শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

পানি কমতে শুরু  করেছে সিলেট  ও সুনামগঞ্জে

#
news image

বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পানি নামতে শুরু করলেও গতকাল পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে গেছে, তবে শহরের অনেকাংশেই এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় রবিবার সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও তা কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পুরো জেলায় চারশো সাতানব্বইটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পানি নামতে থাকায় এরই মধ্যে তাদের অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
তবে এখনো অন্তত ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিন সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান রাস্তা থেকে পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় রবিবার রাতে সিলেট থেকে কয়েকটি গাড়ি জরুরি সেবা নিয়ে সুনামগঞ্জে পৌঁছেছে।
তবে অধিকাংশ জায়গায় পানি নামতে থাকলেও এখনো জেলার অনেক স্থানেই মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'অনেক জায়গাতে এক বাসায় চার-পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের কাছে জরুরি সেবা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
তিনি জানান জেলার বিভিন্ন স্থানের চারশো পঞ্চাশটির বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করছেন।
সুনামগঞ্জের জেলার অধিকাংশ স্থানেই এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সীমিত আকারে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হলেও গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জেলার সব জায়গায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জাহাঙ্গীর হোসেন।
স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী জরুরি ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে।
তিনি আরো জানান, 'সেনাবাহিনী মূলত হাওরসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে এবং খোঁজ নিচ্ছে পানির কারনে সেসব অঞ্চলে কোথাও মানুষ আটকে রয়েছে কিনা।'

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট 

২২ জুন, ২০২২,  1:08 AM

news image

বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পানি নামতে শুরু করলেও গতকাল পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে গেছে, তবে শহরের অনেকাংশেই এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় রবিবার সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও তা কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পুরো জেলায় চারশো সাতানব্বইটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পানি নামতে থাকায় এরই মধ্যে তাদের অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
তবে এখনো অন্তত ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিন সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান রাস্তা থেকে পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় রবিবার রাতে সিলেট থেকে কয়েকটি গাড়ি জরুরি সেবা নিয়ে সুনামগঞ্জে পৌঁছেছে।
তবে অধিকাংশ জায়গায় পানি নামতে থাকলেও এখনো জেলার অনেক স্থানেই মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'অনেক জায়গাতে এক বাসায় চার-পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের কাছে জরুরি সেবা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
তিনি জানান জেলার বিভিন্ন স্থানের চারশো পঞ্চাশটির বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করছেন।
সুনামগঞ্জের জেলার অধিকাংশ স্থানেই এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সীমিত আকারে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হলেও গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জেলার সব জায়গায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জাহাঙ্গীর হোসেন।
স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী জরুরি ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে।
তিনি আরো জানান, 'সেনাবাহিনী মূলত হাওরসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে এবং খোঁজ নিচ্ছে পানির কারনে সেসব অঞ্চলে কোথাও মানুষ আটকে রয়েছে কিনা।'