শিরোনামঃ
শাহবাগ অবরোধ: পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ, ৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল-আটা চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক সংকট: গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ছে কেন? সেমিফাইনালও বয়কট করলো ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান কিডনি সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই দুই খাবার মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিজেই নিজেকে ট্রল করলেন উর্বশী গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গঠনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: তারেক রহমান আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে

 ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে ডা. জোবাইদা রহমান

#
news image

চার মাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সঙ্গে রয়েছেন তার দুই পুত্র বধূ- বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামীলা রহমান।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মা বেগম খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোররাতে বিনা ওয়ারেন্টে তারেক রহমানকে আটক করে সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেন সরকার। মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের নামে তার মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গাসহ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তারেক রহমান কারাবন্দী থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে সেনাসমর্থিত সরকার। কারাবন্দি থাকা অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে দুই ভাই তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

 এই অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয় কোকোকে। সঙ্গে যান তার স্ত্রী সৈয়দা শামীলা রহমান এবং কোকোর দুই কন্যা জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান। পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ি গুরুতর আহত তারেক রহমানকে চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য নেওয়া হয়। সঙ্গে যান স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান। যদিও আরাফাত রহমান কোকো পরে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড থেকে সপরিবারে মালেশিয়া যান। পরে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। এরপর তারেক রহমান ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যান। তারা মাঝে মধ্যেই দেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।

 কিন্তু তারেক রহমানের পরিবার সেই থেকে যুক্তরাজ্যে। এই অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর শ্বাশুড়ী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের মাটিতে পা রাখলেন ডা. জোবাইদা রহমান। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। লন্ডনে পৌঁছেই লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি। টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরে ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় তাদের অধীনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবারই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেন খালেদা জিয়া।

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

২৮ জুলাই, ২০২৫,  12:20 PM

news image

চার মাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সঙ্গে রয়েছেন তার দুই পুত্র বধূ- বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামীলা রহমান।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মা বেগম খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোররাতে বিনা ওয়ারেন্টে তারেক রহমানকে আটক করে সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেন সরকার। মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের নামে তার মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গাসহ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তারেক রহমান কারাবন্দী থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে সেনাসমর্থিত সরকার। কারাবন্দি থাকা অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে দুই ভাই তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

 এই অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয় কোকোকে। সঙ্গে যান তার স্ত্রী সৈয়দা শামীলা রহমান এবং কোকোর দুই কন্যা জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান। পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ি গুরুতর আহত তারেক রহমানকে চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য নেওয়া হয়। সঙ্গে যান স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান। যদিও আরাফাত রহমান কোকো পরে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড থেকে সপরিবারে মালেশিয়া যান। পরে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। এরপর তারেক রহমান ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যান। তারা মাঝে মধ্যেই দেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।

 কিন্তু তারেক রহমানের পরিবার সেই থেকে যুক্তরাজ্যে। এই অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর শ্বাশুড়ী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের মাটিতে পা রাখলেন ডা. জোবাইদা রহমান। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। লন্ডনে পৌঁছেই লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি। টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরে ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় তাদের অধীনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবারই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেন খালেদা জিয়া।