চরভদ্রাসনে চরম ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পারাপার

জেলা প্রতিনিধি
২৭ জুলাই, ২০২৫, 10:40 PM

চরভদ্রাসনে চরম ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পারাপার
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাগামী হাজার হাজার যাত্রী চরম ঝুঁকির মধ্যে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন। শ্রাবনের উত্তাল তরঙ্গ, বৈরী আবহাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া খোলা ষ্পীডবোটে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। একই ঘাট দিয়ে আরও বেশী ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চে করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন পদ্মা নদী। পর্যাপ্ত বয়া ছাড়া আনফিট লঞ্চে অর্ধঘন্টা পর পর পারাপার হচ্ছেন শত শত যাত্রী। ঘাট কর্তৃপক্ষর অনিহার কারনে পদ্মা নদীর আকাশ চুম্বি ঢেউ ও উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট ও পর্যাপ্ত বয়া ছাড়াই যাত্রীরা পারপার পদ্মা নদী । এতে উক্ত নৌরুটের যাত্রীরা জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে ষ্পীডবোট ও লঞ্চে পদ্মা নদী পারাপার হয়ে স্বল্প সময়ে ও সহজে রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করা যায়। তাই আশপাশের তিন উপজেলা সহ জেলা শহরের অনেক যাত্রীও এ নৌরুটে চলাচল করে থাকেন। কিন্ত এ নৌরুটে চলাচলকৃত লঞ্চগুলো প্রায়ই আনফিট এবং খোলা ষ্পিটবোটে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। প্রতিটি ষ্পীডবোটে ১৮ জন যাত্রী ও লঞ্চে কানায় কানায় পূর্ন করে পারাপার করানো হচ্ছে ভয়াল পদ্মা নদী। কিন্তু চলমান নৌযানের মধ্যে লঞ্চে সংরক্ষন নেই পর্যাপ্ত বয়া এবং ষ্পিটবোট যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে না লাইফ জ্যাকেট। এতে যাত্রীরা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পারাপার হচ্ছে পদ্মা নদী।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বলেন, ক’দিন আগে পদ্মা নদীতে একটি ষ্পিটবোট দুর্ঘটার কবলে পড়েছিল। আমি সাথে সাথে পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট দিয়ে পদ্মা পারাপারের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও কোনো লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় নাই সে ব্যাপারে আমি ব্যাবস্থা নিচ্ছি”।
রোববার উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট দিয়ে ঢাকা থেকে আসা এক যাত্রী শামিম শেখ (৩৮) জানান, ভাই ষ্পীড বোটে উঠার পর আমরা লাইফ জ্যাকেটের জন্য বোট ড্রাইভারকে অনেক অনুরোধ করেছি কিন্ত তারা আমদের কথায় কোনো কর্ণপাতই করলো না”।
আরেক যাত্রী মোঃ এহেসান কবির (৪০) জানান, “ মাঝ পদ্মায় যে উত্তাল তরঙ্গ তাতে মনে হলো মৃত্যুর দুয়ার থেকে আল্লাহ আমাদেরকে ফিরিয়ে এনেছেন। খোলা ষ্পীডবোটের সমস্ত যাত্রী পদ্মা নদীর ঢেউয়ের কোপে ভিজে গেছেন। পদ্মা নদীর উত্তাল ঢেউয়ের কবলে শিশু ও মহিলাদের আহাজারীর মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টাকাল ভীষণ দুঃসময় পার করে এলাম”। তাই চলতি বর্ষা মৌসুমে উক্ত নৌরুটের পদ্মা পারাপারের যাত্রীদের ঝুঁকি কমাতে ষ্পিটবোটে লাইফ জ্যাকেট ও ফিটনেস সম্পন্ন লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জেলা প্রতিনিধি
২৭ জুলাই, ২০২৫, 10:40 PM

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাগামী হাজার হাজার যাত্রী চরম ঝুঁকির মধ্যে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন। শ্রাবনের উত্তাল তরঙ্গ, বৈরী আবহাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া খোলা ষ্পীডবোটে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। একই ঘাট দিয়ে আরও বেশী ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চে করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন পদ্মা নদী। পর্যাপ্ত বয়া ছাড়া আনফিট লঞ্চে অর্ধঘন্টা পর পর পারাপার হচ্ছেন শত শত যাত্রী। ঘাট কর্তৃপক্ষর অনিহার কারনে পদ্মা নদীর আকাশ চুম্বি ঢেউ ও উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট ও পর্যাপ্ত বয়া ছাড়াই যাত্রীরা পারপার পদ্মা নদী । এতে উক্ত নৌরুটের যাত্রীরা জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে ষ্পীডবোট ও লঞ্চে পদ্মা নদী পারাপার হয়ে স্বল্প সময়ে ও সহজে রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করা যায়। তাই আশপাশের তিন উপজেলা সহ জেলা শহরের অনেক যাত্রীও এ নৌরুটে চলাচল করে থাকেন। কিন্ত এ নৌরুটে চলাচলকৃত লঞ্চগুলো প্রায়ই আনফিট এবং খোলা ষ্পিটবোটে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। প্রতিটি ষ্পীডবোটে ১৮ জন যাত্রী ও লঞ্চে কানায় কানায় পূর্ন করে পারাপার করানো হচ্ছে ভয়াল পদ্মা নদী। কিন্তু চলমান নৌযানের মধ্যে লঞ্চে সংরক্ষন নেই পর্যাপ্ত বয়া এবং ষ্পিটবোট যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে না লাইফ জ্যাকেট। এতে যাত্রীরা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পারাপার হচ্ছে পদ্মা নদী।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বলেন, ক’দিন আগে পদ্মা নদীতে একটি ষ্পিটবোট দুর্ঘটার কবলে পড়েছিল। আমি সাথে সাথে পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট দিয়ে পদ্মা পারাপারের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও কোনো লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় নাই সে ব্যাপারে আমি ব্যাবস্থা নিচ্ছি”।
রোববার উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট দিয়ে ঢাকা থেকে আসা এক যাত্রী শামিম শেখ (৩৮) জানান, ভাই ষ্পীড বোটে উঠার পর আমরা লাইফ জ্যাকেটের জন্য বোট ড্রাইভারকে অনেক অনুরোধ করেছি কিন্ত তারা আমদের কথায় কোনো কর্ণপাতই করলো না”।
আরেক যাত্রী মোঃ এহেসান কবির (৪০) জানান, “ মাঝ পদ্মায় যে উত্তাল তরঙ্গ তাতে মনে হলো মৃত্যুর দুয়ার থেকে আল্লাহ আমাদেরকে ফিরিয়ে এনেছেন। খোলা ষ্পীডবোটের সমস্ত যাত্রী পদ্মা নদীর ঢেউয়ের কোপে ভিজে গেছেন। পদ্মা নদীর উত্তাল ঢেউয়ের কবলে শিশু ও মহিলাদের আহাজারীর মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টাকাল ভীষণ দুঃসময় পার করে এলাম”। তাই চলতি বর্ষা মৌসুমে উক্ত নৌরুটের পদ্মা পারাপারের যাত্রীদের ঝুঁকি কমাতে ষ্পিটবোটে লাইফ জ্যাকেট ও ফিটনেস সম্পন্ন লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।