জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ

অনলাইন ডেস্ক
২৩ মার্চ, ২০২৫, 10:26 PM

জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।
রোববার সিআইসি থেকে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে জি এম কাদের, তার স্ত্রী শরীফা কাদের, মেয়ে ইসরাত জাহান কাদের এবং অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে সংস্থাটি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের একক বা যৌথ নামে অথবা মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ), সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম থাকলে, সেসব হিসাবের ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী আগামী সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত কারণ ছাড়া তথ্য সরবরাহ না করলে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে, আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী এককালীন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পরবর্তীতে প্রতিদিনের জন্য পাঁচশ টাকা করে জরিমানা আরোপ করা হবে।
আরেকটি চিঠিতে সিআইসি নির্দেশ দিয়েছে, জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে পরিচালিত যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করতে হবে। স্থগিতাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে হিসাবগুলোর সর্বশেষ স্থিতিসহ একটি পরিপালন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিআইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ব্যাংক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরই মধ্যে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, সংরক্ষিত মহিলা সংসদীয় আসনের মনোনয়ন বাণিজ্য এবং দলের পদ বিক্রির বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে। এ বিষয়েও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।
সরকারি সংস্থাগুলোর এই পদক্ষেপ জাপার রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
অনলাইন ডেস্ক
২৩ মার্চ, ২০২৫, 10:26 PM

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।
রোববার সিআইসি থেকে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে জি এম কাদের, তার স্ত্রী শরীফা কাদের, মেয়ে ইসরাত জাহান কাদের এবং অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে সংস্থাটি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের একক বা যৌথ নামে অথবা মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ), সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম থাকলে, সেসব হিসাবের ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী আগামী সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত কারণ ছাড়া তথ্য সরবরাহ না করলে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে, আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী এককালীন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পরবর্তীতে প্রতিদিনের জন্য পাঁচশ টাকা করে জরিমানা আরোপ করা হবে।
আরেকটি চিঠিতে সিআইসি নির্দেশ দিয়েছে, জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে পরিচালিত যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করতে হবে। স্থগিতাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে হিসাবগুলোর সর্বশেষ স্থিতিসহ একটি পরিপালন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিআইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ব্যাংক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরই মধ্যে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, সংরক্ষিত মহিলা সংসদীয় আসনের মনোনয়ন বাণিজ্য এবং দলের পদ বিক্রির বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে। এ বিষয়েও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।
সরকারি সংস্থাগুলোর এই পদক্ষেপ জাপার রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।