শিরোনামঃ
নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ৫ আগস্ট জাতির সামনে উপস্থাপিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা কারও নেই: সমাবেশে সভাপতি রাকিবুল শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী

সমান মজুরীতে কাজ করছেন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারী শ্রমিকেরা

#
news image

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারীরা এখন মাঠের কাজে দিন হাজিরায় পুরুষ শ্রমিকদের সমান মজুরীতে কাজ করেন। এরা চুক্তিতেও কাজ করেন সমান মজুরীর টাকায়। আর কাজের  আগে মজুরী মিটিয়ে নেন। এদিকে এদের জীবন মানে বদল আসছে। কমছে নারী শ্রমিক সংখ্যা।

উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিলনগর, বেলাই ও বাঙ্গালা ইউনিয়নের প্রতাপের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও মাঠের কাজে মজুরী বেচেন। তিন গ্রামের প্রায় একশো নারী মাঠের কাজে মজুরী বেচেন বলে জানা গেছে।

বাঙ্গালা ইউনিয়নের  প্রতাপ হাট এলাকায়  ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ঘাশীমালো প্রায় বিশ পরিবার বংশ পরম্পরায় বসবাস করছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের দশ থেকে বারো জন গৃহবধূ নারী কৃষি কাজে মজুরী খাটেন। এরা নিজেদের এলাকায় কাজ না থাকলে পাবনার বেড়া উপজেলা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠের কাজে দল বেধে যান। এখন নিজেদের বাঙ্গালা , উধুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় মাঠগুলোয় বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন।

উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিলনগর মাঠে ঘাশীমালো পাঁচ নারী শ্রমিককে বোরো ধান চারা লাগাতে দেখা গেছে। এরা হলেন কল্পনা ঘাশীমালো, অঞ্জনা ঘাশীমালো, বিউটি ঘাশীমালো, বাসনা ঘাশীমালো ও অভাগিনী ঘাশীমালো।

একই মাঠে ফাজিলনগরের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর পাচ নারী শ্রমিককে জমিতে বোরো ধান চারা লাগাতে দেখা গেছে। এরা হলেন- সুনীতি রাণী মাহাতো, শান্তনা মাহাতো, মায়া রাণী মাহাতো, অর্চনা মাহাতো ও অরুণা মাহাতো। এক হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এ নারী শ্রমিকেরা জমিতে ধান চারা লাগাচ্ছেন। এরা দল বেঁধে কাজ করছেন। একেক জনের দিনে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচশো টাকা মজুরীতে আয় করছেন বলে জানান।

এলাকায় আর সপ্তাখানেকের মধ্যে মাঠগুলোয় ধান চারা লাগানোর কাজ শেষ হবে। জানা গেছে, ঘাশীমালো নারী শ্রমিকেরা এলাকায় কাজ না থাকলে বিভিন্ন এলাকায় দল বেধে কাজে যান। এরা কাজে গিয়ে সেসব এলাকায় গৃহস্থের বাড়ীতেই থাকেন। এদিকে ফাজিলনগরের মাহাতো নারী শ্রমিকেরা এলাকায় কাজ না থাকলে বাড়ীতেই থাকেন। এরা কাজে অন্য এলাকায় যান না বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদককে ঘাশীমালো অঞ্জনা, বাসনা ও সুনীতি রাণী মাহাতো জানান এখন মাঠের ধান চারা লাগানো, ধান কাটাসহ মাঠের সব কাজ চুক্তিতে কাজ করেন। এরা গৃহস্থদের সাথে দর দাম মিটিয়ে নেন। আর দিন হাজিরায় কোনো কোনো সময় কাজ করলেও পুরুষ শ্রমিকদের সমান মজুরীতে কাজ করেন।

ফাজিলনগরের গৃহস্থ আলা উদ্দীন বলেন, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারী শ্রমিকেরা এলাকায় মাঠের কাজে বেশ দক্ষ। এরা ভালো ভাবেই কাজ করেন। এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে এখানকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর পরিবারগুলোর জীবন মানে বেশ বদল আসছে। নতুন গৃহবধূ কিংবা পড়ালেখা করছে এমন নারীরা মাঠে কাজ করেন না। এদের পরিবার থেকে মাঠে কাজে পাঠানো হয় না বলে জানা গেছে।

মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ) সিরাজগঞ্জ

১৮ মার্চ, ২০২৩,  6:07 PM

news image

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারীরা এখন মাঠের কাজে দিন হাজিরায় পুরুষ শ্রমিকদের সমান মজুরীতে কাজ করেন। এরা চুক্তিতেও কাজ করেন সমান মজুরীর টাকায়। আর কাজের  আগে মজুরী মিটিয়ে নেন। এদিকে এদের জীবন মানে বদল আসছে। কমছে নারী শ্রমিক সংখ্যা।

উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিলনগর, বেলাই ও বাঙ্গালা ইউনিয়নের প্রতাপের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও মাঠের কাজে মজুরী বেচেন। তিন গ্রামের প্রায় একশো নারী মাঠের কাজে মজুরী বেচেন বলে জানা গেছে।

বাঙ্গালা ইউনিয়নের  প্রতাপ হাট এলাকায়  ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ঘাশীমালো প্রায় বিশ পরিবার বংশ পরম্পরায় বসবাস করছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের দশ থেকে বারো জন গৃহবধূ নারী কৃষি কাজে মজুরী খাটেন। এরা নিজেদের এলাকায় কাজ না থাকলে পাবনার বেড়া উপজেলা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠের কাজে দল বেধে যান। এখন নিজেদের বাঙ্গালা , উধুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় মাঠগুলোয় বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন।

উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিলনগর মাঠে ঘাশীমালো পাঁচ নারী শ্রমিককে বোরো ধান চারা লাগাতে দেখা গেছে। এরা হলেন কল্পনা ঘাশীমালো, অঞ্জনা ঘাশীমালো, বিউটি ঘাশীমালো, বাসনা ঘাশীমালো ও অভাগিনী ঘাশীমালো।

একই মাঠে ফাজিলনগরের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর পাচ নারী শ্রমিককে জমিতে বোরো ধান চারা লাগাতে দেখা গেছে। এরা হলেন- সুনীতি রাণী মাহাতো, শান্তনা মাহাতো, মায়া রাণী মাহাতো, অর্চনা মাহাতো ও অরুণা মাহাতো। এক হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এ নারী শ্রমিকেরা জমিতে ধান চারা লাগাচ্ছেন। এরা দল বেঁধে কাজ করছেন। একেক জনের দিনে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচশো টাকা মজুরীতে আয় করছেন বলে জানান।

এলাকায় আর সপ্তাখানেকের মধ্যে মাঠগুলোয় ধান চারা লাগানোর কাজ শেষ হবে। জানা গেছে, ঘাশীমালো নারী শ্রমিকেরা এলাকায় কাজ না থাকলে বিভিন্ন এলাকায় দল বেধে কাজে যান। এরা কাজে গিয়ে সেসব এলাকায় গৃহস্থের বাড়ীতেই থাকেন। এদিকে ফাজিলনগরের মাহাতো নারী শ্রমিকেরা এলাকায় কাজ না থাকলে বাড়ীতেই থাকেন। এরা কাজে অন্য এলাকায় যান না বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদককে ঘাশীমালো অঞ্জনা, বাসনা ও সুনীতি রাণী মাহাতো জানান এখন মাঠের ধান চারা লাগানো, ধান কাটাসহ মাঠের সব কাজ চুক্তিতে কাজ করেন। এরা গৃহস্থদের সাথে দর দাম মিটিয়ে নেন। আর দিন হাজিরায় কোনো কোনো সময় কাজ করলেও পুরুষ শ্রমিকদের সমান মজুরীতে কাজ করেন।

ফাজিলনগরের গৃহস্থ আলা উদ্দীন বলেন, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারী শ্রমিকেরা এলাকায় মাঠের কাজে বেশ দক্ষ। এরা ভালো ভাবেই কাজ করেন। এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে এখানকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর পরিবারগুলোর জীবন মানে বেশ বদল আসছে। নতুন গৃহবধূ কিংবা পড়ালেখা করছে এমন নারীরা মাঠে কাজ করেন না। এদের পরিবার থেকে মাঠে কাজে পাঠানো হয় না বলে জানা গেছে।