সমস্যায় জর্জরিত মহেশপুর হাসপাতাল!

হোসাইন আহম্মেদ, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)
০৪ মে, ২০২৩, 3:45 PM

সমস্যায় জর্জরিত মহেশপুর হাসপাতাল!
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমস্যায় জর্জরিত, কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তোলপাড়।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, মহেশপুর ৫০ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য কর্মচারি মিলে একশ পদের বিপরীতে আছে ৬৪জন। এ হাসপাতালে ২১জন ডাক্তারের মধ্যে আছে ৬জন। ৫জন পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে ৩জনের পদ থাকলেও একজনও নেই। সহকারী সেবিকা একজনও নেই। নার্স ৩২জন থাকার কথা কিন্তু একজনও নেই। ৩ জন ওয়ার্ড বয়ের মধ্যে একজনও নেই।
বুধবার সকালে মহেশপুর হাসপাতালে স্থানীয় এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের সভাপতিত্বে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অভিযোগের সূরে উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ বলেন হাসপাতালের অনিয়ম দূর্ণীতি বেড়ে গেছে। এরমধ্যে টেন্ডারের ঘাফলা,রোগীর খাদ্য সরবরাহ নিম্নমানের, ওয়াশরুম ব্যবহারের অযোগ্য, মান সম্পন্ন ঔষধের ঘাটতি ও বহিরাগতদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মাষ্টার বলেন, জনবল সংকটে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়েছে,নিম্নমানের ঔষধ সাপ্লাই দেওয়া সহ ঔষধের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কমিটির অপর সদস্য আবুল হোসেন লিটন বলেন মহেশপুরে ২২টি প্রাইভেট ক্লিনিক থাকলেও তাদের কোন অনুমোদন নেই। ফলে অপচিকিৎসায় অনেক রোগী মারা যাচ্ছে কিন্তু প্রতিকার হচ্ছে না।
কমিটির আর এক সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন বলেন তিনি নিজে একজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সভায় অনুরোধ করেন।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ইউএইচএন্ডএফপিও ডাঃ হেদায়েত বিন মোহাম্মদ সেতু সভায় বলেন পাশে কপোতাক্ষ নদ খনন করার মাটিতে ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে যেকারণে হাসপাতালের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এছাড়া চাহিদা মোতাবেক ঔষধ সরবরাহ না পাওয়ায় তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেন না। কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় তিনি সেবা দিতে পারছেন না।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল বলেন হাসপাতালের কোন অনিয়ম দূর্ণীতি বরদাস্ত করা হবে না। বহিরাগত কেউ প্রভাব বিস্তার করলে তা শক্ত হাতে দমন করার আহবান জানান। তিনি উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আহবান জানান এবং হাসপাতালে যে সকল সমস্যা বিদ্যামান তা সকলে মিলে সমাধান করার অভিমত ব্যক্ত করেন।
হোসাইন আহম্মেদ, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)
০৪ মে, ২০২৩, 3:45 PM

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমস্যায় জর্জরিত, কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তোলপাড়।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, মহেশপুর ৫০ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য কর্মচারি মিলে একশ পদের বিপরীতে আছে ৬৪জন। এ হাসপাতালে ২১জন ডাক্তারের মধ্যে আছে ৬জন। ৫জন পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে ৩জনের পদ থাকলেও একজনও নেই। সহকারী সেবিকা একজনও নেই। নার্স ৩২জন থাকার কথা কিন্তু একজনও নেই। ৩ জন ওয়ার্ড বয়ের মধ্যে একজনও নেই।
বুধবার সকালে মহেশপুর হাসপাতালে স্থানীয় এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের সভাপতিত্বে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অভিযোগের সূরে উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ বলেন হাসপাতালের অনিয়ম দূর্ণীতি বেড়ে গেছে। এরমধ্যে টেন্ডারের ঘাফলা,রোগীর খাদ্য সরবরাহ নিম্নমানের, ওয়াশরুম ব্যবহারের অযোগ্য, মান সম্পন্ন ঔষধের ঘাটতি ও বহিরাগতদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মাষ্টার বলেন, জনবল সংকটে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়েছে,নিম্নমানের ঔষধ সাপ্লাই দেওয়া সহ ঔষধের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কমিটির অপর সদস্য আবুল হোসেন লিটন বলেন মহেশপুরে ২২টি প্রাইভেট ক্লিনিক থাকলেও তাদের কোন অনুমোদন নেই। ফলে অপচিকিৎসায় অনেক রোগী মারা যাচ্ছে কিন্তু প্রতিকার হচ্ছে না।
কমিটির আর এক সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন বলেন তিনি নিজে একজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সভায় অনুরোধ করেন।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ইউএইচএন্ডএফপিও ডাঃ হেদায়েত বিন মোহাম্মদ সেতু সভায় বলেন পাশে কপোতাক্ষ নদ খনন করার মাটিতে ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে যেকারণে হাসপাতালের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এছাড়া চাহিদা মোতাবেক ঔষধ সরবরাহ না পাওয়ায় তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেন না। কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় তিনি সেবা দিতে পারছেন না।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল বলেন হাসপাতালের কোন অনিয়ম দূর্ণীতি বরদাস্ত করা হবে না। বহিরাগত কেউ প্রভাব বিস্তার করলে তা শক্ত হাতে দমন করার আহবান জানান। তিনি উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আহবান জানান এবং হাসপাতালে যে সকল সমস্যা বিদ্যামান তা সকলে মিলে সমাধান করার অভিমত ব্যক্ত করেন।