শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

শুরুর উত্থান ধরে রাখতে পারল না সূচক

#
news image

 ঈদের পর দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল ) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর দিকে সূচরেক উত্থান ঘটে। তবে দিনের লেনদেনের শেষ দিকে সূচক উত্থান ধরে রাখতে পারেনি পুঁজিবাজার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। এর মাধ্যমে ঈদের পর লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই সূচক কমেছে।

এর আগে দেশের পুঁজিবাজার অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়লে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমে যায় এক লাখ কোটি টাকার ওপরে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও ঈদের ছুটি শেষে আবার পুঁজিবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতনের পর গতকাল বুধবার লেনদেন শুরুর দিকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেনের শেষদিকে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকয়টি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২২২ প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট কমে দুই হাজার সাত পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

 সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ২৭ লাখ টাকার। ১৬ কোটি দুই লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোল্ডেন সন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑফু-ওয়াং ফুড, ফু-ওয়াং সিরামিকস, বেস্ট হোল্ডিংস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস ও প্যরামাউন্ট টেক্সটাইল।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে হওয়া ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

নাগরিক প্রতিবেদন

১৮ এপ্রিল, ২০২৪,  4:53 PM

news image

 ঈদের পর দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল ) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর দিকে সূচরেক উত্থান ঘটে। তবে দিনের লেনদেনের শেষ দিকে সূচক উত্থান ধরে রাখতে পারেনি পুঁজিবাজার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। এর মাধ্যমে ঈদের পর লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই সূচক কমেছে।

এর আগে দেশের পুঁজিবাজার অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়লে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমে যায় এক লাখ কোটি টাকার ওপরে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও ঈদের ছুটি শেষে আবার পুঁজিবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতনের পর গতকাল বুধবার লেনদেন শুরুর দিকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেনের শেষদিকে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকয়টি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২২২ প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট কমে দুই হাজার সাত পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

 সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ২৭ লাখ টাকার। ১৬ কোটি দুই লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোল্ডেন সন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑফু-ওয়াং ফুড, ফু-ওয়াং সিরামিকস, বেস্ট হোল্ডিংস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস ও প্যরামাউন্ট টেক্সটাইল।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে হওয়া ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।