শিরোনামঃ
নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ৫ আগস্ট জাতির সামনে উপস্থাপিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা কারও নেই: সমাবেশে সভাপতি রাকিবুল শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী

ঈদ পর্যটনে এবার খরার  আশংকা

#
news image

ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের উৎসবকে কেন্দ্র করে বরাবর পর্যটন খাত গতি পেলেও এবার ভাটা পড়ছে। দুই উৎসবের লম্বা ছুটিতেও পর্যটক কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা ও তীব্র তাপদাহ। ফলে আগ্রহী হচ্ছেন না ভ্রমণপিপাসুরা।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার অর্ধেকে নামতে পারে পর্যটকের সংখ্যা। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে পর্যটন খাতের স্টেক হোল্ডারদের। অবশ্য পর্যটকদের অবকাশ যাপন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি রমজানে পর্যটক শূন্যতা পুষিয়ে নিতে দুই উৎসবের ছুটিকে কেন্দ্র করে হোটেল, মোটেল, রিসোর্টসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলো সাজানো হচ্ছে আকর্ষণীয়ভাবে।

ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে থাকছে হোটেল-রেস্টুরেন্ট-রেন্ট এ কার ও পরিবহনসহ সেবা খাতগুলোতে আকর্ষণীয় অফার। নতুন-নতুন ট্যুর প্যাকেজ সাজাচ্ছে ট্রাভেল এজেন্টরা। উল্লেখ্য, গোটা দেশে এখন বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে হিট এলার্ট। এ কারণে দেশের শীর্ষ পর্যটনগুলো ছাড়াও স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ ছেটে ফেলেছেন ভ্রমণবিলাসীরা। এছাড়া অবকাশ যাপনে রিসোর্টে যারা বেড়াতে অভ্যস্ত, তারাও কাটছাট করেছেন ট্যুর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ আকর্ষণীয় পর্যটনের শীর্ষে রয়েছে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও কুয়াকাটা, সুন্দরবন, সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম। পদ্মা সেতুর কারণে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও সুন্দরবনে ভ্রমণপিপাসুদের থাকে বাড়তি চাপ। আর রাজধানী ঢাকাতে রয়েছে চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু সব কিছু উবে যাচ্ছে প্রচণ্ড গরমে।

বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, দুইটি কারণে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক কম হবে। প্রথমত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তেমন ভালো নয়। মানুষ অর্থ সংকটে রয়েছেন। দ্বিতীয়ত, আবহাওয়াগত কারণে সময়টা ভ্রমণের উপযোগী নয়। প্রচণ্ড গরম চলমান।

কক্সবাজারের হোটেল ওশান প্যারাডাইসের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইয়েদ আলমগীর বলেন, এবার ঈদ ও পহেলা বৈশাকের উৎসবে লম্বা ছুটি থাকলেও আশানুরূপ হোটেল বুকিং হচ্ছে না। হোটেল বুকিং হয়েছে মাত্র দুই দিনের জন্য ১২ ও ১৩ এপ্রিল। এর মধ্যে ফুল বুকিং হয়েছে ৯০-৯৫ শতাংশ। আর বৈশাখের ছুটির জন্য হোটেল বুকিং হয়েছে ৫০ শতাংশেরও কম।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম এবং কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, এবারের ঈদের ছুটি উপলক্ষে কুয়াকাটায় ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের সাড়া তেমন মিলছে না। তারপরও রমজানে পর্যটকশূন্যতা কাটাতে আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয় পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।

তারা জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত সি বিচ ম্যানেজমেন্ট ইতোমধ্যে পর্যটকদের নির্বিঘœ ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ বিষয়ে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নাগরিক প্রতিবেদন

০৯ এপ্রিল, ২০২৪,  11:08 AM

news image

ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের উৎসবকে কেন্দ্র করে বরাবর পর্যটন খাত গতি পেলেও এবার ভাটা পড়ছে। দুই উৎসবের লম্বা ছুটিতেও পর্যটক কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা ও তীব্র তাপদাহ। ফলে আগ্রহী হচ্ছেন না ভ্রমণপিপাসুরা।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার অর্ধেকে নামতে পারে পর্যটকের সংখ্যা। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে পর্যটন খাতের স্টেক হোল্ডারদের। অবশ্য পর্যটকদের অবকাশ যাপন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি রমজানে পর্যটক শূন্যতা পুষিয়ে নিতে দুই উৎসবের ছুটিকে কেন্দ্র করে হোটেল, মোটেল, রিসোর্টসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলো সাজানো হচ্ছে আকর্ষণীয়ভাবে।

ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে থাকছে হোটেল-রেস্টুরেন্ট-রেন্ট এ কার ও পরিবহনসহ সেবা খাতগুলোতে আকর্ষণীয় অফার। নতুন-নতুন ট্যুর প্যাকেজ সাজাচ্ছে ট্রাভেল এজেন্টরা। উল্লেখ্য, গোটা দেশে এখন বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে হিট এলার্ট। এ কারণে দেশের শীর্ষ পর্যটনগুলো ছাড়াও স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ ছেটে ফেলেছেন ভ্রমণবিলাসীরা। এছাড়া অবকাশ যাপনে রিসোর্টে যারা বেড়াতে অভ্যস্ত, তারাও কাটছাট করেছেন ট্যুর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ আকর্ষণীয় পর্যটনের শীর্ষে রয়েছে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও কুয়াকাটা, সুন্দরবন, সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম। পদ্মা সেতুর কারণে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও সুন্দরবনে ভ্রমণপিপাসুদের থাকে বাড়তি চাপ। আর রাজধানী ঢাকাতে রয়েছে চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু সব কিছু উবে যাচ্ছে প্রচণ্ড গরমে।

বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, দুইটি কারণে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক কম হবে। প্রথমত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তেমন ভালো নয়। মানুষ অর্থ সংকটে রয়েছেন। দ্বিতীয়ত, আবহাওয়াগত কারণে সময়টা ভ্রমণের উপযোগী নয়। প্রচণ্ড গরম চলমান।

কক্সবাজারের হোটেল ওশান প্যারাডাইসের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইয়েদ আলমগীর বলেন, এবার ঈদ ও পহেলা বৈশাকের উৎসবে লম্বা ছুটি থাকলেও আশানুরূপ হোটেল বুকিং হচ্ছে না। হোটেল বুকিং হয়েছে মাত্র দুই দিনের জন্য ১২ ও ১৩ এপ্রিল। এর মধ্যে ফুল বুকিং হয়েছে ৯০-৯৫ শতাংশ। আর বৈশাখের ছুটির জন্য হোটেল বুকিং হয়েছে ৫০ শতাংশেরও কম।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম এবং কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, এবারের ঈদের ছুটি উপলক্ষে কুয়াকাটায় ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের সাড়া তেমন মিলছে না। তারপরও রমজানে পর্যটকশূন্যতা কাটাতে আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয় পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।

তারা জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত সি বিচ ম্যানেজমেন্ট ইতোমধ্যে পর্যটকদের নির্বিঘœ ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ বিষয়ে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।