দাম নেই তাই সবজি এখন গরু-ছাগলের খাদ্য

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৫ এপ্রিল, ২০২৩, 10:49 PM
দাম নেই তাই সবজি এখন গরু-ছাগলের খাদ্য
বাজারে দাম নেই তাই সবা প্রিয় সবুজ শাক আর লালশাক এখন গরু-ছাগলে খাচ্ছে। বিক্র করতে বাজাওে নিয়ে যাবার ভ্যানভাড়াও উঠছে না বলে কৃষক তার ক্ষেতেই শুকিয়ে দিচ্ছেন কষ্টে ফলানো শাক। আশেপাশের গৃহস্তরা এসে কিছু কিছু করে শাক তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিনে পয়সায়। এ অবস্থা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামের।
সবজিচাষি শহিদুল ইসলাম-র সাথে কথা হয় শুক্রবার বিলে তার সবজিক্সেতে। তিনি জানালেন, চলতি মৌসুমে অনেক আশা কওে ৪৮ শতক জমিতে লালশাক আর সবুজশাক বুনেছিলেন। বিগত বছরগুলোর মত এবারের রোজার বকাজার তার টার্গেট ছিল যাতে ৬০- ৭০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারেন। পরিচর্যা ভালো হওয়ায় কে।সেতের ফসলও ভালোই হয়েছে।
রোজার প্রথমদিকে ৪-৫শ টাকার শাক বিক্রি করলেও পরে তার চাহিদা শুণ্যে পৌঁছেছে। কোন দামেই এখন বাজারে শাকের চাহিদা নেই। কেন নেই তা তিনি বা বিক্রেতারা বলতে পারছেন না। তিনি জানলেন, ওই শাক তৈরি করতে বীজ, সার, সেচ, শ্রমিক বাবদ কমপক্শে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ, তিনি এখন কোন দামই পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে ১৮ শতক জমির শাক মািিটতে ধংষ কওে নিজেকে বাঁচাতে পাট বুনে দিয়েছেন। বাদবাকি ৩০ শতকের শাক নিজের বা এলাকার গরু-ছাগল দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন। আশেপাশের লোকেরা তার ক্ষেত থেকে বিনে পয়সায় শাক তুলে নিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে স্থানীয় বাজারে কিছু শাক নিয়ে গেলে বিক্রির পয়সার পরিবহনকারি ভ্যানওয়ালার টাকাও পকেট থেকে দিয়ে মানসম্মান বাঁচাতে হয়েছে।
কয়েকজন খুচরো সবজি বিক্রেতার সাথে শাকের চাহিগদার বিষয়ে কথা বললে তারা জানালেন, প্রতি আটি শাতক গত রোজার মাসে ১০ টাকায় বিক্রি করলেও এবার দুই টাকাতেও কেউ কিনতে চাচ্ছেন না। দেখে মনে হয় মুখরোচক ও জনপ্রিয় শাকের ওপর থেকে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জমান খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শাকের নিম্নমূখি চাহিদার কথা তিনি শুনেছেন। তার মতে এবার শাকের উৎপাদন খুব বেশি হয়েছে। হয়ত কৃষকরা রোজার মাসকে উপলক্ষ্য করেই বেশি বেশি মাক বুনেছেন। তকেব তারা যদি মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ শুনে এ কাজ করতেন, তবে হয়ত ক্ষতি কম হতো। তিনি মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে যেকোন আবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৫ এপ্রিল, ২০২৩, 10:49 PM
বাজারে দাম নেই তাই সবা প্রিয় সবুজ শাক আর লালশাক এখন গরু-ছাগলে খাচ্ছে। বিক্র করতে বাজাওে নিয়ে যাবার ভ্যানভাড়াও উঠছে না বলে কৃষক তার ক্ষেতেই শুকিয়ে দিচ্ছেন কষ্টে ফলানো শাক। আশেপাশের গৃহস্তরা এসে কিছু কিছু করে শাক তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিনে পয়সায়। এ অবস্থা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামের।
সবজিচাষি শহিদুল ইসলাম-র সাথে কথা হয় শুক্রবার বিলে তার সবজিক্সেতে। তিনি জানালেন, চলতি মৌসুমে অনেক আশা কওে ৪৮ শতক জমিতে লালশাক আর সবুজশাক বুনেছিলেন। বিগত বছরগুলোর মত এবারের রোজার বকাজার তার টার্গেট ছিল যাতে ৬০- ৭০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারেন। পরিচর্যা ভালো হওয়ায় কে।সেতের ফসলও ভালোই হয়েছে।
রোজার প্রথমদিকে ৪-৫শ টাকার শাক বিক্রি করলেও পরে তার চাহিদা শুণ্যে পৌঁছেছে। কোন দামেই এখন বাজারে শাকের চাহিদা নেই। কেন নেই তা তিনি বা বিক্রেতারা বলতে পারছেন না। তিনি জানলেন, ওই শাক তৈরি করতে বীজ, সার, সেচ, শ্রমিক বাবদ কমপক্শে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ, তিনি এখন কোন দামই পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে ১৮ শতক জমির শাক মািিটতে ধংষ কওে নিজেকে বাঁচাতে পাট বুনে দিয়েছেন। বাদবাকি ৩০ শতকের শাক নিজের বা এলাকার গরু-ছাগল দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন। আশেপাশের লোকেরা তার ক্ষেত থেকে বিনে পয়সায় শাক তুলে নিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে স্থানীয় বাজারে কিছু শাক নিয়ে গেলে বিক্রির পয়সার পরিবহনকারি ভ্যানওয়ালার টাকাও পকেট থেকে দিয়ে মানসম্মান বাঁচাতে হয়েছে।
কয়েকজন খুচরো সবজি বিক্রেতার সাথে শাকের চাহিগদার বিষয়ে কথা বললে তারা জানালেন, প্রতি আটি শাতক গত রোজার মাসে ১০ টাকায় বিক্রি করলেও এবার দুই টাকাতেও কেউ কিনতে চাচ্ছেন না। দেখে মনে হয় মুখরোচক ও জনপ্রিয় শাকের ওপর থেকে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জমান খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শাকের নিম্নমূখি চাহিদার কথা তিনি শুনেছেন। তার মতে এবার শাকের উৎপাদন খুব বেশি হয়েছে। হয়ত কৃষকরা রোজার মাসকে উপলক্ষ্য করেই বেশি বেশি মাক বুনেছেন। তকেব তারা যদি মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ শুনে এ কাজ করতেন, তবে হয়ত ক্ষতি কম হতো। তিনি মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে যেকোন আবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন।