শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে: আইনমন্ত্রী

#
news image

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

চলতি মাসের শেষের দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। এরপর সরকার নতুন করে মেয়াদ বাড়াবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা (পরিবার) বাড়াতে চান কি না সেটা ওনাদের ওপর নির্ভর করবে। যদি ওনারা এটার মেয়াদ বাড়াতে চান, আমি এটুকু বলতে পারি, অবশ্যই সরকার এটার মেয়াদ বাড়াবে।

সবশেষ গত ২৩ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত মোট পাঁচবার কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এমন শর্ত দেওয়া হয়।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।

রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার।

এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ৬ মাস করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  11:31 PM

news image

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

চলতি মাসের শেষের দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। এরপর সরকার নতুন করে মেয়াদ বাড়াবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা (পরিবার) বাড়াতে চান কি না সেটা ওনাদের ওপর নির্ভর করবে। যদি ওনারা এটার মেয়াদ বাড়াতে চান, আমি এটুকু বলতে পারি, অবশ্যই সরকার এটার মেয়াদ বাড়াবে।

সবশেষ গত ২৩ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত মোট পাঁচবার কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এমন শর্ত দেওয়া হয়।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।

রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার।

এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ৬ মাস করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।