শিরোনামঃ
নানা আয়োজনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উদযাপিত হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ চালের বাজারে অস্থিরতা: কার স্বার্থে এই অনিয়ম? আর্জেন্টাইন র‌্যাপারের সঙ্গে রাত্রিযাপনের গুঞ্জন লামিনে ইয়ামালের! সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামান্না বাংলাদেশের ওপর  ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসির সাত দফা সুপারিশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রচনার মতো হয়ে গেছে—হতাশ নায়েবে আমীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

উজিরপুরের শিকারপুর বন্দরে গত দুই দশকে আওয়ামীলীগের অফিসের নামে দখলকৃত ২০টি অফিসের হদিস নেই

#
news image

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিকারপুর বন্দরে গত দুই দশকে ২০ টির অধিক আওয়ামী লীগের অফিসের নামে দখল করে। পরে প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের শিকারপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ৮ নং শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ সুমন মৃধার নেতৃত্বে  সরকারি  মাছের হাট,গরু ও ছাগলের হাটের স্টল ঘর ,রূপালী ব্যাংকের সংলগ্ন , পরান সাহার বাড়ির  সামনের ডোবা, মসজিদ গেট সহ প্রায় ২০ টি স্পটে নিরীহ ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর দখল করে প্রথমে  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে ঠিক তার কয়েক দিন পরেই সে জমি স্থানীয় প্রভাবশালী  এনায়েত খাঁ সহ প্রভাবশালী মহলের কাছে বিক্রি করার প্রমাণ রয়েছে। ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মোঃ  সুমন মৃধা,  শাকিল মাহমুদ আউয়াল সহ একাধিক নেতার নেতৃত্বে উপজেলা নেতৃবৃন্দের সমঝোতার ভিত্তিতে প্রভাবশালীদের  কাছে বিক্রি করে টাকা পয়সা ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার  অভিযোগ রয়েছে।এমন কি সুমন মৃধাকে টাকা না দিয়ে শিকারপুর বন্দরে কোন ব্যবসায়ী দোকান ঘরে কাজ করতে পারেনা।

নিরীহ কোন দোকান মালিক   দোকান ঘরের মেরামত অথবা পুনঃসংস্কার  কাজ শুরু করলে সেখানে  আওয়ামী লীগের অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা দখল করে নেয়, পরে কয়েক দিন পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অসৎ নেতাদের নিয়ে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে, ভাগ বাটোরা করে নেয়।এ বিষয়ে বরিশাল -২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম  এর কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি  পুলিশ প্রশাসনকে দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। বিষয়টি ওয়াট  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বলেন  একটি লজ্জা জনক ঘটনা এবং দলের জন্য বদনাম ও বটে।বিষয়টি শক্তিশালী নিরাপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।

০৮ নং শিকারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম মাঝির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দেখেছি জানি কিন্তু আমার কিছু বলার নেই। আওয়ামী লীগের নামে দখলকৃত দোকান ঘরের ক্রেতা ব্যবসায়ী হেমায়েত মুন্সি জানান, আমি  এনায়েত হোসেন খানের মাধ্যমে আমার প্রয়োজনে মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রায় ১০ টা  দোকানদার লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করে নিয়েছি। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক  একাধিক সূত্রে জানা যায়  হেমায়েত মুন্সী ১০ টি দোকান ঘর ক্রয় করেন ১০ লক্ষ টাকার উপরে ,এনায়েত হোসেন খান  ৩ টি ক্রয় করে বিক্রি করেন হায়দার জমাদার এর কাছে ২ টি ও মসজিদ গেটের একটি বিক্রি করেন আল-মদিনা ফার্মেসীর কাছে, শাকিল মাহামুদ আওয়াল তার দখলের নেন একটি,জয়শ্রী মৌজায় ১৯৩৫ ও১৯৩৬ নং দাগে ইউপি সদস্য সুমন মৃধার দখলে রয়েছে তিনটি ।বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাঝির দখলে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মান্নান হাওলাদারের পুত্র সাইদুল স্মৃতি সংসদ নামে   একটি ঘর বর্তমানে আওয়ামী লীগের  ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিস   হিসেবে ব্যবহার করছেন ।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হাওলাদার জানান, আমাকে কিছু না বলে চেয়ারম্যান নজরুল মাঝি তারা সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে দখল করে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে চেয়ারম্যান নিজের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেছেন, আমার ভয় হচ্ছে পূর্বের ২০টি অফিসের নেয় বিক্রি করে  টাকা-পয়সা ভাগ বাটোরা করে নিতে পারে।ইউপি সদস্য সুমন মৃধার বিষয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কবির খলিফা, বাচ্চু সরদার,ব্যবসায়ী  মাহমুদ মৃধা সহ  একাধিক লোকজন  জানায়,সুমন মৃূধা পরিবহন কাউন্টারের দিনমজুর থেকে  শুধু মাত্র চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুষ্ঠ  তদন্ত করলে তার প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। এমন কি সুমন মৃধা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান দোকান ঘর দখল ও লুটপাট করলে আদালত তাকে জেল জরিমানা করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সুমন মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে এড়িয়ে যান। অভিযোগের বিষয় উজিরপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান জানান, সংসদ সদস্যের ফরওয়ার্ডিং  একটি অভিযোগ পেয়েছি। 

মোঃ মাহফুজুর রহমান, উজিরপুর

২৫ এপ্রিল, ২০২৩,  6:49 PM

news image

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিকারপুর বন্দরে গত দুই দশকে ২০ টির অধিক আওয়ামী লীগের অফিসের নামে দখল করে। পরে প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের শিকারপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ৮ নং শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ সুমন মৃধার নেতৃত্বে  সরকারি  মাছের হাট,গরু ও ছাগলের হাটের স্টল ঘর ,রূপালী ব্যাংকের সংলগ্ন , পরান সাহার বাড়ির  সামনের ডোবা, মসজিদ গেট সহ প্রায় ২০ টি স্পটে নিরীহ ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর দখল করে প্রথমে  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে ঠিক তার কয়েক দিন পরেই সে জমি স্থানীয় প্রভাবশালী  এনায়েত খাঁ সহ প্রভাবশালী মহলের কাছে বিক্রি করার প্রমাণ রয়েছে। ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মোঃ  সুমন মৃধা,  শাকিল মাহমুদ আউয়াল সহ একাধিক নেতার নেতৃত্বে উপজেলা নেতৃবৃন্দের সমঝোতার ভিত্তিতে প্রভাবশালীদের  কাছে বিক্রি করে টাকা পয়সা ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার  অভিযোগ রয়েছে।এমন কি সুমন মৃধাকে টাকা না দিয়ে শিকারপুর বন্দরে কোন ব্যবসায়ী দোকান ঘরে কাজ করতে পারেনা।

নিরীহ কোন দোকান মালিক   দোকান ঘরের মেরামত অথবা পুনঃসংস্কার  কাজ শুরু করলে সেখানে  আওয়ামী লীগের অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা দখল করে নেয়, পরে কয়েক দিন পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অসৎ নেতাদের নিয়ে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে, ভাগ বাটোরা করে নেয়।এ বিষয়ে বরিশাল -২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম  এর কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি  পুলিশ প্রশাসনকে দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। বিষয়টি ওয়াট  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বলেন  একটি লজ্জা জনক ঘটনা এবং দলের জন্য বদনাম ও বটে।বিষয়টি শক্তিশালী নিরাপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।

০৮ নং শিকারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম মাঝির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দেখেছি জানি কিন্তু আমার কিছু বলার নেই। আওয়ামী লীগের নামে দখলকৃত দোকান ঘরের ক্রেতা ব্যবসায়ী হেমায়েত মুন্সি জানান, আমি  এনায়েত হোসেন খানের মাধ্যমে আমার প্রয়োজনে মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রায় ১০ টা  দোকানদার লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করে নিয়েছি। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক  একাধিক সূত্রে জানা যায়  হেমায়েত মুন্সী ১০ টি দোকান ঘর ক্রয় করেন ১০ লক্ষ টাকার উপরে ,এনায়েত হোসেন খান  ৩ টি ক্রয় করে বিক্রি করেন হায়দার জমাদার এর কাছে ২ টি ও মসজিদ গেটের একটি বিক্রি করেন আল-মদিনা ফার্মেসীর কাছে, শাকিল মাহামুদ আওয়াল তার দখলের নেন একটি,জয়শ্রী মৌজায় ১৯৩৫ ও১৯৩৬ নং দাগে ইউপি সদস্য সুমন মৃধার দখলে রয়েছে তিনটি ।বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাঝির দখলে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মান্নান হাওলাদারের পুত্র সাইদুল স্মৃতি সংসদ নামে   একটি ঘর বর্তমানে আওয়ামী লীগের  ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিস   হিসেবে ব্যবহার করছেন ।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হাওলাদার জানান, আমাকে কিছু না বলে চেয়ারম্যান নজরুল মাঝি তারা সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে দখল করে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে চেয়ারম্যান নিজের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেছেন, আমার ভয় হচ্ছে পূর্বের ২০টি অফিসের নেয় বিক্রি করে  টাকা-পয়সা ভাগ বাটোরা করে নিতে পারে।ইউপি সদস্য সুমন মৃধার বিষয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কবির খলিফা, বাচ্চু সরদার,ব্যবসায়ী  মাহমুদ মৃধা সহ  একাধিক লোকজন  জানায়,সুমন মৃূধা পরিবহন কাউন্টারের দিনমজুর থেকে  শুধু মাত্র চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুষ্ঠ  তদন্ত করলে তার প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। এমন কি সুমন মৃধা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান দোকান ঘর দখল ও লুটপাট করলে আদালত তাকে জেল জরিমানা করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সুমন মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে এড়িয়ে যান। অভিযোগের বিষয় উজিরপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান জানান, সংসদ সদস্যের ফরওয়ার্ডিং  একটি অভিযোগ পেয়েছি।