একের পর এক অগ্নিকাণ্ড, বাজার কারখানা বস্তি পুড়ে ছাই

#
news image

রূপগঞ্জের গাউছিয়া কাঁচাবাজারে, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বোর্ড তৈরির কারখানায় এবং রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে  রবিবার ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এসব অগ্নিকা-ে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কঘেঁষা গাউছিয়া কাঁচাবাজারে ভোর পৌনে ৩টার দিকে আগুন লেগে যায়। এতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় শতাধিক দোকানের কোটি কোটি টাকার মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গাউছিয়া কাঁচাবাজারে অগ্নিকান্ডে মুদি-মনোহারি মালামাল থেকে শুরু করে গাড়ির পার্টস, টিন ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুন লাগার পর মুহূর্তের মধ্যেই তা পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে; আগুনের লেলিহান শিখা ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠে যায়। রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময় বিকট শব্দে বজ্রপাতও হচ্ছিল। বজ্রপাত ও বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পূর্বাচল, ডেমরা, আদমজী, কাঞ্চন ও আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল ও রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।


বাজারের ভাই ভাই মোটরসের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল খালেক বলেন, এ বাজারে আমার ও টিপু শিকদারের মালিকানাধীন দুটি পার্টসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গাড়ির পার্টস জাতীয় ১২ কোটি টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। হলুদ-মরিচের দোকানদার জহিরুল হক বলেন, ঈদ সামনে রেখে ধারদেনা করে বেশি করে মালামাল ক্রয় করেছিলাম। আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
টিন ব্যবসায়ী মোমেন মিয়া বলেন, আগুনে দোকানে থাকা টিনগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। যেভাবে ক্ষতি হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বাজারে আমার সাতটি দোকানে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা। আগুনে সাতটি দোকানে থাকা হার্ডওয়্যারের মালামাল পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। আমি পথে বসে গেছি।
ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রূপগঞ্জ একটি শিল্প এলাকা। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার রয়েছে। অথচ এই অঞ্চলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নেই। আগুন লাগলে অন্য এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর কাজ করে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক ছালেহ উদ্দিন জানান, গাউছিয়া কাঁচাবাজারে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

এদিকে গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়নের সিকেরগাঁও এলাকায় টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড নামের একটি বোর্ড তৈরির কারখানায় গতকাল দুপুর ১টার দিকে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগুনের ফুলকিতে পাশেই নদীতে নোঙর করে রাখা ৩টি মালবাহী ট্রলারও ভস্মীভূত হয়ে যায়। গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার পর নেভাতে এগিয়ে আসেন ওই কারখানার শ্রমিকদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা তীব্র হওয়ায় তারা ব্যর্থ হন। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আমাদের দুটি ইউনিট প্রথমদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে আগুনের ভয়াবহতা বেশি হওয়ায় পরে নারায়ণগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে আরও ৮টি ইউনিট আসে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মী আবুল কাসেম জানান, শুরুতে কারখানার একপাশে সামান্য আগুনের ফুলকি দেখা যায়। সে সময় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আমরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কারখানার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে পাটখড়ির মজুদ ছিল। এ মজুদে লাগা আগুন মুহূর্তেই পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ সময় আমরা যারা ভেতরে ছিলাম, তারা বেরিয়ে আসি।

কারখানাটির শ্রমিক তরিকুল ইসলাম বলেন, পাশে একটি ওয়েল্ডিংয়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে ওয়েল্ডিং করার সময় আগুনের ফুলকি আমাদের গোডাউনের পাটখড়িতে এসে পড়েছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুন নেভাতে গিয়ে কারখানার শ্রমিক মাহিম (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৩০), মো. হিরণসহ (৩২) স্থানীয় ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ ব্যাপারে আমরা একাধিকবার তাদের সতর্ক করলেও তারা আমলে নেয়নি। এ সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর বেলা ২টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে মহাখালীতে বনানী ১ নম্বর গেটের পাশে অবস্থিত গোডাউন বস্তিতে গতকাল বিকাল পৌনে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুতই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকাল ৫টা ৩৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভানোর তৎপরতায় অংশ নেয় সেনা সদস্যরাও। অগ্নি দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও পুড়ে গেছে গোডাউন বস্তির ২ শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট। ঘনবসতিপূর্ণ এ বস্তিজুড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে পোড়া টিন আর ইট। চারদিকে পোড়া গন্ধ। আগুনে সব কিছু হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই ইফতার করতে দেখা গেছে বাস্তুহারাদের। 

নাগরিক প্রতিবেদন

২৫ মার্চ, ২০২৪,  1:13 PM

news image

রূপগঞ্জের গাউছিয়া কাঁচাবাজারে, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বোর্ড তৈরির কারখানায় এবং রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে  রবিবার ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এসব অগ্নিকা-ে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কঘেঁষা গাউছিয়া কাঁচাবাজারে ভোর পৌনে ৩টার দিকে আগুন লেগে যায়। এতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় শতাধিক দোকানের কোটি কোটি টাকার মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গাউছিয়া কাঁচাবাজারে অগ্নিকান্ডে মুদি-মনোহারি মালামাল থেকে শুরু করে গাড়ির পার্টস, টিন ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুন লাগার পর মুহূর্তের মধ্যেই তা পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে; আগুনের লেলিহান শিখা ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠে যায়। রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময় বিকট শব্দে বজ্রপাতও হচ্ছিল। বজ্রপাত ও বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পূর্বাচল, ডেমরা, আদমজী, কাঞ্চন ও আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল ও রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।


বাজারের ভাই ভাই মোটরসের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল খালেক বলেন, এ বাজারে আমার ও টিপু শিকদারের মালিকানাধীন দুটি পার্টসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গাড়ির পার্টস জাতীয় ১২ কোটি টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। হলুদ-মরিচের দোকানদার জহিরুল হক বলেন, ঈদ সামনে রেখে ধারদেনা করে বেশি করে মালামাল ক্রয় করেছিলাম। আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
টিন ব্যবসায়ী মোমেন মিয়া বলেন, আগুনে দোকানে থাকা টিনগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। যেভাবে ক্ষতি হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বাজারে আমার সাতটি দোকানে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা। আগুনে সাতটি দোকানে থাকা হার্ডওয়্যারের মালামাল পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। আমি পথে বসে গেছি।
ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রূপগঞ্জ একটি শিল্প এলাকা। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার রয়েছে। অথচ এই অঞ্চলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নেই। আগুন লাগলে অন্য এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর কাজ করে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক ছালেহ উদ্দিন জানান, গাউছিয়া কাঁচাবাজারে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

এদিকে গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়নের সিকেরগাঁও এলাকায় টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড নামের একটি বোর্ড তৈরির কারখানায় গতকাল দুপুর ১টার দিকে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগুনের ফুলকিতে পাশেই নদীতে নোঙর করে রাখা ৩টি মালবাহী ট্রলারও ভস্মীভূত হয়ে যায়। গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার পর নেভাতে এগিয়ে আসেন ওই কারখানার শ্রমিকদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা তীব্র হওয়ায় তারা ব্যর্থ হন। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আমাদের দুটি ইউনিট প্রথমদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে আগুনের ভয়াবহতা বেশি হওয়ায় পরে নারায়ণগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে আরও ৮টি ইউনিট আসে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মী আবুল কাসেম জানান, শুরুতে কারখানার একপাশে সামান্য আগুনের ফুলকি দেখা যায়। সে সময় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আমরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কারখানার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে পাটখড়ির মজুদ ছিল। এ মজুদে লাগা আগুন মুহূর্তেই পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ সময় আমরা যারা ভেতরে ছিলাম, তারা বেরিয়ে আসি।

কারখানাটির শ্রমিক তরিকুল ইসলাম বলেন, পাশে একটি ওয়েল্ডিংয়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে ওয়েল্ডিং করার সময় আগুনের ফুলকি আমাদের গোডাউনের পাটখড়িতে এসে পড়েছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুন নেভাতে গিয়ে কারখানার শ্রমিক মাহিম (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৩০), মো. হিরণসহ (৩২) স্থানীয় ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ ব্যাপারে আমরা একাধিকবার তাদের সতর্ক করলেও তারা আমলে নেয়নি। এ সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর বেলা ২টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে মহাখালীতে বনানী ১ নম্বর গেটের পাশে অবস্থিত গোডাউন বস্তিতে গতকাল বিকাল পৌনে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুতই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকাল ৫টা ৩৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভানোর তৎপরতায় অংশ নেয় সেনা সদস্যরাও। অগ্নি দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও পুড়ে গেছে গোডাউন বস্তির ২ শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট। ঘনবসতিপূর্ণ এ বস্তিজুড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে পোড়া টিন আর ইট। চারদিকে পোড়া গন্ধ। আগুনে সব কিছু হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই ইফতার করতে দেখা গেছে বাস্তুহারাদের।