শিরোনামঃ
নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ৫ আগস্ট জাতির সামনে উপস্থাপিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা কারও নেই: সমাবেশে সভাপতি রাকিবুল শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী

কলাপাড়ায় বিনা চাষে আলু উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা

#
news image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিনা চাষে আলু উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। এসিআইএআর এর অর্থায়নে সরেজমিন গবেষনা বিভাগ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট পটুয়াখালী শাখার উদ্যোগে উপজেলার রজপাড়া, পাখিমারা, উমেদপুর, কুয়াকাটা এবং বান্দ্রা, আমতলী ও বরগুনায় আধুনিক এ পদ্ধতিতে আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন প্রান্তিক চাষীরা।

জানা যায়,আমন ধান কাটার পর কোন প্রকার জমি চাষ না দিয়ে আলু উৎপাদন একটি লাগসই প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান কাটার পর জমিতে পরিমিত সার দিয়ে নির্দিষ্ট দুরত্বে আলু বীজ বপন করে ধানের খর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে জমিতে মাটির রস সংরক্ষিত হয়, লবনের প্রভাব পড়ে না, উৎপাদন খরচ কম হয় এবং ফসল ভালো হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ২ টন আলুর ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলে আধুনিক এ পদ্ধতির বিস্তার ঘটাতে পারলে অধিকাংশ পতিত জমি আলু চাষের আওতায় আসবে।

রজাপাড়া গ্রামের কৃষক হানিফ ও রমজান বলেন, জমি চাষ করা প্রয়োজন হয়না বলে প্রাথমিকভাবে কিছু জমিতে চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। তারা আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ পদ্ধতি আলু চাষ করবে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ.আর.এম সাইফুল্লাহ বলেন, বিনা চাষে আলু উৎপাদন একটি নতুন পদ্ধতি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এ পদ্ধতিতে আলু চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহীত করছে। তুলনামূলক অনেক কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ পদ্ধতিতে আলু চাষে প্রচুর খড় ও কচুরিপাঁনার প্রয়োজন হয়। আশা করছি, কৃষকদের কাছে ধীরে ধীরে এর চাহিদা আরো বাড়বে।

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

২২ মার্চ, ২০২৩,  7:12 PM

news image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিনা চাষে আলু উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। এসিআইএআর এর অর্থায়নে সরেজমিন গবেষনা বিভাগ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট পটুয়াখালী শাখার উদ্যোগে উপজেলার রজপাড়া, পাখিমারা, উমেদপুর, কুয়াকাটা এবং বান্দ্রা, আমতলী ও বরগুনায় আধুনিক এ পদ্ধতিতে আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন প্রান্তিক চাষীরা।

জানা যায়,আমন ধান কাটার পর কোন প্রকার জমি চাষ না দিয়ে আলু উৎপাদন একটি লাগসই প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান কাটার পর জমিতে পরিমিত সার দিয়ে নির্দিষ্ট দুরত্বে আলু বীজ বপন করে ধানের খর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে জমিতে মাটির রস সংরক্ষিত হয়, লবনের প্রভাব পড়ে না, উৎপাদন খরচ কম হয় এবং ফসল ভালো হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ২ টন আলুর ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলে আধুনিক এ পদ্ধতির বিস্তার ঘটাতে পারলে অধিকাংশ পতিত জমি আলু চাষের আওতায় আসবে।

রজাপাড়া গ্রামের কৃষক হানিফ ও রমজান বলেন, জমি চাষ করা প্রয়োজন হয়না বলে প্রাথমিকভাবে কিছু জমিতে চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। তারা আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ পদ্ধতি আলু চাষ করবে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ.আর.এম সাইফুল্লাহ বলেন, বিনা চাষে আলু উৎপাদন একটি নতুন পদ্ধতি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এ পদ্ধতিতে আলু চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহীত করছে। তুলনামূলক অনেক কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ পদ্ধতিতে আলু চাষে প্রচুর খড় ও কচুরিপাঁনার প্রয়োজন হয়। আশা করছি, কৃষকদের কাছে ধীরে ধীরে এর চাহিদা আরো বাড়বে।