উড়োজাহাজ চলাচল পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা জার্মানির

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, 10:43 PM
উড়োজাহাজ চলাচল পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা জার্মানির
আকাশপথে চলাচল পরিবেশবান্ধব নয়। কেননা উড়োজাহাজ থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশের ক্ষতি করে। এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন প্রকৌশলীরা। জার্মানির ‘এইচটুফ্লাই’ কোম্পানির কর্মীরা দুই বছর ধরে এ লক্ষ্যে কাজ করছেন।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইওসেফ কালো জানান, আমাদের প্রযুক্তি পরীক্ষা করার প্ল্যাটফর্মের নাম এইচআইফোর। আমরা হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার করি, যা মোটরকে বৈদ্যুতিক শক্তি দেয়। নতুন এই সংস্করণে ফুয়েল সেলকে হাইড্রোজেন দিতে প্রেশারাইজড ট্যাঙ্কের পরিবর্তে তরল ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়, যার ধারণক্ষমতা বর্তমান সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
তাদের প্রকল্পের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর রাখছে, কারণ এয়ারবাসের মতো বড় কোম্পানিকেও ভবিষ্যতে উড়াল পরিবেশবান্ধব করতে তরল হাইড্রোজেনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এইচটুফ্লাই যদি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায় তাহলে তাদের সিস্টেম আরও ছোট ও কমপ্যাক্ট করতে হবে। দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে ডিও৩২৮ টাইপের এই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের জন্য তাদের একটি উপায় বের করতে হবে। ৩৩ আসনের এই উড়োজাহাজের নির্মাতা ‘ডয়চে এয়ারক্রাফট’ একে পরিবেশবান্ধব উড়ালের উপায় হিসাবে দেখছে।
ব্রিটিশ কোম্পানি ‘জিরোএভিয়া’ চলতি বছরের শুরুতে একটি ছোট দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট প্লেনের পরীক্ষামূলক উড়াল সম্পন্ন করেছে। তবে এতে মাত্র একটি বৈদ্যুতিক মোটর ও বায়বীয় হাইড্রোজেন ছিল। অন্য মোটরটি ছিল সাধারণ কম্বাশান ইঞ্জিন।
এয়ারবাসও হাইড্রোজেন প্রপালশন বা পরিচালনে আগ্রহী। তাই তারা ওই কোম্পানির কিছু অংশ কিনেছে। দুই বছরের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ রুটে চলা উড়োজাহাজকে হাইড্রোজেনচালিত করতে চায় এই স্টার্টআপ কোম্পানিটি।
উড়োজাহাজ নির্মাতা বিশেষজ্ঞ মির্কো হর্নুং আশা করছেন, যে গতিতে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে এটা প্রস্তুত হয়ে যাবে। ৫০ থেকে ৭৫ বা ৮০ যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ছোট উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।
তবে শুধু ইঞ্জিন নয়, সম্পূর্ণ নতুন প্রক্রিয়ার কথা ভাবা হচ্ছে—এয়ারক্রাফটের নকশা থেকে শুরু করে হাইড্রোজেন উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার।
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, 10:43 PM
আকাশপথে চলাচল পরিবেশবান্ধব নয়। কেননা উড়োজাহাজ থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশের ক্ষতি করে। এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন প্রকৌশলীরা। জার্মানির ‘এইচটুফ্লাই’ কোম্পানির কর্মীরা দুই বছর ধরে এ লক্ষ্যে কাজ করছেন।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইওসেফ কালো জানান, আমাদের প্রযুক্তি পরীক্ষা করার প্ল্যাটফর্মের নাম এইচআইফোর। আমরা হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার করি, যা মোটরকে বৈদ্যুতিক শক্তি দেয়। নতুন এই সংস্করণে ফুয়েল সেলকে হাইড্রোজেন দিতে প্রেশারাইজড ট্যাঙ্কের পরিবর্তে তরল ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়, যার ধারণক্ষমতা বর্তমান সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
তাদের প্রকল্পের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর রাখছে, কারণ এয়ারবাসের মতো বড় কোম্পানিকেও ভবিষ্যতে উড়াল পরিবেশবান্ধব করতে তরল হাইড্রোজেনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এইচটুফ্লাই যদি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায় তাহলে তাদের সিস্টেম আরও ছোট ও কমপ্যাক্ট করতে হবে। দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে ডিও৩২৮ টাইপের এই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের জন্য তাদের একটি উপায় বের করতে হবে। ৩৩ আসনের এই উড়োজাহাজের নির্মাতা ‘ডয়চে এয়ারক্রাফট’ একে পরিবেশবান্ধব উড়ালের উপায় হিসাবে দেখছে।
ব্রিটিশ কোম্পানি ‘জিরোএভিয়া’ চলতি বছরের শুরুতে একটি ছোট দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট প্লেনের পরীক্ষামূলক উড়াল সম্পন্ন করেছে। তবে এতে মাত্র একটি বৈদ্যুতিক মোটর ও বায়বীয় হাইড্রোজেন ছিল। অন্য মোটরটি ছিল সাধারণ কম্বাশান ইঞ্জিন।
এয়ারবাসও হাইড্রোজেন প্রপালশন বা পরিচালনে আগ্রহী। তাই তারা ওই কোম্পানির কিছু অংশ কিনেছে। দুই বছরের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ রুটে চলা উড়োজাহাজকে হাইড্রোজেনচালিত করতে চায় এই স্টার্টআপ কোম্পানিটি।
উড়োজাহাজ নির্মাতা বিশেষজ্ঞ মির্কো হর্নুং আশা করছেন, যে গতিতে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে এটা প্রস্তুত হয়ে যাবে। ৫০ থেকে ৭৫ বা ৮০ যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ছোট উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।
তবে শুধু ইঞ্জিন নয়, সম্পূর্ণ নতুন প্রক্রিয়ার কথা ভাবা হচ্ছে—এয়ারক্রাফটের নকশা থেকে শুরু করে হাইড্রোজেন উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার।