রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন নয়, ৭১ ও ২৪ এক কাতারে রাখায় দ্বিমত

অনলাইন ডেস্ক
২৪ মার্চ, ২০২৫, 4:12 AM

রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন নয়, ৭১ ও ২৪ এক কাতারে রাখায় দ্বিমত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে রাষ্ট্রীয় সংস্কার সংক্রান্ত মতামত জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে দলটি রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের কিছু ক্ষমতা হ্রাসের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে বিএনপির মতামত জমা দেওয়া হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল এ মতামত জমা দেয়। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বিএনপি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর মতামত প্রদান করেছে। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং সংবিধান সংস্কার।
বিএনপি দুর্নীতি দমন কমিশন সংশ্লিষ্ট ২০টি প্রস্তাবনার মধ্যে ১১টিতে সরাসরি একমত এবং ৭-৮টি প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে, একটি আইনি সংশোধন সংক্রান্ত প্রস্তাবে দলটি ভিন্নমত পোষণ করেছে।
প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ২৬টি প্রস্তাবনার অর্ধেকের সাথেই বিএনপি একমত। তবে, সচিব পর্যায়ের পদোন্নতি পদ্ধতির সংস্কার এবং এসএসপি ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সুপারিশের বিষয়ে দলটি দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএনপি মনে করে, এসব পরিবর্তনের ফলে প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
বিচার বিভাগের অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপি একমত। দলটি বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছে এবং চার-পাঁচটি বিষয়ে বিশদ আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে।
নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে বিএনপি জানিয়েছে, কমিশনের প্রতিবেদনের ২৭টি সুপারিশের অধিকাংশ সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা তাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের কিছু ক্ষমতা খর্ব করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে দলটি।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন থাকা উচিত বলে মত দিয়েছে বিএনপি। দলটির মতে, এটি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে গেলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক এখতিয়ার হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে দলটি।
বিএনপি সংবিধানের প্রস্তাবনা পুনর্লিখনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে রাখার বিরোধিতা করেছে। বিএনপি মনে করে, '২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত না করে অন্য অংশে বা তফসিল হিসেবে রাখা যেতে পারে।
বিএনপি আরও জানিয়েছে, সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও মূলনীতির ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তাব সঠিক নয়। দলটি মনে করে, রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক অধিকারগুলো জনগণের কল্যাণের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা উচিত।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষে বিএনপি পূর্বেই মত দিয়েছে এবং সদস্যসংখ্যা ১০০-১০৫ মধ্যে রাখার প্রস্তাব করেছে। এছাড়া, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।
অনলাইন ডেস্ক
২৪ মার্চ, ২০২৫, 4:12 AM

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে রাষ্ট্রীয় সংস্কার সংক্রান্ত মতামত জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে দলটি রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের কিছু ক্ষমতা হ্রাসের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে বিএনপির মতামত জমা দেওয়া হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল এ মতামত জমা দেয়। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বিএনপি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর মতামত প্রদান করেছে। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং সংবিধান সংস্কার।
বিএনপি দুর্নীতি দমন কমিশন সংশ্লিষ্ট ২০টি প্রস্তাবনার মধ্যে ১১টিতে সরাসরি একমত এবং ৭-৮টি প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে, একটি আইনি সংশোধন সংক্রান্ত প্রস্তাবে দলটি ভিন্নমত পোষণ করেছে।
প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ২৬টি প্রস্তাবনার অর্ধেকের সাথেই বিএনপি একমত। তবে, সচিব পর্যায়ের পদোন্নতি পদ্ধতির সংস্কার এবং এসএসপি ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সুপারিশের বিষয়ে দলটি দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএনপি মনে করে, এসব পরিবর্তনের ফলে প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
বিচার বিভাগের অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপি একমত। দলটি বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছে এবং চার-পাঁচটি বিষয়ে বিশদ আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে।
নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে বিএনপি জানিয়েছে, কমিশনের প্রতিবেদনের ২৭টি সুপারিশের অধিকাংশ সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা তাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের কিছু ক্ষমতা খর্ব করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে দলটি।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন থাকা উচিত বলে মত দিয়েছে বিএনপি। দলটির মতে, এটি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে গেলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক এখতিয়ার হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে দলটি।
বিএনপি সংবিধানের প্রস্তাবনা পুনর্লিখনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে রাখার বিরোধিতা করেছে। বিএনপি মনে করে, '২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত না করে অন্য অংশে বা তফসিল হিসেবে রাখা যেতে পারে।
বিএনপি আরও জানিয়েছে, সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও মূলনীতির ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তাব সঠিক নয়। দলটি মনে করে, রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক অধিকারগুলো জনগণের কল্যাণের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা উচিত।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষে বিএনপি পূর্বেই মত দিয়েছে এবং সদস্যসংখ্যা ১০০-১০৫ মধ্যে রাখার প্রস্তাব করেছে। এছাড়া, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।