বাড়তি সিম বাতিলের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

নাগরিক সংবাদ অনলাইন
৩০ জুলাই, ২০২৫, 9:48 PM

বাড়তি সিম বাতিলের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
সীমিত সংখ্যক সিম ব্যবহারে কড়াকড়ি আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করা যাবে—এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার (১ আগস্ট ) থেকে।
বিটিআরসি জানায়, যেসব গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের বাড়তি সিম বাতিল (ডি-রেজিস্ট্রার) করার জন্য বুধবার (৩০ জুলাই) একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নতুন এই নিয়ম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত গ্রাহকদের সময় দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি বলছে, আন্তর্জাতিক অনুশীলন ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম রাখতে পারলেও, এখন তা কমিয়ে ১০টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নতুন সীমার অনুমোদন দিয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, আর মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ গ্রাহকের নামে ১১টির বেশি সিম রয়েছে।
কোনো এনআইডিতে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে, তা জানার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করার পরামর্শ দিয়েছে। যদি ১০টির বেশি সিম থাকে, তাহলে তা অন্যের নামে ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ পদ্ধতিতে হস্তান্তর করা যাবে।
এই প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে এবং সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এসএমএস, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য মাধ্যমে গ্রাহকদের নিয়মিত সচেতন করে। প্রতিটি গ্রাহককে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে এসএমএস পাঠাতে হবে এবং নিয়মিত প্রচারণা চালাতে হবে।
বিটিআরসি আশাবাদী, এই উদ্যোগ সিম ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, অপব্যবহার রোধ করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
৩০ জুলাই, ২০২৫, 9:48 PM

সীমিত সংখ্যক সিম ব্যবহারে কড়াকড়ি আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করা যাবে—এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার (১ আগস্ট ) থেকে।
বিটিআরসি জানায়, যেসব গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের বাড়তি সিম বাতিল (ডি-রেজিস্ট্রার) করার জন্য বুধবার (৩০ জুলাই) একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নতুন এই নিয়ম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত গ্রাহকদের সময় দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি বলছে, আন্তর্জাতিক অনুশীলন ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম রাখতে পারলেও, এখন তা কমিয়ে ১০টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নতুন সীমার অনুমোদন দিয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, আর মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ গ্রাহকের নামে ১১টির বেশি সিম রয়েছে।
কোনো এনআইডিতে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে, তা জানার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করার পরামর্শ দিয়েছে। যদি ১০টির বেশি সিম থাকে, তাহলে তা অন্যের নামে ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ পদ্ধতিতে হস্তান্তর করা যাবে।
এই প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে এবং সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এসএমএস, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য মাধ্যমে গ্রাহকদের নিয়মিত সচেতন করে। প্রতিটি গ্রাহককে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে এসএমএস পাঠাতে হবে এবং নিয়মিত প্রচারণা চালাতে হবে।
বিটিআরসি আশাবাদী, এই উদ্যোগ সিম ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, অপব্যবহার রোধ করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।