ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট : একজন থেকে বাঁচবে ৮ প্রাণ

#
news image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনিসহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন বিষয়ক জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এই বৈঠক আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির সেল।

উপাচার্য বলেন, ক্যাডাভেরিক একটি মহৎ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন, তেমনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট পুনরায় শুরু হবে। আমরা এ বছরের মধ্যেই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা লিভার ও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কাজে সবার সহযোগিতা কামনা করি। বিশেষ করে গণমাধ্যমের ভূমিকা এখানে অনেক বেশি। গণমাধ্যম যদি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব প্রচার করে তাহলে আমাদের কাজ সহজ হবে। জনগণও এতে উপকৃত হবে। আমরা গণমাধ্যমের কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আমরা প্রতিমাসে এক এক ইনস্টিটিউটে আলাদা করে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে আলোচনা সভা করার আহ্বান করছি। এর ফলে আমরা কেন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করব, কাদের কাছে করব, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব সবাইকে বোঝাতে পারব।

এসময় অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট সোসাইটির সভাপতি কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইসতিয়াক আহমেদ শামীম, অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদ আলম, অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন (দিপু), সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন: কিডনি, হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃৎ, অগ্নাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চক্ষু, চর্ম, টিস্যুসহ চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীর দেহের সংযোজনের জন্য ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়ে থাকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুন, ২০২২,  9:26 PM

news image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনিসহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন বিষয়ক জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এই বৈঠক আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির সেল।

উপাচার্য বলেন, ক্যাডাভেরিক একটি মহৎ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন, তেমনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট পুনরায় শুরু হবে। আমরা এ বছরের মধ্যেই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা লিভার ও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কাজে সবার সহযোগিতা কামনা করি। বিশেষ করে গণমাধ্যমের ভূমিকা এখানে অনেক বেশি। গণমাধ্যম যদি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব প্রচার করে তাহলে আমাদের কাজ সহজ হবে। জনগণও এতে উপকৃত হবে। আমরা গণমাধ্যমের কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আমরা প্রতিমাসে এক এক ইনস্টিটিউটে আলাদা করে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে আলোচনা সভা করার আহ্বান করছি। এর ফলে আমরা কেন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করব, কাদের কাছে করব, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব সবাইকে বোঝাতে পারব।

এসময় অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট সোসাইটির সভাপতি কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইসতিয়াক আহমেদ শামীম, অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদ আলম, অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন (দিপু), সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন: কিডনি, হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃৎ, অগ্নাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চক্ষু, চর্ম, টিস্যুসহ চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীর দেহের সংযোজনের জন্য ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়ে থাকে।