকল ভেজাল মেয়াধোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় করার দায়ে এই পর্যন্ত দুুইবার জেল কেটেছেন দোকান সীলগালা করেছেন দুুইবার তারপরও তার কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা। এই সময় উপস্থিত কয়েকজন ক্রেতারও একই অভিযোগ।

ঐ ফার্মেসি গুলোতে সবসময় গলাকাটা ব্যবসা করেন এবং নকল ভেজাল সহ এমন কোন কাজ নেই এরা করেনা। বিশেষ করে পরিচিত কোন অশিক্ষিত কাস্টমার পেলেই এরা নকল ঔষধ দিতে এক সেকেন্ড দেরি করেননা। আমরা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ভোক্তা অধিকার আইনের কর্মরত কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যাতে মানুষের এই দূুর্ভোগের সময় হঠাৎ করেই একদিন এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আকস্মিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তল্লাশির ব্যবস্হা করা হয়। 

মোঃহাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রাম।

১৬ জানুয়ারি, ২০২৪,  10:38 AM

news image

ঔষধ মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীনবরক্ষাকারী পন্য দেশের এমন কোন পরিবার পাওয়া যাবেনা যে পরিবারে কমবেশি প্রতিদিন কোননা কোনরকম ঔষধের প্রয়োজন হয়না। প্রতিদিন ঔষধের প্রয়োজন হলেও পুরো বাক্সের ঔষধের খুচরা মূল্য লেখা থাকে কিন্তু প্রতিটি পাতায় খুচরা মূল্য লেখা থাকেনা এবং ঔষধ নিত্য প্রয়োজনী জরুরি পণ্য হলেও চালডালের মতো সাধারণ মানুষেরও দুএকটা ছাড়া ঔষধের দাম তেমনি জানা থাকেনা। সেই সুবাদে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঔষধের মূূল্য নিচ্ছে।

আমি পুরো চট্টগ্রামের কথা বলবোনা শুধুই চট্টগ্রাম সদরঘাট এলাকায় যে কয়েকটি ঔষধের দোকান আছে এগুলোর দাম ব্যবধান তুলে ধরলাম, সদরঘাট মোড়ে সদর ফার্মেসিতে যে গ্যাস্ট্রিকের ইনসাফটা কোম্পানির ইসোনিক্স-৪০ এমজি দশটি ট্যাবলেটের মূল্য ৭০ টাকা, হোয়াইট হর্স কোম্পানির ডমিনল-১০ দশটি ট্যাবলেট এর খুচরা মূল্য ১৫ টাকা,সেই একই ঔষধ একশোগজ ভিতরে নালাপাড়া মনিকা ফার্মেসি ও লতা ফার্মেসিতে ইসোনিক্স-৪০ দশটি ১০০ টাকা আর ডমিনল-১০ দশটি ৩০ টাকা মূল্য বিক্রয় করা হচ্ছে। একশোগজ ব্যবধানে একটিতে একপাতা ৩০ টাকা বেশি,আর একটিতে ১৫ টাকা বেশি।এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ঔষধের দোকানে রয়েছে অহরহ ভেজাল নকল ঔষধের ছড়াছড়ি। একই রকম বাক্স একই রকম পাতা দেখে বুঝার কোন উপায় নেই কোন নকল কোনটা আসল!?অমিডন ইনসাফটা কোম্পানির একটি সুপরিচিত এবং সকলের মুখেমুখে মুখস্থ একটি ট্যাবলেটের নাম।

এটির গ্রুপ নাম হচ্ছে ডমফেরিডন,আজ বিকালে আমি সদরঘাট এরিয়ার উত্তর নালাপাড়া মনিকা ফার্মেসি থেকে ১৮ টাকা দিয়ে ৫টি অমিডন নিলাম, হাতে নিয়েই দেখি ঔষধের পাতায় কালার সাইজ সবকিছু ঠিক আছে শুধুই অমিডন লেখার জায়গায় ছোট করে লেখা ডমফেরিডন। তখন মনিকা ফার্মেসির মালিককে বললাম আমি চাইছি অমিডন আপনি একইধরনের এটা কি ট্যাবলেট দিলেন!?উত্তরে সে বললো একই ঔষধ কাজও একই, তখন আমি যখন বললাম এটা নকল ঔষধ!সে আর কথা না পাড়িয়ে বদলিয়ে দিলেন।তারপর দেখলাম তার দোকানে এইরকম শতো শতো নকল মেয়াধোত্তীর্ণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও মেয়াদ কেটে ফেলে দেওয়া ঔষধে পুরো দোকান সয়লাব।

আমি রীতিমত অবাগ হলাম চট্টগ্রাম শহুরের প্রাণকেন্দ্র এই জায়গায় এইগুলো কি হচ্ছে!?এই ব্যাপারে সদরঘাট এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানীত সভাপতি ও সদর ফার্মেসির মালিক জনাব ইলিয়াস সাহেবের সাথে কথা হয় আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোঃহাসানুর জামান বাবু সঙ্গে, উনি প্রথমে ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন- একই ঔষধের দামের এতো ব্যবধান অবশ্যই বেআইনিও সম্পূর্ণ অন্যায় কাজ।আমি এদের অনেক বার সতর্ক করেছি তারপরও এরা অতি মোনাফা লোভী আপনারা চাইলে তথ্য প্রমাণসহ আইনী ব্যবস্হা নিতে পাড়ের।আর যে মনিকা ফার্মেসির কথা বলতেছেন সে একজন চিহ্নিত প্রতারক, সে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ বিক্রি নকল ভেজাল মেয়াধোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় করার দায়ে এই পর্যন্ত দুুইবার জেল কেটেছেন দোকান সীলগালা করেছেন দুুইবার তারপরও তার কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা। এই সময় উপস্থিত কয়েকজন ক্রেতারও একই অভিযোগ।

ঐ ফার্মেসি গুলোতে সবসময় গলাকাটা ব্যবসা করেন এবং নকল ভেজাল সহ এমন কোন কাজ নেই এরা করেনা। বিশেষ করে পরিচিত কোন অশিক্ষিত কাস্টমার পেলেই এরা নকল ঔষধ দিতে এক সেকেন্ড দেরি করেননা। আমরা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ভোক্তা অধিকার আইনের কর্মরত কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যাতে মানুষের এই দূুর্ভোগের সময় হঠাৎ করেই একদিন এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আকস্মিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তল্লাশির ব্যবস্হা করা হয়।