আমনের বা¤পার ফলনে হাসি ফুটেছে সুনামগঞ্জের হাওরের আমন চাষীদের

অরুন চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, 8:57 PM
আমনের বা¤পার ফলনে হাসি ফুটেছে সুনামগঞ্জের হাওরের আমন চাষীদের
ধানের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি । এখন ধানের ন্যায্য দাম যাতে পান, সেই আশা প্রকাশ করছেন তারা। রোপা আমনের বা¤পার ফলনে হাসি ফুটেছে সুনামগঞ্জের আমন চাষীদের।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য যেকোনো বারের চেয়ে এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চাষাবাদের খরচ উশুল করে লাভবান হবেন চাষীরা এমনটাই মনে করছে কৃষি বিভাগ। তবে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ৮৩ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ করা হয়।
সময়ে সময়ে বৃষ্টিপাত ও কোনো ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া সম্মুখীন না হওয়াতে আবাদকৃত জমিতে ফলন আশানুরূপ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে উৎপাদন বেশি হয়েছে। যার সার্বিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ হাজার ৬১২ মেট্টিকটন। ১০ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত মোট আবাদকৃত জমির ৭০ ভাগ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে; যা পরিমাণে ৫৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আমন চাষী ফজর আলী। আড়াই বিঘা জমিতে ধান চাষে ৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন। সার ও কীটনাশকে যথাযথ ব্যবহারে বিঘা প্রতি ১৮-১৯ মন ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি, যার বাজার ধর ৪৫-৫০ হাজার টাকা হবে বলে জানান এই চাষী। ফজর আলী বলেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হইছে।
ফলন পেয়ে আমি খুশি। আশা করছি ছেলমেয়ে নিয়ে ভালো থাকতে পারবো।একই এলাকার চাষী আবুল কাশেম বলেন, এবার বিঘা প্রতি গড়ে ১৮-২০ মন করে ধান পাচ্ছেন কৃষকরা। বিনা ১৭ জাতের ধানের উৎপাদন ভালো হইছে। ধান ভালো হলেও ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে লাভের লাভ হবে না। আশা করবো ধানের যাতে ন্যায্য মূল্য পাই এক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগ নিবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক মোহাম্মদ শওকত উসমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি অফিস চাষীদের পরামর্শ ও বীজ ও প্রনোদনা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী আজ পর্যন্ত ৭০ ভাগ জমির ধান কর্তন হয়েছে। আর সপ্তাহখানেকের ভেতরে শতভাগ ধান কর্তন করা যাবে বলে জানান তিনি।
অরুন চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, 8:57 PM
ধানের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি । এখন ধানের ন্যায্য দাম যাতে পান, সেই আশা প্রকাশ করছেন তারা। রোপা আমনের বা¤পার ফলনে হাসি ফুটেছে সুনামগঞ্জের আমন চাষীদের।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য যেকোনো বারের চেয়ে এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চাষাবাদের খরচ উশুল করে লাভবান হবেন চাষীরা এমনটাই মনে করছে কৃষি বিভাগ। তবে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ৮৩ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ করা হয়।
সময়ে সময়ে বৃষ্টিপাত ও কোনো ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া সম্মুখীন না হওয়াতে আবাদকৃত জমিতে ফলন আশানুরূপ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে উৎপাদন বেশি হয়েছে। যার সার্বিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ হাজার ৬১২ মেট্টিকটন। ১০ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত মোট আবাদকৃত জমির ৭০ ভাগ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে; যা পরিমাণে ৫৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আমন চাষী ফজর আলী। আড়াই বিঘা জমিতে ধান চাষে ৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন। সার ও কীটনাশকে যথাযথ ব্যবহারে বিঘা প্রতি ১৮-১৯ মন ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি, যার বাজার ধর ৪৫-৫০ হাজার টাকা হবে বলে জানান এই চাষী। ফজর আলী বলেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হইছে।
ফলন পেয়ে আমি খুশি। আশা করছি ছেলমেয়ে নিয়ে ভালো থাকতে পারবো।একই এলাকার চাষী আবুল কাশেম বলেন, এবার বিঘা প্রতি গড়ে ১৮-২০ মন করে ধান পাচ্ছেন কৃষকরা। বিনা ১৭ জাতের ধানের উৎপাদন ভালো হইছে। ধান ভালো হলেও ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে লাভের লাভ হবে না। আশা করবো ধানের যাতে ন্যায্য মূল্য পাই এক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগ নিবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক মোহাম্মদ শওকত উসমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি অফিস চাষীদের পরামর্শ ও বীজ ও প্রনোদনা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী আজ পর্যন্ত ৭০ ভাগ জমির ধান কর্তন হয়েছে। আর সপ্তাহখানেকের ভেতরে শতভাগ ধান কর্তন করা যাবে বলে জানান তিনি।