শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

গুনাহ মাফের উপায়

#
news image

একবার নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অমুসলিমদের অতীত জীবনের গুনাহ মাফের গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হাদিসটি মুসলিমের বিগত জীবনের গুনাহ মাফের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী সেই হাদিসটি?
হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন একদিন কিছু সংখ্যক মুশরিক লোক, যারা মুশরিক অবস্থায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল, তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, আপনি যা বলেন এবং যে দিকে আহবান করেন তা খুবই উত্তম। তবে আমাদের বলুন, বিগত জীবনে আমরা যেসব মন্দ কাজ করেছি তা মুছে যাবে কিনা? (তাহলে আমরা ইসলাম গ্রহণ করবো)। তখন (আল্লাহ তাআলা) এ আয়াত অবতীর্ণ করেন-
وَ الَّذِیۡنَ لَا یَدۡعُوۡنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ وَ لَا یَقۡتُلُوۡنَ النَّفۡسَ الَّتِیۡ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ لَا یَزۡنُوۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ یَلۡقَ اَثَامًا
‘আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য উপাস্যের ইবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।’ (সুরা ফুরক্বান : আয়াত ৬৮)
আরও অবতীর্ণ হলো-
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ
‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (সুরা যুমার : আয়াত ৫৩)।’ (মুসলিম)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কোনো অমুসলিম যদি ওই অন্যায়গুলো করার পর ইসলাম গ্রহণ করে তবে আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষমা করে দেবেন। কারণ আল্লাহ তাআলাই বলেছেন, তাঁর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়ার জন্য।
অপর দিকে যারা মুসলিম এবং ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে, তারাও যত অন্যায় ও পাপ কাজই করুক না কেন, যদি আল্লাহর কাছে তওবা করে আর গুনাহ না করার ওয়াদা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় এবং ওই হাদিস মোতাবেক আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করে, আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকেও অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নবিজির শেখানো ভাষায় বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করাও গুনাহ মাফের উপায়।
রাসুলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এভাবেই দোয়া করতেন-
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাঅফু আন্নি’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করাকে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব গুনাহ থেকে মুক্তি দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

অনলাইন ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  10:31 PM

news image

একবার নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অমুসলিমদের অতীত জীবনের গুনাহ মাফের গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হাদিসটি মুসলিমের বিগত জীবনের গুনাহ মাফের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী সেই হাদিসটি?
হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন একদিন কিছু সংখ্যক মুশরিক লোক, যারা মুশরিক অবস্থায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল, তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, আপনি যা বলেন এবং যে দিকে আহবান করেন তা খুবই উত্তম। তবে আমাদের বলুন, বিগত জীবনে আমরা যেসব মন্দ কাজ করেছি তা মুছে যাবে কিনা? (তাহলে আমরা ইসলাম গ্রহণ করবো)। তখন (আল্লাহ তাআলা) এ আয়াত অবতীর্ণ করেন-
وَ الَّذِیۡنَ لَا یَدۡعُوۡنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ وَ لَا یَقۡتُلُوۡنَ النَّفۡسَ الَّتِیۡ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ لَا یَزۡنُوۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ یَلۡقَ اَثَامًا
‘আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য উপাস্যের ইবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।’ (সুরা ফুরক্বান : আয়াত ৬৮)
আরও অবতীর্ণ হলো-
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ
‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (সুরা যুমার : আয়াত ৫৩)।’ (মুসলিম)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কোনো অমুসলিম যদি ওই অন্যায়গুলো করার পর ইসলাম গ্রহণ করে তবে আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষমা করে দেবেন। কারণ আল্লাহ তাআলাই বলেছেন, তাঁর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়ার জন্য।
অপর দিকে যারা মুসলিম এবং ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে, তারাও যত অন্যায় ও পাপ কাজই করুক না কেন, যদি আল্লাহর কাছে তওবা করে আর গুনাহ না করার ওয়াদা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় এবং ওই হাদিস মোতাবেক আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করে, আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকেও অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নবিজির শেখানো ভাষায় বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করাও গুনাহ মাফের উপায়।
রাসুলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এভাবেই দোয়া করতেন-
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাঅফু আন্নি’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করাকে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব গুনাহ থেকে মুক্তি দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।