শিরোনামঃ
নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ৫ আগস্ট জাতির সামনে উপস্থাপিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা কারও নেই: সমাবেশে সভাপতি রাকিবুল শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী

৭ মে থেকে সুনামগঞ্জে ধান কেনা শুরু, প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিতের আশংকা

#
news image

সুনামগঞ্জ জেলায় ধান কাটা প্রায় শেষ। রবিবার থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হবে। জেলায় এবছর প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন ধান উৎপাদন হলেও সরকার কিনবে মাত্র ১৭ হাজার ৪৮৩ টন ধান। এই ধানও প্রকৃৃত কৃষকরা দিতে পারবেন কী-না, এই নিয়ে চিন্তিত তারা। প্রতিবছরের মতো এবারও মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষিকার্ড হাতিয়ে নিচ্ছে।

ধান দেবার লটারিতে এরাই সরবরাহ করবে শত শত কার্ড, প্রকৃত কৃষকরা তাতে বঞ্চিত হবে।জেলায় দুই লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করে এবার প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন ধানের উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন ধানের দাম প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা। সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি মণ ১২০০ টাকা। আগামী রবিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ভার্চ্যুয়ালি সুনামগঞ্জের ধান কেনা উদ্বোধন করবেন। সুনামগঞ্জে এবার ধান কেনা হবে ১৭ হাজার ৪৮৩ টন। সরকারি খাদ্য গোদামে একজন কৃষক সর্বোচ্চ তিন টন ধান বিক্রয় করতে পারবেন।

সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় কৃষক আছেন তিন লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৭ জন (কৃষি অফিসের কৃষক তালিকা অনুযায়ী)। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কৃষক তিন টন করে ধান দিলে সুনামগঞ্জ জেলায় পাঁচ হাজার ৮২৭ জন কৃষক সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রয় করতে পারবেন। ভাগ্যবান এই কৃষক হতে প্রতিবছরই দৌঁড়ঝাঁপ শুরু হয় কৃষকদের।

হাওরাঞ্চলে প্রতিবছরই সরকারি ধান কেনা নিয়ে অনিয়মের খবর শুনা যায়। অনলাইনে ধান কেনা বেচায়ও কৌশলে নয় ছয় হয়। বিশেষ করে মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে খাদ্য গোদামের অসৎ কর্মচারীদের যোগসাজসে কৃষকের কৃষি কার্ড দিয়ে এরাই গোদামে বিপুল পরিমাণ ধান দেবার অভিযোগ শুনা যায়।

এবারও সেটির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বেনু গোপাল দাস বললেন, প্রকৃত কৃষকদের আবেদন করানো গেলে, কৃষি অফিস তৎপর থাকলে, কৃষিকার্ড কেনা- বেচার সুযোগ থাকবে না। তিনি জানান, আগামী সাত মে খাদ্যমন্ত্রী সরকারি ধান কেনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। এ জেলায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৮৩ টন ধান কেনা হবে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদরে ১২৩৫, শান্তিগঞ্জে ১৮১৭. দোয়ারাবাজারে ৯৫১, ছাতকে ১১২৮, জগন্নাথপুরে ১৬৩৫, দিরাইয়ে ২৪৬৯, শাল্লায় ১৮৩১, ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ২৩৮৭, জামালগঞ্জে ১৯৫২, তাহিরপুরে ১২৯২ ও বিশ^ম্ভরপুরে ৭৮৬ টন ধান কেনা হবে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, দিরাই, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুরে ধান কেনা হবে অনলাইনে।

অরুন চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ 

০৫ মে, ২০২৩,  7:47 PM

news image

সুনামগঞ্জ জেলায় ধান কাটা প্রায় শেষ। রবিবার থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হবে। জেলায় এবছর প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন ধান উৎপাদন হলেও সরকার কিনবে মাত্র ১৭ হাজার ৪৮৩ টন ধান। এই ধানও প্রকৃৃত কৃষকরা দিতে পারবেন কী-না, এই নিয়ে চিন্তিত তারা। প্রতিবছরের মতো এবারও মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষিকার্ড হাতিয়ে নিচ্ছে।

ধান দেবার লটারিতে এরাই সরবরাহ করবে শত শত কার্ড, প্রকৃত কৃষকরা তাতে বঞ্চিত হবে।জেলায় দুই লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করে এবার প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন ধানের উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন ধানের দাম প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা। সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি মণ ১২০০ টাকা। আগামী রবিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ভার্চ্যুয়ালি সুনামগঞ্জের ধান কেনা উদ্বোধন করবেন। সুনামগঞ্জে এবার ধান কেনা হবে ১৭ হাজার ৪৮৩ টন। সরকারি খাদ্য গোদামে একজন কৃষক সর্বোচ্চ তিন টন ধান বিক্রয় করতে পারবেন।

সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় কৃষক আছেন তিন লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৭ জন (কৃষি অফিসের কৃষক তালিকা অনুযায়ী)। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কৃষক তিন টন করে ধান দিলে সুনামগঞ্জ জেলায় পাঁচ হাজার ৮২৭ জন কৃষক সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রয় করতে পারবেন। ভাগ্যবান এই কৃষক হতে প্রতিবছরই দৌঁড়ঝাঁপ শুরু হয় কৃষকদের।

হাওরাঞ্চলে প্রতিবছরই সরকারি ধান কেনা নিয়ে অনিয়মের খবর শুনা যায়। অনলাইনে ধান কেনা বেচায়ও কৌশলে নয় ছয় হয়। বিশেষ করে মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে খাদ্য গোদামের অসৎ কর্মচারীদের যোগসাজসে কৃষকের কৃষি কার্ড দিয়ে এরাই গোদামে বিপুল পরিমাণ ধান দেবার অভিযোগ শুনা যায়।

এবারও সেটির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বেনু গোপাল দাস বললেন, প্রকৃত কৃষকদের আবেদন করানো গেলে, কৃষি অফিস তৎপর থাকলে, কৃষিকার্ড কেনা- বেচার সুযোগ থাকবে না। তিনি জানান, আগামী সাত মে খাদ্যমন্ত্রী সরকারি ধান কেনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। এ জেলায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৮৩ টন ধান কেনা হবে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদরে ১২৩৫, শান্তিগঞ্জে ১৮১৭. দোয়ারাবাজারে ৯৫১, ছাতকে ১১২৮, জগন্নাথপুরে ১৬৩৫, দিরাইয়ে ২৪৬৯, শাল্লায় ১৮৩১, ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ২৩৮৭, জামালগঞ্জে ১৯৫২, তাহিরপুরে ১২৯২ ও বিশ^ম্ভরপুরে ৭৮৬ টন ধান কেনা হবে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, দিরাই, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুরে ধান কেনা হবে অনলাইনে।