শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

নান্দাইলে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকার, স্যরি বলে দশ হাজার টাকায় সমাধান

#
news image

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়ুয়া এক ছাত্রকে বলাৎকারকারী হুজুর স্যরি বলে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনার সমাধান দিয়েছে স্থানীয় মাতাববররা। এরকম জঘন্য ও গুরুতর অপরাধের মতো ঘটনা এভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে বলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের কাশিনগর কাশকাটাখালী উলুম ফুরকানিয়া নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রসায় ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. দাবির হোসেন (১৪) রোববার দিবাগত রাতে একই মাদ্রাসার শিক্ষক মাও. মাহমুদুল হাসান মাসুদ তাকে বলাৎকার করে।

বলাৎকারের পর ছাত্রটির পায়ুপথে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হলে সোমবার (১০ জুলাই) সকালে বিষয়টি তাঁর অভিভাবককে জানায়। ওই দিন দুপুরে দাবির হোসেনকে নান্দাইল উপজেলা সদর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। দাবির হোসেন একই ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের পুত্র।

ছাত্র দাবির হোসেন বলে, অভিযুক্ত হুজুর প্রথমে আমাকে তাঁর পা টিপে দেওয়ার কথা বলে, পরে এলার্জির কারনে হুজুরের শরীরে মলম লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে এবং আমি মলম লাগিয়ে দেই। পরে আমাকে জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে একান্ড ঘটনায় এবং আমাকে হুমকী দেয়, যাতে করে বিষয়টি আমি কাউকে না বলি। আমি এর বিচার চাই। একাধিক সূত্রে আরও জানাগেছে, অভিযুক্ত হুজুর মাসুদ পরকীার কারনে তাঁর স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য সহ সম্পর্কটি বিচ্ছেদের পথে। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্ররা জানায়, যে উক্ত হজুর প্রায়ই তাদেরকে দিয়ে মাথা, হাত-পা সহ শরীর মেসেজ করায়। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।

অত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারী রাজু আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি সোমবার দিবাগত রাতেই স্থানীয় মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে তা সমাধান হয়েছে। অভিযুক্ত হুজুর সকলের সামনে স্যরি বলেছে এবং ছাত্রের চিকিৎসার খরচ হিসাবে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দিবে বলে সম্মতি প্রদান করে। অপরদিকে মাদ্রাসায় দায়িত্বরত হুজুর ইলিয়াছকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এঘটনা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়েগেছে। ওই হুজুরকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, স্থানীয় মাতাব্বর দস্তর আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে ৫ জন হুজুরকে নিয়ে বিষয়টির ফায়সালা দেন। ছেলে ও ছেলের বাবার কাছে অভিযুক্ত হুজুর ক্ষমা চেয়েছেন। তাই তাকে মাফ করার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। তবে ছাত্রের চিকিৎসা খরচা হিসাবে ১০ হাজার টাকা ধার্য্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আরও বলেন, উক্ত টাকা অত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারীর কাছে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় দিয়ে দিবে বলে জানায়।

রাজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইফতেকার মোমতাজ খোকন বলেন, বিষয়টি অতি ন্যাক্কারজনক। আমি বিষয়টি থানার ওসিকে অবহিত করেছি। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, এ ঘটনাটি আমি জানিনা এবং কোন অভিযোগও পাইনি।

মোঃ শাহজাহান ফকির, নান্দাইল

১১ জুলাই, ২০২৩,  10:17 PM

news image

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়ুয়া এক ছাত্রকে বলাৎকারকারী হুজুর স্যরি বলে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনার সমাধান দিয়েছে স্থানীয় মাতাববররা। এরকম জঘন্য ও গুরুতর অপরাধের মতো ঘটনা এভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে বলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের কাশিনগর কাশকাটাখালী উলুম ফুরকানিয়া নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রসায় ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. দাবির হোসেন (১৪) রোববার দিবাগত রাতে একই মাদ্রাসার শিক্ষক মাও. মাহমুদুল হাসান মাসুদ তাকে বলাৎকার করে।

বলাৎকারের পর ছাত্রটির পায়ুপথে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হলে সোমবার (১০ জুলাই) সকালে বিষয়টি তাঁর অভিভাবককে জানায়। ওই দিন দুপুরে দাবির হোসেনকে নান্দাইল উপজেলা সদর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। দাবির হোসেন একই ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের পুত্র।

ছাত্র দাবির হোসেন বলে, অভিযুক্ত হুজুর প্রথমে আমাকে তাঁর পা টিপে দেওয়ার কথা বলে, পরে এলার্জির কারনে হুজুরের শরীরে মলম লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে এবং আমি মলম লাগিয়ে দেই। পরে আমাকে জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে একান্ড ঘটনায় এবং আমাকে হুমকী দেয়, যাতে করে বিষয়টি আমি কাউকে না বলি। আমি এর বিচার চাই। একাধিক সূত্রে আরও জানাগেছে, অভিযুক্ত হুজুর মাসুদ পরকীার কারনে তাঁর স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য সহ সম্পর্কটি বিচ্ছেদের পথে। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্ররা জানায়, যে উক্ত হজুর প্রায়ই তাদেরকে দিয়ে মাথা, হাত-পা সহ শরীর মেসেজ করায়। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।

অত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারী রাজু আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি সোমবার দিবাগত রাতেই স্থানীয় মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে তা সমাধান হয়েছে। অভিযুক্ত হুজুর সকলের সামনে স্যরি বলেছে এবং ছাত্রের চিকিৎসার খরচ হিসাবে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দিবে বলে সম্মতি প্রদান করে। অপরদিকে মাদ্রাসায় দায়িত্বরত হুজুর ইলিয়াছকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এঘটনা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়েগেছে। ওই হুজুরকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, স্থানীয় মাতাব্বর দস্তর আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে ৫ জন হুজুরকে নিয়ে বিষয়টির ফায়সালা দেন। ছেলে ও ছেলের বাবার কাছে অভিযুক্ত হুজুর ক্ষমা চেয়েছেন। তাই তাকে মাফ করার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। তবে ছাত্রের চিকিৎসা খরচা হিসাবে ১০ হাজার টাকা ধার্য্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আরও বলেন, উক্ত টাকা অত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারীর কাছে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় দিয়ে দিবে বলে জানায়।

রাজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইফতেকার মোমতাজ খোকন বলেন, বিষয়টি অতি ন্যাক্কারজনক। আমি বিষয়টি থানার ওসিকে অবহিত করেছি। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, এ ঘটনাটি আমি জানিনা এবং কোন অভিযোগও পাইনি।