কৃষিপণ্যে সিন্ডিকেট সম্ভব নয়: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

নাগরিক প্রতিবেদক
১১ মার্চ, ২০২৩, 8:57 PM

কৃষিপণ্যে সিন্ডিকেট সম্ভব নয়: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যে সিন্ডিকেট তৈরি সম্ভব নয় মন্তব্য করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার জন্য বেশিরভাগ সময় সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। কিন্তু কৃষিপণ্যে সিন্ডিকেট তৈরি সম্ভব নয়।
উৎপাদন ঘাটতি না থাকলে দেশে কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে বহুস্তর রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মস্থান। তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় ছোট-বড় সাড়ে ৫ হাজার রাইস মিল রয়েছে। এত মানুষ একসঙ্গে মিটিং করে কীভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করবে? তবে চাল নিয়ে চালবাজি হয়। দেশের বাজারে সবচেয়ে অস্থিতিশীল পণ্য চাল।
এটার কারণ মিল মালিকরা চাল পলিশ করে ঝকঝকে চিকন এবং মিনিকেট করতে যেয়ে খরচ বাড়িয়ে ফেলে। শনিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অডিটোরিয়ামে ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এফএসবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত যুব মৎস্য বিজ্ঞানীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০) লিখে ছিলাম কৃষির সেক্টরগুলোতে প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বা এর বেশি। সেখানে কৃষি বনায়ন খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যা ৫ শতাংশ, এরপর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে মৎস্য খাতে। প্রাণিসম্পদ ও শস্যপণ্যে যা মাত্র শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। বাজার দেখলেই বোঝা যায় মৎস্য খাতে চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের সামঞ্জস্য রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ খাতে ঘাটতি থাকায় যেভাবে দাম খুব বেশি ওঠানামা করে তেমনটা মৎস্য খাতে দেখা যায় না। সকাল-বিকেল হয়তো কিছুটা ওঠানামা করে। গবেষণায় কৃষি বিজ্ঞানীদের আরও এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফএসবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. সাদিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের সভাপতি ড. এফএইচ আনসারি, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, শেকৃবি উপাঁচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর।
নাগরিক প্রতিবেদক
১১ মার্চ, ২০২৩, 8:57 PM

কৃষিপণ্যে সিন্ডিকেট তৈরি সম্ভব নয় মন্তব্য করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার জন্য বেশিরভাগ সময় সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। কিন্তু কৃষিপণ্যে সিন্ডিকেট তৈরি সম্ভব নয়।
উৎপাদন ঘাটতি না থাকলে দেশে কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে বহুস্তর রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মস্থান। তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় ছোট-বড় সাড়ে ৫ হাজার রাইস মিল রয়েছে। এত মানুষ একসঙ্গে মিটিং করে কীভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করবে? তবে চাল নিয়ে চালবাজি হয়। দেশের বাজারে সবচেয়ে অস্থিতিশীল পণ্য চাল।
এটার কারণ মিল মালিকরা চাল পলিশ করে ঝকঝকে চিকন এবং মিনিকেট করতে যেয়ে খরচ বাড়িয়ে ফেলে। শনিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অডিটোরিয়ামে ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এফএসবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত যুব মৎস্য বিজ্ঞানীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০) লিখে ছিলাম কৃষির সেক্টরগুলোতে প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বা এর বেশি। সেখানে কৃষি বনায়ন খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যা ৫ শতাংশ, এরপর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে মৎস্য খাতে। প্রাণিসম্পদ ও শস্যপণ্যে যা মাত্র শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। বাজার দেখলেই বোঝা যায় মৎস্য খাতে চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের সামঞ্জস্য রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ খাতে ঘাটতি থাকায় যেভাবে দাম খুব বেশি ওঠানামা করে তেমনটা মৎস্য খাতে দেখা যায় না। সকাল-বিকেল হয়তো কিছুটা ওঠানামা করে। গবেষণায় কৃষি বিজ্ঞানীদের আরও এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফএসবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. সাদিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের সভাপতি ড. এফএইচ আনসারি, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, শেকৃবি উপাঁচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর।