খালেদা জিয়া দয়া চাননি, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত: ফখরুল

নাগরিক প্রতিবেদক
১০ জুলাই, ২০২৩, 8:23 PM

খালেদা জিয়া দয়া চাননি, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার কথায় কথায় বলে, খালেদা জিয়াকে দয়া দেখিয়ে বাসায় রেখেছি। আমরা দয়া চাইনি, জাস্টিস চেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি, প্রাপ্যটা চেয়েছি। মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেটি বসবাসের উপযোগী ছিল না।
তিনি ওই সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় ডাক্তাররা একাধিকবার গণমাধ্যমে বলেছেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে করোনা শুরু হয়ে গেলে বাসায় পাঠিয়ে দেয় সরকার। তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারো দয়া চাননি। তাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার কথা বলছেন। কিন্তু সরকার তাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম মিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে দলটি। তিনি বলেন, এ দেশে আমরা কোনো রাজা-রানির রাজত্বে বাস করি না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই গণতন্ত্রই আজ দেশে অনুপস্থিত।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি তারা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেসব নেতারা অসুস্থ তাদের অনেকের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ অবস্থা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ করেছে। সরকারের লক্ষ্য একটাই বিরোধীদল ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, নির্বাচনকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, তরুণদের দেশকে রক্ষায় রাষ্ট্রকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপি বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছে।
বিএনপি নির্বাচন চায় তবে আওয়ামী লীগ বারবার নিজেদের মতো নির্বাচন করেছে। এটা আর হতে দেওয়া যায় না। আশা করি, সরকারের এখনও শুভবুদ্ধির উদয় হবে, পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১২ জুলাই তারুণ্যের সমাবেশ থেকে নতুন যাত্রার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে। সরকারের সুপরিকল্পিত অশুভ উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত আদালতে এনে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। কিন্তু সরকারের নীল নকশা দেশের মানুষ ধরে ফেলেছে, এজন্য তরুণ-যুবক-সাধারণ মানুষ মাঠে নেমে এসেছে। ১২ তারিখে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, এরপর আন্দোলনে সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুঃসময় চলছে। সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতন, মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
রিজভী বলেন, সরকার মহাপরিকল্পনা করে বিএনপির নেতাদের নানা কায়দায় নির্যাতন করে অসুস্থ বানিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কৌশল করছে সরকার। প্রশাসনে রদবদল করা হচ্ছে। পুলিশ-ডিসিদের বদলি করা হচ্ছে অশুভ উদ্দেশ্যে। সরকারের মাস্টারপ্ল্যান এবার ব্যর্থ করে দেবে দেশের মানুষ। ১২ তারিখে বিএনপির সমাবেশ সফল করা হবে।
নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
নাগরিক প্রতিবেদক
১০ জুলাই, ২০২৩, 8:23 PM

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার কথায় কথায় বলে, খালেদা জিয়াকে দয়া দেখিয়ে বাসায় রেখেছি। আমরা দয়া চাইনি, জাস্টিস চেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি, প্রাপ্যটা চেয়েছি। মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেটি বসবাসের উপযোগী ছিল না।
তিনি ওই সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় ডাক্তাররা একাধিকবার গণমাধ্যমে বলেছেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে করোনা শুরু হয়ে গেলে বাসায় পাঠিয়ে দেয় সরকার। তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারো দয়া চাননি। তাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার কথা বলছেন। কিন্তু সরকার তাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম মিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে দলটি। তিনি বলেন, এ দেশে আমরা কোনো রাজা-রানির রাজত্বে বাস করি না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই গণতন্ত্রই আজ দেশে অনুপস্থিত।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি তারা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেসব নেতারা অসুস্থ তাদের অনেকের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ অবস্থা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ করেছে। সরকারের লক্ষ্য একটাই বিরোধীদল ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, নির্বাচনকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, তরুণদের দেশকে রক্ষায় রাষ্ট্রকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপি বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছে।
বিএনপি নির্বাচন চায় তবে আওয়ামী লীগ বারবার নিজেদের মতো নির্বাচন করেছে। এটা আর হতে দেওয়া যায় না। আশা করি, সরকারের এখনও শুভবুদ্ধির উদয় হবে, পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১২ জুলাই তারুণ্যের সমাবেশ থেকে নতুন যাত্রার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে। সরকারের সুপরিকল্পিত অশুভ উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত আদালতে এনে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। কিন্তু সরকারের নীল নকশা দেশের মানুষ ধরে ফেলেছে, এজন্য তরুণ-যুবক-সাধারণ মানুষ মাঠে নেমে এসেছে। ১২ তারিখে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, এরপর আন্দোলনে সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুঃসময় চলছে। সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতন, মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
রিজভী বলেন, সরকার মহাপরিকল্পনা করে বিএনপির নেতাদের নানা কায়দায় নির্যাতন করে অসুস্থ বানিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কৌশল করছে সরকার। প্রশাসনে রদবদল করা হচ্ছে। পুলিশ-ডিসিদের বদলি করা হচ্ছে অশুভ উদ্দেশ্যে। সরকারের মাস্টারপ্ল্যান এবার ব্যর্থ করে দেবে দেশের মানুষ। ১২ তারিখে বিএনপির সমাবেশ সফল করা হবে।
নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।