রাজশাহীর দুর্গম চরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা মোটরসাইকেল

#
news image

দুর্গম পদ্মার চরে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন একদল তরুণ। তীরে নৌকা ভিড়তেই সেই তরুণদের হাটডাক শুরু হলো। এই তরুণরা মূলত দুর্গম চরে যাতায়াতের জন্য তাদের মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালান। যাত্রী ছুটলেন বালুচরের পথ ধরে সামনে সিন্তীর্ণ আকাশ পেছনে ধুলোর মেঘ। মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়েই তাদের সংসার চলে। অনেকে এই কাজের পাশাপাশি লেখাপড়াও করেন।

মোটরসাইকেল চালকদের একজন হেমতউল্লা। তিনি বলেন, বাবা দিনমজুর। মামার দেওয়া একটি মোটরসাইকেল আমি চালাই। এ মোটরসাইকেল দিয়ে কলেজের যাওয়া-আশার পাশাপাশি যাত্রী নেই। প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টাকা আয় হয়। তবে তেল ও অন্য খরচ বাদ দিয়ে ৩০০-৪০০ টাকা থাকে। এ টাকা দিয়েই চলে পড়াশোনা আর হাতখরচ। পাশাপাশি চলে পরিবারের খরচও। নদীপাড় থেকে গ্রামে এনে দিলে একজন আরোহী ১০০-১৫০ টাকা দেন।

শুধু হেকমতউল্লাই নন, তার মতো চরের অন্তত ১০০ জন তরুণ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। একবার এক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে পারলেই পকেটে আসে ২০০ টাকা। চরের মানুষের কাছে এ টাকাও অনেক বেশি। তবে যাতায়াতের সুবিধার্থে যাত্রীরাও মেনে নিয়েছেন এ পরিবহন।

চর মাজারদিয়ার সহ রাশাহীর একাধিক চরগুলোতে  যেতে হলে রাজশাহী শহরের পাশ দিয়েই বহমান পদ্মা নদী পার হতে হয়। নাব্য সংকটে বর্তমানে পদ্মা ছোট হয়ে নৌপথ কমেছে। জেগেছে চর। বেড়েছে পায়ে হাঁটা পথ। পদ্মার দুর্গম চরে এক সময় বাহন হিসেবে চলতো শুধু গরু-মহিষের গাড়ি। তবে গেলো কয়েক বছর ধরে চরের মানুষের বাহনের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল।

স্থানীয়রা জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও তারা এমন সংকীর্ণ পথে বাইক চালাতে পারেন। এখানে অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য তাদের কেউ ধরে না। এখানকার চালকরা খুব দক্ষ। চরবাসীর মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো উপায় নেই। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গ্রামে ফেরা প্রায় অসম্ভব। তাই একটু বেশি টাকায় হলেও তারা মেনে নিয়েছেন এ পরিবহনকে। চরে চলাচলের জন্য আগে কিছু ছিল না। মানুষ হেঁটে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতো। এখন যুবকদের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক

০২ মার্চ, ২০২৩,  7:41 PM

news image

দুর্গম পদ্মার চরে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন একদল তরুণ। তীরে নৌকা ভিড়তেই সেই তরুণদের হাটডাক শুরু হলো। এই তরুণরা মূলত দুর্গম চরে যাতায়াতের জন্য তাদের মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালান। যাত্রী ছুটলেন বালুচরের পথ ধরে সামনে সিন্তীর্ণ আকাশ পেছনে ধুলোর মেঘ। মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়েই তাদের সংসার চলে। অনেকে এই কাজের পাশাপাশি লেখাপড়াও করেন।

মোটরসাইকেল চালকদের একজন হেমতউল্লা। তিনি বলেন, বাবা দিনমজুর। মামার দেওয়া একটি মোটরসাইকেল আমি চালাই। এ মোটরসাইকেল দিয়ে কলেজের যাওয়া-আশার পাশাপাশি যাত্রী নেই। প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টাকা আয় হয়। তবে তেল ও অন্য খরচ বাদ দিয়ে ৩০০-৪০০ টাকা থাকে। এ টাকা দিয়েই চলে পড়াশোনা আর হাতখরচ। পাশাপাশি চলে পরিবারের খরচও। নদীপাড় থেকে গ্রামে এনে দিলে একজন আরোহী ১০০-১৫০ টাকা দেন।

শুধু হেকমতউল্লাই নন, তার মতো চরের অন্তত ১০০ জন তরুণ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। একবার এক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে পারলেই পকেটে আসে ২০০ টাকা। চরের মানুষের কাছে এ টাকাও অনেক বেশি। তবে যাতায়াতের সুবিধার্থে যাত্রীরাও মেনে নিয়েছেন এ পরিবহন।

চর মাজারদিয়ার সহ রাশাহীর একাধিক চরগুলোতে  যেতে হলে রাজশাহী শহরের পাশ দিয়েই বহমান পদ্মা নদী পার হতে হয়। নাব্য সংকটে বর্তমানে পদ্মা ছোট হয়ে নৌপথ কমেছে। জেগেছে চর। বেড়েছে পায়ে হাঁটা পথ। পদ্মার দুর্গম চরে এক সময় বাহন হিসেবে চলতো শুধু গরু-মহিষের গাড়ি। তবে গেলো কয়েক বছর ধরে চরের মানুষের বাহনের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল।

স্থানীয়রা জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও তারা এমন সংকীর্ণ পথে বাইক চালাতে পারেন। এখানে অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য তাদের কেউ ধরে না। এখানকার চালকরা খুব দক্ষ। চরবাসীর মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো উপায় নেই। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গ্রামে ফেরা প্রায় অসম্ভব। তাই একটু বেশি টাকায় হলেও তারা মেনে নিয়েছেন এ পরিবহনকে। চরে চলাচলের জন্য আগে কিছু ছিল না। মানুষ হেঁটে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতো। এখন যুবকদের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।