শিরোনামঃ
ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা কারও নেই: সমাবেশে সভাপতি রাকিবুল শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা

সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল

#
news image

টানা চার দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া যাদুকাটা, চলতি খাসিয়ামারা, চেলা, মনাই, সোমেশ্বরীসহ সব পাহাড়ি নদীর পানি বেড়েছে। প্লাবিত হচ্ছে জেলার  নিম্নাঞ্চল।

গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুনামগঞ্জ শহরেরে সাহেববাড়ি ঘাট, কাজির পয়েন্ট, নবীনগর, হাছননগর, নতুনপাড়ায় পানি ঢুকে পড়েছে। সাধারন জনগনের চলাচলের সড়ক ডুবে  হুহু করে ঢলের পানি ডুকছে হাওর ও নদ নদীতে। তাহিরপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান,  আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে বাদাঘাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রাস্তঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকায় ঢল নামার ফলে মাটির সড়কগুলোর বেশ ক্ষতি হয়েছে। মধ্যনগর-মহিষখলায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

জামালগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ জানান, আরো যদি বৃষ্টি বাড়ে তাহলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বেশ কিছু গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন বলেন, জলাবদ্ধতার কারনে কিছু বাড়িতে পানি ডুকেছে। এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুল হাওলাদার বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কোনও কোনও নদীর পানি বৃদ্ধি  পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।  তবে বৃষ্টিপাতের  কমে গেলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী রয়েছে এবং বাড়ি- ঘরে পানি প্রবেশ করলে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়ার আহবান জানান তিনি।

অরুন চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ

০২ জুলাই, ২০২৩,  9:05 PM

news image

টানা চার দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া যাদুকাটা, চলতি খাসিয়ামারা, চেলা, মনাই, সোমেশ্বরীসহ সব পাহাড়ি নদীর পানি বেড়েছে। প্লাবিত হচ্ছে জেলার  নিম্নাঞ্চল।

গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুনামগঞ্জ শহরেরে সাহেববাড়ি ঘাট, কাজির পয়েন্ট, নবীনগর, হাছননগর, নতুনপাড়ায় পানি ঢুকে পড়েছে। সাধারন জনগনের চলাচলের সড়ক ডুবে  হুহু করে ঢলের পানি ডুকছে হাওর ও নদ নদীতে। তাহিরপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান,  আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে বাদাঘাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রাস্তঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকায় ঢল নামার ফলে মাটির সড়কগুলোর বেশ ক্ষতি হয়েছে। মধ্যনগর-মহিষখলায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

জামালগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ জানান, আরো যদি বৃষ্টি বাড়ে তাহলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বেশ কিছু গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন বলেন, জলাবদ্ধতার কারনে কিছু বাড়িতে পানি ডুকেছে। এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুল হাওলাদার বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কোনও কোনও নদীর পানি বৃদ্ধি  পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।  তবে বৃষ্টিপাতের  কমে গেলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী রয়েছে এবং বাড়ি- ঘরে পানি প্রবেশ করলে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়ার আহবান জানান তিনি।