আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
০৫ জুলাই, ২০২৩, 10:39 PM
আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
কুরবানি ঈদের আমেজ যেতে না যেতেই ভরা বর্ষায় আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষে কোমর বেঁধে নেমেছেন কৃষকরা। তুলনামূলক উঁচু জমিতে রোপণের ৭০-৮০দিনেই এই ধান কেটে ঘরে তোলা যায়। অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার শিবনগর, আলাদিপুর, এলুয়ারি, খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এই ধানের ব্যাপক আবাদ লক্ষ্য করা গেছে। এসব এলাকায় বীজতলা থেকে চারা গাছ তুলে চাষ করা জমিতে রোপণ করছেন কৃষকরা। কয়েক দিনের টানা বর্ষনে জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় আগাম জাতের রোপা আমন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে। তাই নারী পুরুষ সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কথা হয় শিবনগর ইউপির কৃষক শাহীন আলমের সাথে। তিনি জানান, কয়েক বছর থেকে আগাম জাতের ধান চাষ করছেন তিনি। অল্প দিনে ধান পাকে, রোগ বালাই তেমন হয়না। আগাম হওয়ায় ধানের দামও পাওয়া যায় ভালো। এর আরেকটি সুবিধা হল ভরা বর্ষায় চারদিকে প্লাবিত হলে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তখন এই ধানের কাঁচা খড় গো খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। এর খড়ের ভালো দামও পাওয়া যায়।
নূরপুর গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, আগাম জাতের ধান কেটে আগাম জাতের আলু চাষ করা যায়। এভাবে একই জমিতে বছরে কয়েকটি ফসল ফলানো সম্ভব। আবার একই জমিতে ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদ করায় মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহানুর রহমান জানান, উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা ১৮হাজার ১৯০হেক্টর জমি। সেই লক্ষ্যে ৯০৯হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। আগাম জাতের রোপা আমন ধানে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ উপজেলায় আগাম রোপা আমন ধানের কয়েকটি জাত বেশি রোপণ করা হচ্ছে তার মধ্যে ব্রি-ধান ৭৫, ব্রি-ধান ৯০, বিনা ১৭, ধানি গোল্ড, এজেড ৭০০৬ অন্যতম।
মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
০৫ জুলাই, ২০২৩, 10:39 PM
কুরবানি ঈদের আমেজ যেতে না যেতেই ভরা বর্ষায় আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষে কোমর বেঁধে নেমেছেন কৃষকরা। তুলনামূলক উঁচু জমিতে রোপণের ৭০-৮০দিনেই এই ধান কেটে ঘরে তোলা যায়। অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার শিবনগর, আলাদিপুর, এলুয়ারি, খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এই ধানের ব্যাপক আবাদ লক্ষ্য করা গেছে। এসব এলাকায় বীজতলা থেকে চারা গাছ তুলে চাষ করা জমিতে রোপণ করছেন কৃষকরা। কয়েক দিনের টানা বর্ষনে জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় আগাম জাতের রোপা আমন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে। তাই নারী পুরুষ সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কথা হয় শিবনগর ইউপির কৃষক শাহীন আলমের সাথে। তিনি জানান, কয়েক বছর থেকে আগাম জাতের ধান চাষ করছেন তিনি। অল্প দিনে ধান পাকে, রোগ বালাই তেমন হয়না। আগাম হওয়ায় ধানের দামও পাওয়া যায় ভালো। এর আরেকটি সুবিধা হল ভরা বর্ষায় চারদিকে প্লাবিত হলে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তখন এই ধানের কাঁচা খড় গো খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। এর খড়ের ভালো দামও পাওয়া যায়।
নূরপুর গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, আগাম জাতের ধান কেটে আগাম জাতের আলু চাষ করা যায়। এভাবে একই জমিতে বছরে কয়েকটি ফসল ফলানো সম্ভব। আবার একই জমিতে ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদ করায় মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহানুর রহমান জানান, উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা ১৮হাজার ১৯০হেক্টর জমি। সেই লক্ষ্যে ৯০৯হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। আগাম জাতের রোপা আমন ধানে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ উপজেলায় আগাম রোপা আমন ধানের কয়েকটি জাত বেশি রোপণ করা হচ্ছে তার মধ্যে ব্রি-ধান ৭৫, ব্রি-ধান ৯০, বিনা ১৭, ধানি গোল্ড, এজেড ৭০০৬ অন্যতম।