পুরোনো রূপে সদরঘাট

নাগরিক প্রতিবেদক
১৯ এপ্রিল, ২০২৩, 10:57 PM

পুরোনো রূপে সদরঘাট
আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটির প্রথম দিনে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ভোরের আলো না ফুটতেই টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সদরঘাটে যাত্রীর ভাঁটা পড়ে। যাত্রী সংকটে কমতে শুরু করে লঞ্চের সংখ্যাও। তবে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীর চাপ বাড়ায় পুরোনো রূপে ফিরেছে লঞ্চ টার্মিনাল।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, ঈদ ছুটির প্রথম দিনে নিয়মিতভাবে চলাচলকারী লঞ্চগুলো পূর্ণ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। ভোর হতেই টার্মিনালে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিশেষ করে চাঁদপুরগামী যাত্রীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। কয়দিন আগেও যেখানে যাত্রীর অভাবে নির্দিষ্ট সময়ে লঞ্চ ছাড়তো না সেখানে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চগুলো ভরে ঘাট ছাড়ছে। লঞ্চগুলোর কেবিন খালি নেই, ডেকেও দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। এ ছাড়া সকালে লঞ্চ না থাকলেও বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী যাত্রীদের অনেকেই এসেছেন কেবিন বুকিং দিতে এবং আগেভাগেই ডেকে জায়গা নিতে।
চাঁদপুরগামী যাত্রী ইসমাইল বলেন, ঈদ উপলক্ষে মঙ্গলবার অফিস থেকে ছুটি পেয়েছি। সবকিছু রেডি করে আজ রওনা দিয়েছি। গরমের তীব্রতা বাড়ার আগেই বাড়ি পৌঁছাতে পারি সে জন্য সেহরি খাওয়ার পরপরই পরিবার নিয়ে টার্মিনালে এসেছি।
এদিকে, যাত্রীদের চাপ বাড়ায় লঞ্চ কেবিনগুলোর ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান যাত্রীরা। তবে, আগে বুকিং দেওয়া কেবিনের ভাড়া স্বাভাবিক ছিল। এ ছাড়া বরিশালগামী লঞ্চগুলোর ভাড়া স্বাভাবিক থাকলেও ভোলাগামী লঞ্চগুলোর ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বলে জানান যাত্রীরা।
পটুয়াখালীর যাত্রী আল-আমিন বলেন, ছুটিতে বাড়ি যাবো কিনা এ নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। অভিভাবকদের চাহিদার কারণে বাড়ি যাচ্ছি। এখন এসেছি কেবিন বুকিং দিতে। ভাড়া সামান্য বেশি দিয়ে কেবিন পেয়েছি। বিকেল ৫ টায় লঞ্চ। এখন অপেক্ষা করছি লঞ্চ ছাড়ার।
ঢাকাণ্ডবরিশাল রুটের এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের স্টাফ নূরে আলম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের যাত্রীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রী বেশ বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভালোই যাত্রী পাঁচ্ছি। বেশিরভাগ কেবিনগুলো আগে থেকেই বুকিং দেওয়ায় খালি যাচ্ছে না।
নাগরিক প্রতিবেদক
১৯ এপ্রিল, ২০২৩, 10:57 PM

আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটির প্রথম দিনে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ভোরের আলো না ফুটতেই টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সদরঘাটে যাত্রীর ভাঁটা পড়ে। যাত্রী সংকটে কমতে শুরু করে লঞ্চের সংখ্যাও। তবে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীর চাপ বাড়ায় পুরোনো রূপে ফিরেছে লঞ্চ টার্মিনাল।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, ঈদ ছুটির প্রথম দিনে নিয়মিতভাবে চলাচলকারী লঞ্চগুলো পূর্ণ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। ভোর হতেই টার্মিনালে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিশেষ করে চাঁদপুরগামী যাত্রীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। কয়দিন আগেও যেখানে যাত্রীর অভাবে নির্দিষ্ট সময়ে লঞ্চ ছাড়তো না সেখানে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চগুলো ভরে ঘাট ছাড়ছে। লঞ্চগুলোর কেবিন খালি নেই, ডেকেও দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। এ ছাড়া সকালে লঞ্চ না থাকলেও বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী যাত্রীদের অনেকেই এসেছেন কেবিন বুকিং দিতে এবং আগেভাগেই ডেকে জায়গা নিতে।
চাঁদপুরগামী যাত্রী ইসমাইল বলেন, ঈদ উপলক্ষে মঙ্গলবার অফিস থেকে ছুটি পেয়েছি। সবকিছু রেডি করে আজ রওনা দিয়েছি। গরমের তীব্রতা বাড়ার আগেই বাড়ি পৌঁছাতে পারি সে জন্য সেহরি খাওয়ার পরপরই পরিবার নিয়ে টার্মিনালে এসেছি।
এদিকে, যাত্রীদের চাপ বাড়ায় লঞ্চ কেবিনগুলোর ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান যাত্রীরা। তবে, আগে বুকিং দেওয়া কেবিনের ভাড়া স্বাভাবিক ছিল। এ ছাড়া বরিশালগামী লঞ্চগুলোর ভাড়া স্বাভাবিক থাকলেও ভোলাগামী লঞ্চগুলোর ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বলে জানান যাত্রীরা।
পটুয়াখালীর যাত্রী আল-আমিন বলেন, ছুটিতে বাড়ি যাবো কিনা এ নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। অভিভাবকদের চাহিদার কারণে বাড়ি যাচ্ছি। এখন এসেছি কেবিন বুকিং দিতে। ভাড়া সামান্য বেশি দিয়ে কেবিন পেয়েছি। বিকেল ৫ টায় লঞ্চ। এখন অপেক্ষা করছি লঞ্চ ছাড়ার।
ঢাকাণ্ডবরিশাল রুটের এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের স্টাফ নূরে আলম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের যাত্রীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রী বেশ বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভালোই যাত্রী পাঁচ্ছি। বেশিরভাগ কেবিনগুলো আগে থেকেই বুকিং দেওয়ায় খালি যাচ্ছে না।