অর্থ পাচারকারীদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত: হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
০৯ নভেম্বর, ২০২২, 1:36 AM

অর্থ পাচারকারীদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
জনগণের টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলার এক আসামির জামিন শুনানিকালে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানি হচ্ছিল। এতে আইনজীবী আবুল হোসেন মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও এসব মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। দুদক এসব মামলার অভিযোগ পত্র দিতে পারেনি। যে কারণে বিচারও শুরু করা যাচ্ছে না।
তখন আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এত বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও এসব মামলার বিচার হবে না? এ সময় দুদককের আইনজীবীর কাছে আদালত চান, কেন মামলার চার্জশিট দিচ্ছেন না। অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল (দ্রুত বিচার) হওয়া উচিত। আদালত আরও বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত।
এরপর আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ তথ্য দিতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মো. জুবায়দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল। তখন আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ছয় মাস স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রেখে দুদককে এই সময়ের মধ্যে মামলা তিনটির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন না দেওয়ায় আজ জামিন শুনানি হয়। শুনানির পর আদালত বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ জানতে চেয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক
০৯ নভেম্বর, ২০২২, 1:36 AM

জনগণের টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলার এক আসামির জামিন শুনানিকালে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানি হচ্ছিল। এতে আইনজীবী আবুল হোসেন মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও এসব মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। দুদক এসব মামলার অভিযোগ পত্র দিতে পারেনি। যে কারণে বিচারও শুরু করা যাচ্ছে না।
তখন আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এত বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও এসব মামলার বিচার হবে না? এ সময় দুদককের আইনজীবীর কাছে আদালত চান, কেন মামলার চার্জশিট দিচ্ছেন না। অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল (দ্রুত বিচার) হওয়া উচিত। আদালত আরও বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত।
এরপর আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ তথ্য দিতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মো. জুবায়দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল। তখন আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ছয় মাস স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রেখে দুদককে এই সময়ের মধ্যে মামলা তিনটির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন না দেওয়ায় আজ জামিন শুনানি হয়। শুনানির পর আদালত বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ জানতে চেয়েছেন।